আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
স্টেডিয়ামের ভেতরে গিয়ে দেখি প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস চলছে। যেখানে উসমান খানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম অন্যদিকে টার্গেটে খেলতে নেমে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা রাজশাহীর। পুরো ম্যাচ খেলতে পারেনি রাজশাহী। বেশ কয়েক ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায়। এবং বিশাল এক জয় পেয়ে যায় চট্টগ্রাম। এরপর আমরা আমাদের পছন্দমতো একটা সিটে বসি। আমরা চারজন পাশাপাশি বসি। তবে তখনও ম্যাচ শুরু হতে প্রায় ঘন্টাখানেক বাকি। ঐসময় খেলোয়ার রা মাঠে অনুশীলন করছিল আমরা সেটা দেখছিলাম। ওয়েদার বেশ ঠান্ডা ছিল। ঠান্ডা কাটানোর জন্য কফি খাই। এতে করে মোটামুটি কাজ হয়। কিছুক্ষণ আমরা নিজেদের মধ্যে গল্প করি। এরপর টস হয়। টসে ঢাকা ক্যাপিটালস জিতে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়।
ও আপনাদের বলে রাখি। আমরা কিন্তু খুলনা টাইগার্স এর সাপোর্টার ছিলাম। কারণ আমার বাড়ি খুলনা বিভাগের মধ্যে। তবে আমাদের চারপাশে ঢাকার সমর্থক ছিল বেশি। ম্যাচ ঠিক ৭ টাই শুরু হয়। খুলনার হয়ে ব্যাটিং এ আসে নাঈম শেখ এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার বোসিতো। এই খেলোয়ার কে আমি এই প্রথম দেখলাম। প্রথমেই অসাধারণ শুরু করে নাঈম শেখ। একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকে। পাওয়ার প্লেতে মোটামুটি ভালো রান সংগ্রহ করে খুলনা। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৭ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যায় নাইম শেখ। এরপর যেন ধস শুরু হয় খুলনার ব্যাটিং লাইন আপে। একে একে চারজন ব্যাটসম্যান সেরকম কোন রান করতে পারেনি। তবে একদিকে ঠিকই দাঁড়িয়ে ছিল বসিতো। শেষদিকে গিয়ে অংকন এবং আবু হায়দার রনির অসাধারণ ব্যাটিং এ ভালো সংগ্রহ পেয়ে যায় খুলনা টাইগার্স। ঢাকার সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১৭৪ রানের।
ইনিংস ব্রেকে আমরা বেশ কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলি। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি। ১৫ মিনিট পরে শুরু হয় দ্বিতীয় ইনিংস। ঢাকা ক্যাপিটাল ব্যাটিং এ নেমে মোটামুটি ভালোই খেলছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বোলারদের তান্ডব। মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, আবু হায়দার দের বোলিং এ রীতিমতো নাজেহাল হয় যায় ঢাকার ব্যাটসম্যান রা। একের পর এক আউট হতে থাকে। এবং খুলনা ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ঐসময় আমরা বেশ উপভোগ করছিলাম খেলা। প্রত্যেকটা উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফ দিয়ে উঠছিলাম। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ খেলা চলল। ঐদিকে ঘড়িতে সময় তখন রাত প্রায় ১০ টা। খেলা তখনও প্রায় ৯ ওভার বাকি। ব্যাটিং এ আসলো ঢাকার শ্রীলঙ্কান তারকা খেলোয়ার থিসারা পেরেরা।
থিসারা পেরেরা এসে বেশ দারুণ ব্যাটিং করতে লাগল। একের পর এক বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি মারছিল। ঐসময় অবশ্য ঢাকার সমর্থক রা বেশ চিল্লাচিল্লি করছিল। তবে তাতে কোন লাভ হয়নি। শেষ পযর্ন্ত ঢাকা ম্যাচটা জিততে পারেনি। খুলনা ২০ রানে ম্যাচটা জিতে যায়। মাঠে বসে নিজের দলের এমন জয় আমরা বেশ উপভোগ করি। ম্যাচ যখন শেষ হয় ঘড়িতে তখন প্রায় রাত ১১ টা। আমরা আর দেরি করিনি। কারণ তখনও আমাদের অনেক দূর যাওয়া লাগবে। আমরা বেশ আনন্দে বেরিয়ে আসি স্টেডিয়াম থেকে। আমরা বেশ উপভোগ করেছিলাম খেলাটা। একেবারে দেখার মতো একটা ম্যাচ হয়েছিল। ঢাকার মাঠ থেকে ম্যাচ জিতে ফিরে যাওয়া বেশ বড় একটা পাওয়া। সেই সাথে আমরা পরিকল্পনা করি সময় সুযোগ হলে বিপিএল এর আরেকটা ম্যাচ দেখব।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এবারে বিপিএল ততটা জাক জমা করা হয়ে গেলাম আসলে যত টাকা পূর্ণ হয়নি বলে আমি মনে করছি। যাই হোক সশরীরে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমার মনে হয় ঢাকার কপাল খারাপ না হলে এমন ম্যাচ কিভাবে হেরে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit