নির্বাসিত নক্ষত্র ( চতুর্থ পর্ব )!!!

in hive-129948 •  18 days ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ সোমবার, ২৭ ই জানুয়ারি,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000572210.jpg

ছবিটি Pixabay নিয়ে নেওয়া এবং Canva দিয়ে এডিট করা


তৃতীয় পর্বের পর


কিছুক্ষণ পর দুজনেই নিজেদের রুমে চলে যায়। বাইরে টা বেশ সুন্দর। তবে ওখানে বেশিক্ষণ থাকেনি ওরা। কারণ কিছুক্ষণ পরেই অন্য পর্যটক রা চলে আসে। এইজন্যই ওরা চলে আসে ওখান থেকে। রুমে এসে বসতেই ম্রিয়মান বলে উঠে। আচ্ছা তৃপা আপনি তো আলাদা রুম নিতে পারতেন। একটা রুম নিলেন কেন।

আমি ইচ্ছা করেই নিয়েছি। যেন কথা বলতে বলতে যাওয়া যায়। আমি একা থেকে বিরক্ত হতে চাই না। কেন আপনি কী দূর্নামের ভয় করছেন। ভাবছেন একটা মেয়ের সাথে আপনি একই রুমে ছিলেন এটা যদি আপনার গার্লফ্রেন্ড জেনে যায় তখন কী হবে।।

আমি আপনার কথা ভাবছি। আর আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই । আর থাকলেও এইসবে ভয় পেতাম না। আমি তো আপনার কথা ভেবে বললাম। আমার কথা বাদ দিন। আমি বড় হয়েছি কানাডায়। এগুলো আমার কাছে স্বাভাবিক। আর আমরা তো বন্ধু তার উপর দুজনেইর প্রশ্ন করার মতো মানুষ নেই। ঠিক বললাম তো। হ‍্যা বলে উওর দিল ম্রিয়মান

কথা বলতে বলতে প‍্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে সেটা ধরালো তৃপা। ম্রিয়মান বলল এই ব‍্যাপার টা আসলেই খুবই বাজে। মেয়ে মানুষ সিগারেট খাচ্ছে। এটা দেখতে মোটেও ভালো লাগে না।

কেন আপনার গার্লফ্রেন্ড স্মোক করে না বলে কী অন্য মেয়েও করতে পারে না বলল ত‍ৃপা। আপনাকে বলেছি না আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই। সুতরাং ঐসব আর বলবেন না।

সত্যি নেই। আমার বিশ্বাস হয় না। আমাকে বানাবেন আপনার গার্লফ্রেন্ড আমি রাজি। আমি কিন্তু এতোটাও খারাপ দেখতে না। বলে হা হা করে হেঁসে উঠল তৃপা।

আপনি কী মজা করছেন আমার সাথে বলল ম্রিয়মান। এইটা এতোক্ষণে বুঝলেন আপনি। এভাবেই কথা বলতে বলতে অনেক টা সময় কেটে গিয়েছে ওরা খেয়ালই করেনি। দুপুরের সময় হঠাৎ রুমের দরজায় ঠকর,ঠকর আওয়াজ দরজা খুলল ম্রিয়মান জাহাজের একজন বয়।

স‍্যার আপনারা কী ক‍্যান্টিনে গিয়ে খাবেন। না খাবার এখানে দিয়ে যাব।

কী করবেন তৃপা কে জিজ্ঞেস করল ম্রিয়মান।

আমার নিচে যেতে ইচ্ছা করছে না। এখানেই দিয়ে যেতে বলুন।

শুনলেন তো কী বলল। বয় কে উদ্দেশ্য করে বলল ম্রিয়মান। স‍্যার কি খাবেন যদি বলতেন??

কী কী আছে দুপুরে। বয় যথারীতি দুপুরের খাবারের মেন‍্যু বলল। ত‍ৃপা এবং ম্রিয়মান দুজনেই অর্ডার করল সামদ্রিক রুপচাঁদা ফ্রাই, টুনা মাছের ক‍‍্যারি এবং ভাত।

কিছু সময় পরেই খাবার চলে আসলো। খাবার দিয়ে একজন চলে গেল এবং ঐ বয়টা দাঁড়িয়ে থাকল। আপনি যেতে পারেন বলল ম্রিয়মান।

না স‍্যার আমি আছি যদি আপনাদের কিছু দরকার হয়। তৃপা এবং ম্রিয়মান ততক্ষণে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসে গিয়েছে। খেতে খেতে তৃপা বয়কে জিজ্ঞেস করল আমরা সেন্ট মার্টিন কখন পৌছাব??

এইতো ম‍্যাম অর কিছুক্ষণ লাগবে। মোটামুটি চারটার দিকে আমরা পৌছে যাব সেন্টমার্টিনে। তাহলে তো আর বেশিক্ষণ সময় নেই।

ঠিক আছে তাহলে খাওয়া শেষ করে আবার একটু বাইরে টা ঘুরে আসব কী বলেন ম্রিয়মান। হ‍্যা আমার কোন সমস্যা নেই বলল ম্রিয়মান।

খাওয়া শেষ হতেই তৃপা নিজের ব‍্যাগ থেকে অনেক গুলো মেডিসিন বের করে। কোন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষ এতোগুলো মেডিসিন কখনোই খাবে না। তৃপাকে জিজ্ঞেস করল ম্রিয়মান এগুলো কিসের ঔষধ। সেরকম কিছু না বলে কাটিয়ে দিল তৃপা।

মেডিসিন গুলো খেয়েই বিছানায় শুয়ে পড়ল তৃপা। কী হলো বাইরে যাবেন না প্রশ্ন করল ম্রিয়মান। না আমার ঠিক ভালো লাগছে না শরীর টা। আমি একটু বিশ্রাম নেব। কিছুক্ষণ পর আমাকে ডেকে দিয়েন। তৃপা রুমে শুয়ে পড়লো। ঐসময় ম্রিয়মান বাইরে চলে গেল। সেই জাহাজের সামনের খোলা জায়গাটাই দাঁড়িয়ে ম্রিয়মান।

চলবে.....



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Daily task

1000572927.jpg

1000572926.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

গল্পটা আসলে কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছি না।তবে আগ্রহ কিন্তু বেড়েই চলেছে।আজকের পর্বটি পড়ে তৃণাকে ভালো কোন মেয়ে মনে হচ্ছে না আমার।কি জানি কি হবে?? খুব দ্রুত পরের পর্বটি শেয়ার করবেন ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

গল্প তো স্যাড এন্ডিং এর দিকে যাচ্ছে মনে হয়। কি জানি সামনে আর কি কি টুইস্ট আসে! পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।