আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় আমার অনেক পছন্দের একজন লেখক। একটু আলাদাভাবে বলতে গেলে বলতে হয় উনার উপন্যাসগুলো আমাকে যেভাবে টানে যেভাবে মুগ্ধ করে সেভাবে অন্য কারো উপন্যাস আমাকে টানে না। বলতেই পারেন আমি উনার অনেক বড় একজন পাঠক এবং ভক্ত। এবং এই বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এর যে বিখ্যাত উপন্যাস গুলো রয়েছে এরমধ্যে অন্যতম হলো পথের পাঁচালি, অপরাজিত, অশনি সংকেত এগুলো। এবং এই উপনাসগুলো নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়। এবং আমার কাছে মনে হয়েছে উনার এই অসাধারণ নির্মাণ গুলো যেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এর উপন্যাসগুলোকে জীবন দান করেছেন। উনার মুভিতে উনি এমনভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন মনে হয় সত্যজিৎ রায় যেন বিভূতিভূষণের সিনেমার প্রতিরুপ।
গতবছর আমেরিকার একটা চলচ্চিত্র সংস্থা বিশ্বের সর্বকালের সেরা ১০০ টা সিনেমার তালিকা করেছিল। সেই তালিকায় একমাএ বাংলা ভাষার মুভি একমাএ ভারতীয় মুভি হিসেবে জায়গা করে নেয় সত্যজিৎ রায়ের তৈরি পথের পাঁচালি। আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে আজ হঠাৎ কেন এই মানুষ টা কে নিয়ে কথা শুরু করলাম। আজ এই মহান মানুষ সত্যজিৎ রায়ের ১০৪ তম জন্মদিন। সত্যজিৎ রায় ২ রা মে ১৯২১ সালে কলকাতার একটা বিখ্যাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। শুধু চলচ্চিত্র না এর পাশাপাশি প্রযোজনা, চিএনাট্যকার, গীতিকার এসব পেশায় নিয়োজিত ছিলেন উনি। ২০০৪ সালে বিবিসির সর্বকালের সেরা বাঙালি এর তালিকায় উনি ১৩ তম স্থান লাভ করেছিলেন।
উনার জীবনে উনি পথের পাঁচালি, অপরাজিত, অশনি সংকেত, অপুর সংসার, কাপুরুষ মহাপুরুষ, নায়ক, গুপী গাইন বাঘা বাইন, হীরক রাজার দেশে, সোনার কেল্লা, জয়বাবা ফেলুনাথ এসব জনপ্রিয় সিনেমার পাশাপাশি মোট ৩৬ টা সিনেমা নির্মাণ করেন। পাশাপাশি অনেক সিনেমা নির্মাণে উনার পরোক্ষভাবে অবদান রয়েছে। সত্যজিৎ রায় সম্ভবত বুঝে গিয়েছিলেন ভবিষ্যতে গিয়ে উপমহাদেশের শাসক এবং সাধারণ মানুষের সম্পর্ক ঠিক কেমন হবে। এইজন্যই উনি হয়তো নির্মাণ করে গিয়েছিলেন অসাধারন এক মাস্টারপিস সিনেমা হীরক রাজার দেশে। সত্যজিৎ রায় তার জীবনে অনেক পুরষ্কার পেয়েছেন। তিনিই দ্বিতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা যাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের সরকার তাকে সেদেশের সেরা সম্মানজনক পুরষ্কারে ভূষিত করেন। এছাড়া তার মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বেই ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ পুরষ্কার ভারতরত্ম প্রদান করেন। ২৩ ই এপ্রিল ১৯৯২ সালে এই কিংবদন্তি নির্মাতা মৃত্যুবরণ করেন। এখন আর সত্যজিৎ রায়ের মতো কিংবদন্তি পরিচালক আসছে না আর আসবেও না। আর কেউ উপন্যাসগুলোকে সিনেমার মধ্যে দিয়ে জীবন দিতে পারবে না। উনার নির্মাণ গুলো দেখলে এখনও আমি অবাক হয় এবং ভাবতে থাকি ঐ সময়েও এই মানুষ টা কতদূর পযর্ন্ত দেখেছিল। কী সব নির্মাণ করে গিয়েছেন। আজ এই কিংবদন্তি নির্মাতা কে জানাই জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। উনি সর্বকালের সেরা বাঙালিদের মধ্যে অন্যতম। উনার একটা মাস্টারপিস চলচ্চিত্র হলো গুপী গাইন বাঘা বাইন। এই সিনেমার একটা গান আছে এমন মহারাজা তোমারে সেলাম, মোরা বাংলাদেশের থেকে এলাম। আজ এই মহান মানুষের জন্মদিনে আমি তাকে বলতে চাই " মহারাজা তোমাকে সেলাম"।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিংবদন্তি নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই। আসলেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস গুলোর নির্মাতা বা প্রাণদাতা বলা যায় সত্যজিৎ রায় কে। পথের পাঁচালী, অপরাজিত, হীরক রাজার দেশে সবগুলো সিনেমায় আমি দেখেছি। প্রত্যেকটা সিনেমা দারুন লেগেছে আমার কাছে। আর আপনার আজকের পোস্টটাও খুব ভালো লাগলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit