আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
সিরিজের নাম | মহানগর |
পরিচালক | আসফাক নিপুন |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ০৮ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | মোশারফ করিম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, শ্যামল মাওলা, খাইরুল বাসার, জাকিয়া বারী মোমো, নাসির উদ্দিন খান আরও অনেকে।। |
গোড়ায় গলদ
এই পর্বের শুরুতেই দেখা যায় মলয় ঐ এলাকার প্রতিটা ঔষধের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করছে। এবং করতে করতে ঐ ছেলে, যে থানায় এক্সিডেন্টের অভিযোগ করতে এসেছিল তার দেখা পেয়ে যায়। তারপর ফার্মেসি মালিক বলে শান্ত ভাইয়ের বাড়িটা ঐদিকে। এবার মলয় গিয়ে যখন শান্তর সঙ্গে কথা বলে। তখন শান্ত বলে স্যার আমি কিছুই দেখিনি আমি মিথ্যা বলছি। আসলে আমার বাড়ির কাজের বুয়ার স্বামী এবং ঐলোক একই জায়গাই কাজ করে। সে বলল থানায় গিয়ে খোজ নিতে সেজন্য আমি গেছিলাম। এরপর দেখা যায় আবির জেলে বসে কান্না করছে। এক পর্যায়ে গিয়ে আবির বলে আমি এসি ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলব। এরপর আবির যখন এসি ম্যামের কাছে যায় তার আগেই হারুন ধরে আবিরকে একটা থাপ্পড় মারে। তারপর আবার জেলে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দেখা যায় হারুন আফনান চৌধুরীর কাছে আরও ২০ লাখ টাকা চাচ্ছে কারণ ঐ এক্সিডেন্টকারী ব্যক্তির বউ অভিযোগ করছে। হারুন বলে টাকা টা দিয়ে সবকিছু মিটিয়ে নেব।
এরপর টাকার কথা শুনে ঐ মহিলা তার স্টেটমেন্ট বদলে দিতে চাই। তখন ঐ এসি স্যার মহিলাকে বলে আপনি আপনার স্টেটমেন্ট পাল্টাতে কেন চাচ্ছেন। ঐ মহিলা বলে এমনেই। কিন্তু এসি ম্যাম বুঝে যায় ওসি হারুন টাকার লোভ দেখিয়েছে মহিলা টাকে। এরপর এসি ম্যাম গিয়ে বলে আলমগীর চৌধুরীর নামে যত মামলা আছে তার সব ফাইল আমি আমার টেবলে চাই। অন্যদিকে দেখা যায় মলয় তার কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে। এবং বলে আমি আসছি। এরপর ভ্যানে করে একটা লাশ থানায় আছে। ঐ লাশ দেখে ঐ মহিলা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। বলে আমি টাকা দিয়ে কী করব। আমার স্বামী নেই। সবাই ভাবে যে এক্সিডেন্ট করছে এটা তার লাশ। এটা দেখে হারুন ভেতরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় মলয় থানায় এসে এই অবস্থা দেখে এসি ম্যামের কাছে জিজ্ঞেস করে এটা কার লাশ। এসি ম্যাম বলে যে এক্সিডেন্ট করছে এটা তার লাশ এবং উনি হলেন তার স্ত্রী। কিন্তু মলয় বলে আমি খোঁজ নিয়ে দেখলাম যে এক্সিডেন্ট করছে তার কোনো পরিবারই নাই। এটা শুনে এসি ম্যাম অবাক। উনি বলেন তাহলে এটা কার লাশ। আর এই মহিলা কে।।
কিস্তিমাত
