আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঢাকা হলো বাংলাদেশের রাজধানী। এবং বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো ঢাকাতেই। বলা যায় বাংলাদেশ ঢাকা কেন্দ্রীক একটা দেশ। আমি প্রথমবার ঢাকায় গিয়েছিলাম ২০১৯ সালে। তখন আমার বয়স মাএ সতের। তখন গিয়ে মোটামুটি ৭ দিন ছিলাম। এই কবছরে আর দরকার হয়নি। সেজন্য যাওয়া হয়নি আর ঢাকা। তবে এবার আমরা কয়েকজন বন্ধু আমি, নাভিদ, ইকরা, রাসেল, তুহিন ঠিক করি ঢাকা যাব ঘুরতে। এর আগে আমাদের অনেক ট্যুর প্ল্যান বাতিল হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই সিরিয়াস ছিলাম এবারের ট্যুর টা কোনোভাবেই বাতিল করা যাবে না। তবে আমাদের প্রধান গন্তব্য ছিল ঢাকা গাজীপুর। ওখানে গিয়েছিলাম ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট) দেখতে। বুধবার রাতে আমরা অনলাইন থেকে ট্রেনের টিকিট কেটে নেয়। শুক্রবার সকাল এগারো টার সময় কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমাদের ট্রেন ছিল।
মোটামুটি ১১ টার সময় আমি এবং আমার বন্ধু স্টেশনে পৌছে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখি কেউ আসেনি। তবে দেখি আমার বন্ধু ইকরার গার্লফ্রেন্ড অনামিকা এসে হাজির। এবং আমাদের বিদায় দিতে এসেছে সঙ্গে কেক, বিস্কুট, চকলেট আরও নানা খাবার নিয়ে এসেছে। এটা সম্পর্কে আমি আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। কিছুক্ষণ পর একে একে আমার অন্য বন্ধুরা স্টেশনে চলে আসলো। আমরা এখান থেকে মধুমতি ট্রেনে ফরিদপুর জেলার ভাঙা স্টেশন পযর্ন্ত যাব। তারপর সেখান থেকে ঢাকার বাসে উঠব। আমাদের ট্রেন ১৫ মিনিট লেট ছিল। ট্রেন আসতেই আমরা সবাই ট্রেনে উঠে আমাদের সিটে বসে পড়ি। প্রথমবার বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে এভাবে ঘুরতে যাচ্ছি বেশ আলাদা একটা অনূভুতি হচ্ছিল। মধুমতি হলো ইন্টারসিটি ট্রেন সব স্টেশনে থামে না। এক ঘন্টা পর রাজবাড়ী স্টেশনে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থামে। তখন আমরা ট্রেন থেকে নেমে চা খাই এবং স্টেশন টা ঘুরে দেখি।
রাজবাড়ী থেকে ট্রেন ছাড়ার পর আমার কাছে সবকিছুই নতুন। কারণ এর আগে আমি আর এদিকে আসিনি। সেজন্য প্রতিটা স্টেশনে আমি নামছিলাম এবং ছবি তুলছিলাম। যাইহোক এরপর আমরা চলে যায় ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশন। ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশন টা খুব একটা বড় না তবে বেশ সুন্দর। এবং একটা কথা বলে রাখি হইচই এর জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ মহানগর-2 এর একটা দৃশ্যের শ্যুটিং ফরিদপুর স্টেশন এর বাইরে থেকে করা। যেটা আমরা দেখে বুঝতে পেরেছিলাম। ট্রেনের মধ্যে আমরা ছাড়াও আরও অনেক লোকজন ছিল। তবে অধিকাংশ লোক ফরিদপুর নেমে যায়। ফরিদপুর এর কয়েক স্টেশন পরেই ভাঙা স্টেশন। ফরিদপুর এর পরে ট্রেন প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
মোটামুটি ২ টার দিকে আমরা ভাঙা রেলওয়ে স্টেশনে পৌছায়। এবং এই মধুমতী ট্রেন টা এই পযর্ন্তই আসে। এরপর এখান থেকে আবার রাজশাহীর উদ্দেশ্য চলে যায়। ভাঙা স্টেশনে গিয়ে প্লাটফর্ম এর অনেক বাইরে আমাদের কামড়া থামে। কী আর করার আমরা ঐটুকু ট্রেনের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যায়। কারণ নিচ দিয়ে অনেক পাথর ছিল। ভাঙা গিয়ে প্রথমে আমরা হাতমুখ ভেঙে যায়। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেয় সেখান থেকে একটা সিএনজিতে ভাঙা বাসস্ট্যান্ড যাব। সেখান থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে ঢাকার বাসে উঠব। সেদিন ছিল শুক্রবার আর বেশ গরমও ছিল। মোটামুটি একটা সিএনজি তে উঠে পড়ি। উনি আমাদের ভাঙা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যায় এবং ঢাকা যাওয়ার ভালো একটা বাসের সামনে নিয়ে যায়। এরপর আমরা বাসের টিকিট কেটে বাসে ব্যাগ রেখে পাশেই একটা হোটেলে খেতে যায়।। মোটামুটি দুপুরের খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আমরা বাসে উঠি।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনাদের বন্ধুদের প্ল্যান এবার টেকসই হয়েছে, যার কারণে আপনারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে পেরেছেন। এর আগে বহুবার প্ল্যান করে আপনারা সফল হননি, তবে এবার ঢাকা ট্যুর প্ল্যান সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আর আপনাদের জার্নির সময় আপনার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড বেশ কিছু খাবারও প্যাকেট করে দিয়েছে দেখছি। এর মানে হচ্ছে আপনাদের জার্নিটা বেশ ভালই হয়েছে। ঢাকা ট্যুর নিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit