সুন্দরবন ভ্রমণ(পঞ্চম পর্ব)।

in hive-129948 •  2 years ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বুধবার,১৪ ই , সেপ্টেম্বর,২০২২।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



deer-g6729c19a0_1920.jpg

Source



চতুর্থ পর্বের পর



সুন্দরবন গিয়ে দেখলাম অসংখ্য মানুষ এসেছে ঘুরতে। আসলে আমরা যেখানে গিয়েছিলাম সেটা সুন্দরবনেরই অংশ কিন্তু একটা সাফারি পার্ক এর মতো। বেশি কিছু না ঐ হরিণ কুমির বানর কচ্ছপ এইগুলো আছে শুধু। এবং ঐ অংশের পাশ দিয়ে একটা সরু খাল চলে গেছে। খালের ঐ পাশে আবার জঙ্গল। সুন্দরবনে এই রকম অসংখ্য খাল রয়েছে। খাল ধরে এগিয়ে গেলে সুন্দরবনের ভেতরে চলে যাওয়া যায়। তখন বাঘ মামার পায়ের চিহ্ন দেখা গেলেও যেতে পারে। কিন্তু আমাদের ঐ কপাল নেই। আমরা ট্রলার থেকে ঐখানে নামলাম ঠিক ১ টার সময়। স‍্যার আমাদের সময় দিল আড়াই ঘন্টা। বলল এর মধ্যে ঘুরে এখানে চলে আসবা। তো আমরা গ্রুপ বেঁধে চলে গেলাম। আমি সোহান এবং আরিফুল ছিলাম এক গ্রুপে। প্রথমে ঢুকতেই চোখে পড়লো বিশাল একটা ম‍্যাপ। এখানে কোথায় কী আছে সেগুলো ছোট করে দেওয়া রয়েছে। ছোট করে একবার চোখ বুলিয়ে এগিয়ে গেলাম।

কিছুদূর যেতেই কুমিরের ইউনিট শুরু হলো। ঐ লাইনে খাঁচার মধ্যে বিভিন্ন বয়সের কুমির। সেটার শুরু হয় ডিম দিয়ে। কুমিরের ডিম অনেকটা হাঁসের ডিমের মতো দেখতে প্রথমবার দেখে বেশ অবাক হলাম। এরপর টাই ছিল ছোট আকারের একটা কুমির।এরপর যতই এগিয়ে যাচ্ছি কুমিরের সাইজ বাড়ছে। শেষ পর্যায়ে গিয়ে দেখি বিশাল এক সাহজের একটা কুমির ভেতরে এমনভাবে পড়ে রয়েছে আমি মনে করেছি মরে গেছে। ভেতরে কুমিরের খাওয়ার জন্য একটা বড় ব্রয়লার মুরগি দেওয়া রয়েছে। আমি আমার বন্ধুদের বলছি দেখ এতোবড় কুমির মারা গেছে তাও এখানে রেখে দিয়েছে। তখন পাশ থেকে এক অচেনা ভদ্রলোক বলছে বাবু কুমির ঐ রকম থাকে তুমি বুঝতে পারবা না ওরা বেঁচে আছে না মারা গেছে। আমি বললাম বাহ দারুণ তো। প্রথমবার এইভাবে কুমির দেখা। এরপর সামনে এগিয়ে গেলাম।।


saltwater-crocodile-g72f00a1d3_1920.jpg

source


সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখি একটা বাউন্ডারি চারিদিকে তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা। তার ভেতরে অসংখ্য হরিণ।মূলত এটা হরিণের ইউনিট। আমি সেই প্রথম হরিণ দেখি। সুন্দরবনে চার প্রকার হরিণ পাওয়া যায়। এরমধ্যে রয়েছে চিএা হরিণ, মায়া হরিণ, বলগা হরিণ এবং আরেকটা নাম জানি না। যাইহোক হরিণগুলো ভেতরে ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছে। এবং পাশেই অনেকে ঘাস বিক্রি করছে। এই ঘাস হরিণ খেয়ে থাকে। যারা পর্যটক এখানে ঘুরতে আসে তারা ঘাস কিনে হরিণদের খাওয়াই। আমিও দশ টাকার ঘাস কিনলাম। হাতে ঘাস নিয়ে হাতটা ভেতরে দিতেই দুইটা হরিণ ছোটে এলো। আমি ধরলাম এবং ওরা ঘাসগুলো খেয়ে নিলো। সেই সুযোগে আমি ওদের শরীরে হাত দেয়।