শুরুতেই দেখা যায় আফনান চৌধুরী ফোনে কথা বলছে যে হারুন কোনো কাজের না। তখন হারুন এসে বলে আমার হাতে আর কিছু নেই লাশ চলে এসেছে। এখন আপনাকে কোটে যেতেই হবে। এটা শুনে হারুন এর গলা চাপ দিয়ে ধরে আফনান। এরপর এসি ম্যাম এবং মলয় ঐ মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে গিয়ে ঐ মহিলা ভয়ে বলে আমি কিছুই জানি না। আমাকে হারুন স্যার পাঠিয়েছে। বলেছে ঐ লোকের স্ত্রী হয়ে অভিযোগ করলে আমাকে অনেক টাকা দেবে। এরপর দেখা যায় সকালে আফনান কে কোটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় হারুন এবং এসি স্যার একসঙ্গে ছাদে চা খাচ্ছে। তখন এসি ম্যাম বলছে হারুন সাহেব আপনি ইচ্ছা করলে টাকা নিয়ে তখনই আফনান চৌধুরী কে ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে আপনি আরও আফনান চৌধুরী কে ফাসিয়ে দিলেন। আপনিও জানেন এটা ইচ্ছাকৃত এক্সিডেন্ট না। তখন হারুন নিজে নিজে বলতে থাকে।
আসলে গতরাতে এক্সিডেন্ট এর আগে আফনান ঐ পার্টিতে একটা মেয়েকে ধর্ষন করে। এটা গোপন থাকলেও কোনোভাবে হারুন জেনে যায়। হারুন জানতো যে আফনান এক্সিডেন্ট কেস থেকে নিমেষেই ছাড়া পেয়ে যাবে। সেজন্য হারুন আফনানকে থানায় কৌশলে রেখে ঐ মেয়ের খোজ নিতে লোক পাটাই। এবং এক্সিডেন্ট করা লাশটা হারুন নিজেই লুকিয়ে রাখে। এবং সময় মতো বের করে নিয়ে আসে। এরপর আবিরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাইহোক এরপর দেখা যায় মলয় এসে এসি ম্যাম এর কাছে বলছে ম্যাম আমি তো একটা কাজ করে ফেলছি। ডিবিকে বলে দিয়েছি হারুন স্যার অনেক টাকা নিয়েছে। তখন এসি ম্যাম বলে যেভাবে হোক আটকাও। মলয় বলে সম্ভব না ম্যাম ওরা পথে প্রায় চলে এসেছে। এবং টাকাসহ হারুনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ডিবির সঙ্গে যাওয়ার সময় হারুন মলয়কে বলে মলয় তুমি শুধু আঙ্গুল বাঁকা করা টাই দেখলে। আমার কাজটা দেখলে না। আঙুল বাঁকা করে আমি তো ঐ কাজটাই করছি যেটা তোমরা করতে চাইছিলে। এখানেই সব শেষ না মলয় আমি আবার ফিরে আসব। এরপর মলয় তার ভুল বুঝতে পারে। এবং ভাবতে থাকে হারুন স্যার আফনান এর সম্পর্কে কী এমন জানতো।।
ব্যক্তিগত মতামত
আমরা আমাদের চর্মচোখে যা দেখি সবসময় তা ঠিক না। ঘটনার পেছনে যে ঘটনা থাকে সেটা আমরা কেউ খেয়াল করি না। এই ওয়েব সিরিজেও সেটাই হয়েছে। এখানে সবাই এক্সিডেন্ট কেস নিয়ে পড়ে থাকলেও ওসি হারুন বুঝেছিল না আফনান চৌধুরী আরও বড় কোনো অপরাধ করছে। সেজন্য সে ঐ ভুক্তভোগীকে খোজার জন্য নিজের ইনফরমারদের কাজে লাগায়। এবং বিভিন্ন কৌশলে আফনানকে থানায় আটকে রাখে ওসি হারুন। কিন্তু ওসি হারুনকে সবাই ভুল বোঝে। আসলে সে একেবারে সৎ একজন অফিসার আমার যা মনে হয়েছে। শেষ পর্যায়ে হারুন মলয়কে বলেও যায় মলয় এখানেই শেষ না আরও বাকি আছে। অর্থাৎ আমরা খুব দ্রুতই মহানগর পার্ট-2 পেতে যাচ্ছি। যেখানে অনেকগুলো প্রশ্নের জট খুলবে। মহানগর ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটা এপিসোড আমি অনেক ভেঙে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যাইহোক আজ এই পর্যন্তই। সিজেন-2 আসলে আবার আসব ইনশাআল্লাহ।।
ব্যক্তিগত রেটিং: ৯/১০
ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আসফাক নিপুন এর এক অমর কৃর্তি হল মহানগর এটার শুরু থেকে না দেখলে ঘটনা বোঝা যাবে না।অনেক দারুন রিভউ দিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit