!!! অতিথির ঝামেলা!! সম্পূর্ণ নাটক রিভিউ।।

নাটকের শুরুতেই দেখা যায় গ্রাম থেকে দুই ভাই চাষি আলম এবং ফারুক আহমেদ তার ভাগ্নের বাসা ঢাকায় বেড়াতে এসেছে। সিএনজির মধ্যে বসে তারা কথা বলছে যে প্রথমবার ঢাকা এসেছে ঠিকমতো ভাগ্নের বাসায় যেতে পারবে কী না। তো সিএনজি চালক ঠিকানা মতো তাদের পৌছে দেয় ভাগ্নের বাসায়। এখন চাষি আলম ফারুক আহমেদ কে বলে সিএনজির টাকা দিতে। গ্রামের মানুষ কিছুটা হিসাবি হয়ে থাকে শহরের মানুষের তুলনায় তখন ফারুক আহমেদ 200 টাকা সিএনজি ভাড়া দেয় এবং বলে কতগুলো টাকা বের হয়ে গেল। এরপর তারা যখন তার ভাগ্নে মতিনের বাসায় যেতে চাই তখন দারোয়ান বাঁধা দেয় এবং জিজ্ঞেস করে আপনারা কোথায় যাবেন। তারা বলে আমার ভাগ্নের বাসায় যাব। দারোয়ান বলে আপনার ভাগ্নে কে। যাইহোক এরপর নাম বললে দারোয়ান বলে ঠিক আছে যান।

---

---

---

---

ভাগ্নের বাসায় গিয়েই প্রথমে দেখা যায় মামা চা খাচ্ছে। এবং ভাগ্নে মতিন এর তার বউয়ের সাথে গল্প করছে ভাগ্নে ঠিকঠাক কথা বললেও তার বউ কিছুটা বিরক্ত হচ্ছে। যাইহোক এরপর ফারুক আহমেদ এসে বলে তোমাদের এতো বড় বাসা কিন্তু বাথরুম কোথায়। বলে কমোটে টয়লেট করা আসলেই সমস্যা। এটা কীভাবে করব আমি জানি না এটা বলে ফারুক আহমেদ। যাইহোক এরপর দেখা যায় রাতে মতিন এবং তার বউ ঘুমাচ্ছে। তখন চাষি আলম গিয়ে তার ভাগ্নেকে ডাকে। এবং বলে আমি একটু বাইরে যাব চা খেতে। এতে করে মতিনের বউ খুবই বিরক্ত হয়। এতো রাতে রুমে এসে এইভাবে ডিস্টার্ব কেউ করে। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় চাষি আলম ছাদে যায়। তখনই তার পাশের ফ্ল‍্যাটের একজন মেয়ে ছাদে তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলছিল। তখন চাষি আলম কিছু কথা বলে ঐ মেয়েটাকে। ঐ মেয়েটা কথাগুলো শুনে অনেক রাগান্বিত হয়। এবং তার ভাগ্নের বউয়ের কাছে নালিশ করে।

---

---

---

---

এরপরের দৃশ্য দেখা যায় ভাগ্নের বউ তার স্বামী মতিনের কাছে বলছে তোমার মামা এখন বাইরে গিয়েও অনেক বাড়াবাড়ি করছে। আজকেই তুমি বাড়ি এসে তোমার মামাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলবা। তখন ভাগ্নে একটু রাগান্বিত হয়ে বলে তোমার সমস্যা কোথায় সবসময়ই আমার মামার পেছনে পড়ে থাক। যাইহোক এরপর ভাগ্নে মতিন অনেক রাতে বাড়িতে আসে। রাত করে আসার কারণ তার বউ যাতে তার মামাদের চলে যাওয়ার কথা বলার জন্য তাকে ফোর্স না করে। এরপর ঐ রাতে তাদের মধ্যে কিছুটা ঝামেলা হয়। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় ঐ মেয়েটার সঙ্গে চাষি আলমের দেখা হয়। এবং চাষি আলম বলে আসলে সেদিন আমার ঐ কথাগুলো বলা ঠিক হয় নাই। আমাকে ক্ষমা করে দিও। ঐ মেয়ে বলে ঠিক আছে। এরপরে দুজনের অনেক মিল হয়ে যায়। ঐ মেয়ে এবং চাষি আলম বাসায় বসে লুডুও খেলে।।

---

---

---

---

এরপরে চাষি আলম এবং ফারুক আহমেদ ভাগ্নে মতিনকে না জানিয়ে নিজে নিজে ঢাকা শহরে ঘুরতে বের হয়। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে একপর্যায়ে তারা বাসার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। এবং তাদের কাছে কিন্তু বাসার ঠিকানাও ছিল না। তো তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে। তখন তারা বলাবলি করে এখন কীভাবে বাসায় যাব। রাস্তায় দুজন বসে আছে তখন দেখা যায় ঐ মেয়েটা রিক্সায় করে যাচ্ছে এবং ওদের দেখে দাঁড়িয়ে যায়। এরপর সব শুনে বলে ঠিক আছে আমার সঙ্গে চলুন। এরপর বাসায় গিয়ে দেখে তার ভাগ্নে এবং ভাগ্নের বউয়ের মধ্যে ঝামেলা চলছে। তখন তার ভাগ্নের বউ অনেক কথা বলে তার মামাদের নিয়ে। তখন তার মামারা শুনে বলে আমরা আর তোমাদের বাসায় থাকব না। আমরা আজই চলে যাব। তোমাদের আর বিরক্ত করব না। এবং যাওয়ার আগে বলে বউমা তোমার এবং মতিনের মাঝে অনেক অমিল এটা কোনোভাবেই ঠিক না। এইরকম চলতে থাকলে তোমাদের ভবিষ্যৎ খারাপ হবে। এখানেই নাটক টা শেষ হয়ে যায়।

---

---

নাটকের শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

আমাদের দেশে একটা জিনিস দেখা যায় গ্রাম থেকে যখন কেউ শহরে তার আত্মীয় বাড়ি যায় তখন তারা শহরের নিয়ম মেনে চলতে পারে না। এজন্য তারা নানা সমস্যা নানা অপমানের স্বীকার হয়। যেটা এই নাটকে দেখা গিয়েছে। আসলেই এইটা কিন্তু এখন সমাজের বাস্তব। নাটকটা অনেক সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সবাই দারুণ অভিনয় করেছে। নাটক টা অনেক শিক্ষনীয় ছিল। আমার কাছে দারুণ লেগেছে। আপনারা নাটক টা দেখতে পারেন।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০

---

---

নাটকের লিংক

---

---