আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর টা মূলত দুইটা অংশে বিভক্ত। যার একটা মাটির উপরে এবং আরেকটা মাটির নিচে। আপনি যদি ভালোভাবে পুরোটা ঘুরতে চান তাহলে মোটামুটি ৫-৬ ঘন্টার মতো সময় নিয়ে যাবেন। কিন্তু আমাদের হাতে সময় ছিল ঘন্টা দুই সেজন্য আমরা একটু দ্রুতই ঘুরে শেষ করি সম্পূর্ণ টা। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের সেন্টারে অনেক বড় করে একটা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য রয়েছে। মাটির উপরের অংশে প্রথম ফ্লোরে সেরকম কিছু নেই। তবে বাইরের দিকে পানির ফোয়ারা একটা যুদ্ধ ট্যাংক এবং বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে। সেটা দেখা শেষ করে আমরা উপরের দিকে গেলাম। দ্বিতীয় ফ্লোর টা আবার বেশ কিছু অংশে বিভক্ত। দ্বিতীয় ফ্লোরে মূলত বাংলাদেশের মানচিএ বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাএা বাংলাদেশের মানুষের পেশা এগুলো নিয়ে সাজানো। পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক স্মৃতি। এছাড়া রয়েছে বাংলাদেশের সামরিক খাতের বেশ কিছু নিদর্শন। সেটা দেখা শেষ করে আমরা চলে যায় তৃতীয় ফ্লোরে।
তৃতীয় ফ্লোর টা মূলত সার্কভুক্ত এশিয়ার বিভিন্ন দেশ নিয়ে সাজানো। বাংলাদেশ কে দেওয়া ভারত, নেপাল, ভুটান এদের উপহার সামগ্রী নিয়ে তৈরি একটা অংশ। এবং আরেকটা অংশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেওয়া উপহার সামগ্রী নিয়ে তৈরি। যাইহোক এরমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কতৃক দেওয়া চন্দন কাঠের বাক্স আরও অনেক কিছু ছিল। বিশেষ করে বিভিন্ন দেশ তাদের সংস্কৃতি অনুসারে যে উপহার পাঠিয়েছে সেগুলোই ওখানে স্থাপন করা হয়েছে। এরপর আমরা যায় চতুর্থ ফ্লোরে সেখানে রয়েছে বাংলাদেশের সামরিক খাতের বিভিন্ন অস্ত্র এর ডেমো। অর্থাৎ একেক টা অস্ত্র এর রেপলিকা তৈরি করে রেখে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার যুদ্ধ বিমান, কামান, বন্দুক আরও অনেক কিছু। এছাড়াও বেশ কিছু মিসাইলও ছিল। যেহেতু আমাদের অল্প সময়ে অনেকটা জায়গা ঘুরতে হবে সেজন্য আমরা ছবি তুলে বেশি সময় নষ্ট করিনি।
এরপর আমরা চলে গেলাম বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর এর মাটির নিচের অংশে। মাটির নিচের অংশের প্রথম ফ্লোরে রয়েছে বেশ কিছু আশ্চর্যকর থ্রিডি ইফেক্ট। থ্রি ডি ইফেক্ট এর মধ্যে জাহাজ চালানো সমুদ্রের মধ্যে সামদ্রিক প্রাণীদের বিচরণ অন্যতম। এছাড়া সেখানে রয়েছে সাবমেরিন এর একটা রেপলিকা। এবং সাবমেরিন টা একেবারে বাস্তবিক সাবমেরিন এর মতো গঠন। দেখি সবাই ওর ভেতরে প্রবেশ করে দেখছে তবে একে একে সিরিয়ালি। আমরাও সাবমেরিন এর ভেতরে প্রবেশ করলাম বেশ দারুণ ছিল ভেতরটা। এরপর আমরা চলে গেলাম একেবারে নিচের ফ্লোরে। ওখানে মূলত বাংলাদেশের বিভিন্ন সেনা সদস্যের নাম পদবী। বাংলাদেশের সেনাদের শ্রেণিবিভাগ বিভিন্ন সময়ে তাদের পোষাক। তাদের যুদ্ধকৌশল তাদের ট্রেনিং কৌশল এসবের ডেমো রয়েছে। সেগুলো বেশ দারুণ লাগছিল দেখতে। এছাড়া বেশ কিছু বড় বড় অস্ত্রের অরিজিনাল টা এখানে দেওয়া ছিল। যদিও সেগুলো দূর থেকে দেখতে বলা হয়েছে।
আমাদের ঘোরাঘুরি প্রায় শেষের দিকে। আমরা এখনই বের হয়েছে যাব। এবং বাইরেও বেশ কিছু অংশ আছে ঘোরার জন্য। এবং একবার এখান থেকে বের হয়ে গেলে আর ঢোকা যাবে না। যাইহোক আমরা বাইরে বের হয়ে গেলাম। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে। এবং ক্যান্টিনের পাশে একটা কৃএিম লেক। এই লেকে বিভিন্ন রণতরী সাবমেরিন বিভিন্ন জাহাজ এবড় রেপলিকা তৈরি করা রয়েছে। যাইহোক বাইরে বসে আমরা কিছু ছবি উঠি। আম ঘোরাঘুরি প্রায় শেষ। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর পুরোটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত। প্রতিটা ফ্লোরে প্রতিটা জায়গাই ছিল অসংখ্য সেনা সদস্য। এবং তাদের নিয়মকানুন বেশ কঠোর। তবে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর ঘোরা শেষ আমাদের পরবর্তী গন্তব্য মেট্রোরেল। সেটা নিয়ে আসব পরবর্তী পর্বে।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
ঢাকা এসে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ঘুরেছেন দেখে ভালো লাগছে। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে আমার যাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্ট পড়ে যাওয়ার খুব আগ্রহ জেগেছে। ছবিগুলো অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি আপনার পোস্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে যাওয়া হয়নি আমার তবে আপনার এই পোস্ট থেকে আজ অনেক কিছুই দেখতে পেলাম এবং জানতে পারলাম ৷ অনেক ভালো লাগলো পোস্ট দেখে ৷ দুই ঘন্টায় বেশ উপভোগ করেছেন সময়টা ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ ছিলো ৷ ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা এসে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর ভ্রমণ করেছো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি বলতে আমি ঢাকায় থাকি কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি এখানে, সময়ের অভাবে। যাই হোক ভেতরের সবকিছু ভীষণ সুন্দর। আমি ভাবছি একটা পাক যাবো। তুমি বেশ গুছিয়ে পুরো পোস্টটি উপস্থাপন করেছো। ধন্যবাদ চমৎকার অনুভূতি মেশানো পোস্টটি করার জন্য।
দোয়া রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইজান আপনি তো ঢাকা ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরেছেন দেখছি। আজ থেকে অনেকদিন ধরে আপনি আমাদের মাঝে এই ঢাকা ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করে চলেছেন। খুবই ভালো লাগে আপনার এই পোস্টগুলো দেখতে। আশা করি আরো কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit