আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া
সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | তানিম রহমান আংশু |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড | ৮ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানিম রহমান আংশু, শাহারিয়ার শাকিল, সনি সাকিব, আর.খান, ইয়াস রোহান, তমা মির্জা, শাহনাজ সুমি আরও অনেকে। |
চেনা যখন অচেনা
প্রথমেই দেখা যায় ২৫ বছর আগের এক দৃশ্য। যেখানে আরমান এর বউ সাবিনা তাকে ফোন করে। কিন্তু শ্যুটিং এ থাকায় আরমান ফোন না ধরার জন্য দুজনের মধ্যে বেশ ঝগড়া হয়। এরপর দেখা যায় আরমানের মৃত্যুর পর সাবিনার জিজ্ঞাসাবাদ। সেটা মামুন সাহেব খুব ভালো করে শোনে। এবার বর্তমানে মামুন সাহেব আবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সাবিনা কে। তখন সাবিনা আবার সব বলে আরমানের মৃত্যুর রাতে কী ঘটেছিল সব। কিন্তু সাবিনার ২৫ বছর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকার এবং এখন দেওয়া সাক্ষাৎকারের অনেক কিছু অমিল ছিল। যাইহোক এরপর দেখাই ২৫ বছর আগে আরমান এবং সাবিনার প্রেম কাহিনী। তখন আরমান নায়ক হয়নি। পরের দৃশ্যে দেখা যায় একটা হোটেলে বসে বান্নাহ এবং সাবিনা কফি খাচ্ছে। তখন সাবিনা বলছে আমাকে ঢাকার বাইরে যেতে নিষেধ করছে। এবং বান্নাহ বলছে আমাকে তো বাড়ি এবং অফিসের বাইরে যেতে নিষেধ করছে। সাবিনা বলে উনি কী আমাদের সন্দেহ করছে।
পরের দৃশ্যে দেখা যায় মামুন এর ভাগ্নি বলছে মামা আজ আমার জন্মদিন তাড়াতাড়ি এসো। মামুনও বলে ঠিক আছে। এরপর আবার আগের দৃশ্য দেখাই। যেখানে সাবিনা আরমান এর কাছে বলে আমি তো সারাদিন বাড়িতে থাকি অভিনয় করলে তো আমার সময় কেটে যাবে। কিন্তু আরমান সেটা পছন্দ করেনি। যাইহোক এরপর মামুন সাহেব বলে খালেদ শিকদার এর সম্পর্কে খবর নিতে। খালেদ শিকদার আরমান এর মৃত্যুর অন্যতম প্রধান আসামি ছিল। কিন্তু দশ বছর ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। এরপর দেখা যায় মামুন সাহেব বলছে শবনম এর কী খবর। শবনম আরমান এর নায়িকা ছিল। শবনম বতর্মানে কলকাতায় সিরিয়ালের শ্যুটিং করছে। এবং বলছে শ্যুটিং শেষ হলে বাংলাদেশে আসবে। এরপর দেখা যায় মামুন সাহেব এক রাজনীতিবিদ এর কাছে গেছে। এই রাজনীতিবিদ এর সঙ্গে আরমান এর মায়ের সম্পর্ক ছিল। এবং এটা নিয়ে আরমান এবং তার মায়ের ঝামেলা চলছিল। অন্যদিকে দেখা যায় শ্যুটিং চলাকালীন শবনম শুটিং সেটে মাথার উপর লাইট পড়ে মেঝেতে পড়ে যায়। এখানেই শেষ হয় এপিসোডটা।
স্নেহের ছলনা
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় ২৫ বছর আগের ঘটনা। যেখানে আরমান তার এক সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছে। সেখানে তার সাংবাদিক বন্ধু তাকে তার মায়ের একটা ছবি দেখাই রাজনীতিবিদ শওকত এর সঙ্গে। সেটা দেখে আরমান বেশ রেগে যায়। এরপর আরমান এসে তার মায়ের সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলে। এবং দুজনের মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দেখা যায় মামুন অবসরপ্রাপ্ত একজন অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছে। উনি প্রথম আরমান এর কেস নিয়ে তদন্ত করেছিলেন। ঐ ফাইল থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা কাগজ হারিয়ে গেছে। মামুন সেটা জিজ্ঞেস করতে যায়। কিন্তু উনি বলেন আমি জানি না। এবং বলেন আমি যা পেয়েছি তুমি তার থেকে বেশি কিছুই পাবে না। এটা শুনে মামুন বলে স্যার চেষ্টা করেই দেখি না কেন। এটা শুনে ঐ স্যার রেগে যায়। এরপর দেখা আরমান এর মা শাহিনা চৌধুরী মামুন সাহেব এর অফিসে এসেছে। মামুন সাহেব তখন জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। শাহিনা চৌধুরী সবকিছুই বলেন।
তবে শাহিনা চৌধুরী অনেক কিছু গোপন করেন যেগুলো আরমান এর স্ত্রী বলেছিলেন। শাহিনা চৌধুরী বলেন আরমান এর সঙ্গে তার কোনো ঝামেলা ছিল না শওকত এর বিষয় নিয়ে। তাদের মধ্যে অন্য বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল। এরপর শাহিনা চৌধুরী বলে তার ছেলের হত্যার পেছনে চারজন দায়ী আরমান এর স্ত্রী, বান্নাহ, খালেদ শিকদার এবং শবনম। পরের দৃশ্য দেখা যায় খালেদ শিকদর বিদেশের কোনো হোটেলে আছে। এবং বাংলাদেশ থেকে কেউ একজন ফোন করে বলছে আরমান এর খুনের তদন্ত আবার শুরু হয়েছে। তখন খালেদ শিকদার বলে সমস্যা নেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু খালেদ শিকদার সবসময় ধরা ছোয়ার বাইরে। এরপর দেখা গাড়িতে করে কেউ মামুন সাহেব এর বোনের বাসায় আসে। এবং তার ভাগ্নির কুকুরটা মেরে ফেলে। এটা দেখে মামুন সাহেব প্রচণ্ড রেগে যায়। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।।
ব্যক্তিগত মতামত
এই এপিসোডে আরমান হত্যার তদন্তে বেশ অনেকটা এগিয়েছে মামুন সাহেব। আরমান হত্যার সঙ্গে যাদের নাম আসে খালেদ শিকদার বাদে প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরমধ্যে বেশ কিছু ফাইল আবার মিসিং। অর্থাৎ এর সঙ্গে পুলিশের কেউ জড়িয়ে আছে যে চাই না আরমান খুনের রহস্য ভেদ হোক। এটা বুঝতে পারে মামুন। এবং শেষ পর্যায়ে এসে খালেদ শিকদার কে দেখাই। তবে সে বাংলাদেশ পুলিশ এর ধার ছোয়ার বাইরে।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ভাইয়া আপনার এই সিরিজটার সাথে সালমান শাহ হত্যা মামলার ঘটনা কিছু গন্ধ পাচ্ছি। আপনি অনেক সুন্দরভাবে নাটকটির বিভিন্ন পর্বের রিভিউ করেছেন। আগের পর্বগুলো আমার পড়া হয়নি। বেশ সুন্দরী বিয়ে করেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit