শেষ পরিণতি!!

in hive-129948 •  last year 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


heart-700141_1280.jpg

Source


বতর্মানে এমন একটা বয়স অতিবাহিত করছি সুন্দর মেয়ে দেখলেই ভালো লাগে হা হা। এটা অন্য ভাবে নিবেন না। তবে আমি মেয়েদের দেখে খুবই ভয় পায়। গিয়ে কথা বলার সক্ষমতা নাই আমার নাই। গত জুলাই মাসের কথা। আমাদের সপ্তম সেমিষ্টারে শেষ পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষায় গার্ডে ছিল একটা ম‍্যাম। ম‍্যাম টার বয়স বেশি না। তবে দেখতে বেশ সুন্দরী। ঐদিন পরীক্ষার হলেই ম‍্যামের সঙ্গে অনেক গল্প করেছিলাম লেখা বাদ দিয়ে। বলতে গেলে ঐ ম‍্যামের উপর ক্রাশ খেয়েছিলাম। ওখানেই সব শেষ। তারপর আর কখনো ম‍্যামের সঙ্গে দেখাও হয় নাই কথাও হয় নাই। সাগর আমার পাশের এলাকার ছেলে। ওর বাবা নাম মনোরঞ্জন বিশ্বাস। লোকটা বেশ ভালো মনের। আমাদের থেকে বড় হলেও কথাবার্তা বেশ ভালোভাবে বলে। সাগর আমার থেকে দুই বছরের ছোট। এসএসসি পাশ করে সাগর আমার কলেজে ভর্তি হয় সিভিল ডিপার্টমেন্টে।

কলেজে গিয়ে বেশ কয়েকবার ওকে দেখেছি। কিন্তু কখনো ওর সঙ্গে ঐভাবে কথা বলিনি। যাইহোক আমাদের মধ্যে কখনোই কোন কথা হয়নি সেরকম। তবে পাশের এলাকায় হওয়াই চিনতাম। সাগর বর্তমানে চতুর্থ সেমিষ্টারে ছিল। কয়েকদিন আমার মনটাও খুব একটা ভালো না। গতকাল বিকেলে আমি হেঁটে পড়াতে যাচ্ছি। প্রতিদিন ঐ রাস্তা দিয়েই আমি হেঁটে যায়। যাইহোক দেখি একটা বাড়িত লোকজন অনেক। পরে একজন লোক বলল ঐ বাড়ির একটা ছেলে আত্মহত্যা করছে। আমি সেরকম গুরুত্ব না দিয়ে চলে যায়। পরে পড়ানোর ফাঁকে একটু ফেসবুক ক্রল করছিলাম। দেখি বেশ কয়েকজন পোস্ট করছে সাগরকে নিয়ে। যে আজ বিকেলে আমাদের বন্ধু সাগর আত্মহত্যা করছে। তখন ব‍্যাপারটা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।


pink-rose-3656894_1280.jpg

Source


পরবর্তীতে জানতে পারি সাগর বাবা তার পরিবার কে নিয়ে এখন শহরের মধ্যেই বাসা ভাড়া থাকে। এবং ঐ বাড়িতে যে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে সেটা তাহলে সাগরই। তখনও আমি পুরো কাহিনী টা জানতাম না। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো প্রেমের বিচ্ছেদে বা বাড়ি থেকে কোন আবদার পূরণ করেনি সেজন্য ও এইরকম টা করেছে। বতর্মান সময়ের ছেলেরা তো এইসব কারণেই আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে আমার কলেজ গ্রুপ এবং বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারি যে সাগরের তার নিজের ডিপার্টমেন্টের শিক্ষিকা চন্দ্রার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তখন অবাক হয়েছি পরবর্তীতে ঐ ম‍্যামের ছবি দেখে আমি আরও বেশি অবাক হয়েছি। পোস্টের প্রথমে আমি উনা কথায় বলেছি। কিন্তু তখন বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরবর্তীতে পুরো ঘটনা জানতে পারি। দুজনের মধ্যে নাকী প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীতে ঐ ম‍্যাম নাকী ওর সঙ্গে সবকিছু ছাড়াছাড়ি করে নেয়।

এবং ম‍্যামের সঙ্গে বিচ্ছেদ টা মেনে না নিতে পেরে একেবারে ডিপ্রেশনে চলে যায় সাগর। পরবর্তীতে সাগরের অবস্থা দেখে সাগরের মা কলেজে গিয়ে ঐ ম‍্যামের সঙ্গে কথা বললেও কোন কাজ হয়নি। উল্লেখ্য সাগরের বয়স ছিল ১৯ এবং ঐ ম‍্যামের বয়স ছিল ২৬ এর মতো। বয়স কখনোই সব না। কিন্তু ম‍্যামের রিলেশনে যাওয়ার আগে সাগরের বয়সটা আবেগটা সম্পর্কে বোঝা উচিত ছিল। এবং রিলেশনে যাওয়ার পরে যখন দেখছে ছেলেটা তার উপর অনেক টা নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছে তখন উনার টনক নড়েছে যে এটা ঠিক না। এবং উনি ব্রেকাপ করে নিয়েছেন কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই কথা বলা বন্ধ করার ফল সাগরের আজকের এই পরিণতি। এখানে আমি কোন একজনের দোষ দিব না। সাগর ভুল করেছে ম‍্যামের সঙ্গে এমন কিছু চিন্তা করে কিন্তু ঐ ম‍্যাম তার চেয়ে বড় ভুল করেছে যে সে সাগরকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিয়েছে। দিনশেষে তারা তো চলে গিয়ে ঠিকই থাকে কিন্তু সাগরের মতো ছেলেরা নিজেদের কে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এইরকম কাজ করে বসে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সম্পুর্নটা পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো।আসলে আমরা অনেকেই কিছু না জেনে কোন একটা কাজে পা বাড়ই যেটা ঠিক নয়।শেষ পরিনতি ভাবা খুব জরুরি। আবেগ নয় বরং বিবেক দিয়ে কাজ করা খুব দরকার।