পদ্মা নদী ভ্রমণ এবং ভিডিও ব্লগ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার পর মোটামুটি হাইওয়ে দিয়ে গিয়েছি। কিন্তু এবার গ্রামের রাস্তায় ঢুকতে হবে। অনেকটা পদ্মার কাছে চলে এসেছি। এখনই বাঁধে ঝামেলা। রাস্তাটা মাটির এবং মাঝে মাঝে গর্ত আমার শেয়ার করা ব্লগটি দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন। এরই মধ্যে বাইক নিয়ে আমি এবং লিখন এগিয়ে গেলাম। ভিডিও টা আমি নিজেই ধারণ করেছি। এই রাস্তায় প্রচুর পরিমাণ ধুলা ছিল। কী আর করার চলে যখন এসেছি। যাইহোক এভাবে এই মাটির রাস্তা ধরে ৪-৫ মিনিট যেতে ই চলে এলাম সেই পদ্মায়।এখানে এসে এর আগে আমি কখনো পদ্মা দেখিনি। এবারই প্রথম। বেশ ভালো লাগছিল।

---

---

ফটো ১	ফটো ২

ফটো ৩	ফটো ৪

---

w3w

---

আমি বেশ অনেক দিন পর নদীর সংস্পর্শে এলাম বেশ ভালো লাগছিল। যাইহোক এখানে এসে আগে একটা ভালো জায়গা দেখে বাইকটা পার্ক করলাম। এরপর গেলাম নিচে। দিনটা ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন তাই আমরা ছাড়াও আরও অনেকে এসেছিল এখানে ঘুরতে। যাইহোক নদীর এপাশে কুষ্টিয়া জেলা এবং ওপাশে পাবনা জেলা এবং ওটা রাজশাহী বিভাগের মধ্যে পড়ে যায়। এই নদীটা দুইটা থানা দুইটা জেলা এবং দুইটা বিভাগকে আলাদা করেছে। যাইহোক বেশ ভালো অনূভুতি হচ্ছিল আমার। এরপর আমি আমার কাজে লেগে যায় আমি কিছু ছবি তুলি।

---

---

---

w3w

---

একে তে রোদ নেই তারপর আবার নদীর পাড়ের ঠান্ডা হওয়া। হাওয়া টা এসে শরীর টাকে শিহরিত করে দিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক এরপর দেখলাম অনেককে নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরছে। তো আমরা ঠিক করলাম আমরাও যাব ঘুরতে। একজন মাঝির সাথে কথা বললাম। উনি বললেন দুজন গেলে ২০০ টাকা লাগবে। এবং ২০ মিনিট নদীতে ঘোরাব। টাকা টা বড় বিষয় না। কিন্তু ২০ মিনিট সময়টা একেবারেই কম হয়েছে যায়। তাই আর নৌকায় উঠা হলো না। এরপর আমি এবং লিখন নদীর পাড় দিয়ে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করি। এবং পাশেই একটি দোকানে ওরে নীল দরিয়া গানটা বাজছিল। গানটা আমার খুবই পছন্দের। এবং এই গানটা নদী সাগর পরিবশের সাথেই যায়। এই গানের শিল্পী প্রয়াত আব্দুল জব্বারের বাড়ি আমাদের এই কুষ্টিয়া জেলায়। যাইহোক এরপর আমি নিজেও উৎসাহ বসে একটি ভিডিও ধারণ করি।

---

---