আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
----- | ----- |
---|---|
পরিচালক | সাঈদ আহমেদ শাওকী |
লেখক | নিয়ামোতুল্লাহ মাসুম |
চিএনাট্য | রাশেদুজ্জামান রাকিব |
প্লাটফর্ম | হইচই |
সিজেন | ০২ |
এপিসোড সংখ্যা | ০৭ |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিন, আফজাল হোসেন, এফএস নাইম, আরও অনেকে। |
The Mother
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় অনেক আগের ঘটনা। যুবক ডেভিড এবং আলফ্রেড সুফিয়া খাতুন এর বাড়ি গেছে। গিয়ে একজন মহিলার কাছে সব খুলে বলে আলফ্রেড। তখন ঐ মহিলা ডেভিড কে জড়িয়ে ধরে এবং বলে সুফিয়া তোমার নানি হয়। এবং তোমার জন্মের পর তোমার মায়ের কথা চিন্তা করে তোমাকে ঐ মিশনারীতে রেখে আসা হয়। সেখান থেকে তোমাকে কানাডার কেউ নিয়ে যায়। তোমার মা এখন পাগল। সবসময় শুধু একটা নামই বলতে থাকে গুলজার। যুদ্ধের সময়ে গুলজার ধর্ষণ করে ডেভিডের মাকে। তারপর থেকে ডেভিডের মায়ের এই অবস্থা। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় জেলার মোস্তকের বন্ধু এসেছে জেলে। এবং তখন মাহা ডেভিডের সঙ্গে কথা বলে বের হচ্ছে। তখন জেলার বলে বাবা কিছু বলছেন যে আতাউর কোথায়। তখন মাহা বলে আপনারা ভালো করে খুঁজে দেখেন আতাউর দেশেই আছে। এবং বলে উনি এখানে বেশিদিন থাকবে না। খুব দ্রুতই চলে যাবে। এই কথা শুনে জেলার মোস্তাক বলে উনি যায় না কেন। এরপর দেখা যায় রাজু কথা বলছে গুলজারের সঙ্গে। গুলজার চশমা টা নিয়ে যায় ডেভিডের সঙ্গে কথা বলতে। ডেভিড বলে চিন্তা নেই কাল বিকেলে আমরা চলে যাব ঐ টানেল দিয়ে। তখন গুলজার হাসতে শুরু করে।
এরপর দেখা যায় কয়েক বছর আগের দৃশ্য। যেখানে ডেভিড আলফ্রেড এবং ঐ উকিল কথা বলছে যে যেভাবেই হোক গুলজারকে বের করতে হবে কারাগার থেকে। কারণ ডেভিড চাই তার মায়ের সামনে গুলজার কে হাজির করতে। কিন্তু গুলজার খুনের দায়ে জেলে তার এখনো ১৪ বছর সাজা বাকি। সেজন্য ডেভিড বলে ঠিক আছে আমি যাব কারাগারে। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় মাহা গিয়েছে আলফ্রেড এবং দিয়ার সঙ্গে কথা বলতে। তখন মাহা বলে ডেভিড বলেছে যে টানেল ওয়ানওয়ে। কেউ একজনকে নিচ থেকে খুলে দিতে টানেলটা। সময় টা ডেভিড জানিয়ে দেবে। তখন আলফ্রেড কান্নার সুরে বলে ডেভিড কে বলবেন একাই বের হয়ে আসতে। মিশন শেষ। তখন মাহা জিজ্ঞেস করে কেন। আলফ্রেড বলে ডেভিডের মা আর বেঁচে নেই। সেজন্য গুলজারকে বের করার কোনো অর্থ নেই। এবং আলফ্রেড একটা ঠিকানা দেয়। বলে এটা জেলার মোস্তাক কে দেবেন। এইখানে আতাউর লুকিয়ে আছে। এবং শেষে বলে কাল সকালে দিয়া আপনাকে নিয়ে যাবে আপনাদের অফিসের সাবেক ম্যানেজার এর কাছে। উনি জানে মেহেদী হাসান কে। উনি তোমাকে সব বলবে। এবং শেষে দেখা যায় ঐ মিয়া ভাই নিজের সবকিছু পুড়িয়ে দিচ্ছে। এবং অন্যদিকে চশমার তার দিয়ে জেলের তালা খোলার চেষ্টা করছে ডেভিড কারণ গুলজারকে ভেতরে ঢোকাতে হবে। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
The Son
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় যুবক ডেভিড এবং আলফ্রেড তার খালার বাড়িতে। সেখানে তার খালা সেই রাতের সব ঘটনা খুলে বলছে। সবকিছু শুনে ডেভিড এবং আলফ্রেড কান্না শুরু করে। অন্যদিকে দিয়া মাহাকে নিয়ে যায় তাদের কোম্পানির সাবেক ম্যানেজার এর কাছে। যে কীনা মেহেদী হাসান সম্পর্কে সব জানে। ঐ ম্যানেজার যখন বলে মেহেদী হাসান তোমার বাবা। তোমার মা এবং বাবা দুজনই ছিল বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী। দুজনই একটা প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক ছিল। সেখান থেকে তাদের প্রেম হয় এবং তারপর তুমি হও। কিন্তু তোমার নানা এবং মামা রা কোনোভাবেই সম্পর্ক মেনে নেয় না। এরপর তোমার বাবাকে তোমার নানারা মেরে ঢাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এবং তারপর তোমার মাকে অন্য জায়গা বিয়ে দেয়। মাহা জিজ্ঞেস করে আমার বাবা কী জানে আমি উনার মেয়ে। তখন ঐ ম্যানেজার বলে না তোমার মা জানাইনি। এরপর মাহা চলে যায়। এবং অন্যদিকে গুলজারকে ডেভিড বলে রাজুকে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।। তখন গুলজার গিয়ে রাজুকে ডেকে নিয়ে আসে। তখন ডেভিড বলে রাজু তোকে এই কারাগারের চাবি যোগার করতে হবে। না হলে গুলজার ভেতরে ঢুকতে পারবে না।
এরপর দেখা যায় মাহা কারাগারে দেখা করতে এসেছে ডেভিডের সঙ্গে। তখন জেলার মোস্তাক বলে মাহা যেন ডেভিডের থেকে জেনে দেয় আতাউর এখন কোথায় আছে। এরপর ডেভিড আসে তখন মাহা বলে মা মারা গেছে। প্রথমে ডেভিড ভাবে মাহার মা মারা গেছে। সেজন্য সে সান্ত্বনা দেয় মাহাকে। কিন্তু মাহা বলে আপনার মা মারা গেছে। তখন ডেভিডের চোখে পানি চলে আসে। মাহা বলে কাল বিকেলে টানেল খুলবে আপনাকে একাই বের হয়ে যেতে বলেছে আপনার বন্ধু। এরপর মাহা বের হয়ে গিয়ে আলফ্রেড এর দেওয়া আতাউরের ঠিকানা দেয় জেলার মোস্তাক কে। মোস্তাক সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে ঐ ঠিকানা থেকে ধরে আনে আতাউর কে। এরপর জেলার আতাউরের ফাইলে গিয়ে দেখে আতাউরের ছবি নেই। তখন সহকারী জেলার আবুল খায়ের বলে আপনাকে এখন অবসর গ্রহণের আবেদনে সাক্ষর করতে হবে। এবং আপনার ছেলে আপনার বাসায় চলে যাবে। কোনো উপায় না দেখে জেলার মোস্তাক রাজি হয়ে যায়। অন্যদিকে রাজু অন্য কয়েদীদের উওেজিত করে তোলে পুলিশের বিরুদ্ধে। এবং বলে আগামীকাল বিকেলে পুলিশদের সঙ্গে ঝামেলা করবে। রাতে ডেভিড তার মায়ের কথা মনে করছে এবং দেয়ালে তার মায়ের নাম মরিয়ম লিখছে। তখন ঐ মিয়া ভাই আসে। এবং সবকিছু শুনে অনেক কথা বলে। শেষে বলে চিন্তা করবেন না মানুষের দেহের মৃত্যু হয় আত্মার বা রুহের না। কাল জালাল একটা জিনিস আপনাকে দেবে। যা করবেন ঈমানদারির সঙ্গে করবেন। এটা বলে চলে যায়। এবং দেখা যায় ফাসি নেওয়ার স্থানে নিজেই নিজের গলায় দড়ি পড়িয়েছে মিয়া ভাই। এখানেই শেষ হয়ে যায় এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
কারাগার সিরিজের পার্ট-2 এর পঞ্চম ও ষষ্ঠ এপিসোডে বেশ অনেক প্রশ্নের উওর পাওয়া যায়। যেখানে যুবক ডেভিড তার মাকে খুঁজে পাই। অন্যদিকে মাহা তার আসল বাবার সম্পর্কে জানতে পারে। এবং অন্যদিকে গুলজারও বের হতে রাজি হয়ে যায়। অন্যদিকে জেলার মোস্তাকও ডেভিড কে বাবা মানে গাজীপীর হিসেবে বিশ্বাস করতে থাকে। কিন্তু শেষমেশ খবর আসে ডেভিডের মা মারা গেছে। এখন ডেভিড কী তার কুলাঙ্গার বাবা গুলজারকে বের করবে কীনা সেটা দেখার। এবং শেষ মূহুর্তে দেখা যায় মিয়া ভাই ফাঁসি নিতে যাচ্ছে। এবং এপিসোড রয়েছে আর একটা। পরবর্তী সপ্তাহে সবকিছুর জট খুলে দিব। এককথায় অসাধারণ একটা মেকিং ছিল কারাগার।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।