হরিণের শরীর অনেকটা ছাগলের শরীরের মতোই লাগে আমার কাছে। তবে একসঙ্গে এত হরিণ আগে কখনো দেখিনি। যাইহোক হরিণ দেখা শেষ হলো। আরও অনেক কিছু দেখা বাকি। এগিয়ে গেলাম সামনের দিকে। এরপর দেখি একটি মাঝারি সাইজের পুকুর। পুকুরের চারিদিক কিন্তু তারকাঁটা দিয়ে ঘেরা। এবং মজার ঘটনা দেখি পুকুরের ভেতরে দুইটা কুমির সাঁতার কাটছে। জীবন্ত সাঁতার কাটা কুমির দেখে বেশ ভালোই লাগছিল। প্রথমবার সেজন্য আলাদা একটা অনূভুতি হচ্ছিল। এরপর আমরা সামনে এগিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি আরেকটা ম‍্যাপ। এবং নিচে সুন্দরবনের প্রাণী যেমন বাঘ কতগুলো রয়েছে হরিণ কতগুলো রয়েছে এগুলোর হিসাব দেওয়া রয়েছে। সামনে তাকাতেই দেখি একটা উঁচু মাচার মতো সিড়ি উঠে গেছে।।।

চলবে.....



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_-akkhy.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সুন্দরবন এ এখনো যাওয়া হয়নি। তবে যাওয়ার খুবই ইচ্ছা আমার। আপনার সুন্দরবন ভ্রমন এর অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো। তবে একটা বিষয় , যে বাউন্ডারির কথা বললেন হরিণ বা কুমির কি শুধু সেই বাউন্ডারির ভিতরই থাকে? এর বাইরে যেতে পারেনা?

হ‍্যা ভাই ঐগুলো পর্যটকদের দেখানোর জন্য ধরে আনা। ঐগুলো তার বাইরে যেতে পারে না।।

সুন্দরবনের ভ্রমণের অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আসলে সুন্দরবন ভ্রমণ করার আমারও খুব ইচ্ছা, তবে এখনো ভ্রমণ করিনি কবে যে ভ্রমণ করার ইচ্ছাটা পূরণ হবে সেটাই ভাবছি। আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং হরিণের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে সত্যিই অসাধারণ লেগেছে এবং পুকুরপাড়ে দুটি কুমির সাঁতার কাটছে এবং পুকুরের পাড় দিয়ে তারকাটা দিয়ে বেড়া দেওয়া রয়েছে। আসলে জীবন্ত কুমিরের সাঁতার কাটার দৃশ্য দেখে আপনি অনেক আনন্দিত হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।

জী ভাই পারলে গিয়ে ঘুরে আসবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।

ভাই আপনি সুন্দরবনে অনেক কিছু দেখতে পেয়েছেন ৷যদিও আমি এখনো যেতে পারি নি তবে আপনার পোষ্টে লেখা পড়ে ইচ্ছে করছে আমিও কোনো একদিন যাব ৷ভাই বনের প্রাণীর গুলোর মধ্যে আমার হরিণ সব থেকে ভালো লাগে ৷
ধন্যবাদ ভাই

ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।।

  ·  2 years ago (edited)

ভাইয়া আপনার সুন্দরবন ভ্রমণের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে আমার মনে হয় সুন্দরবন ভ্রমণের সময় মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। অনেক বছর আগে আমিও সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন আমরা বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছিলাম কিন্তু বাঘ দেখিনি। যাইহোক আপনি সুন্দরবন এ গিয়ে কুমির হরিণ দেখেছেন এবং সেগুলোর ফটোগ্রাফি করে নিয়ে এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

কপাল ভালো হলে বাঘ দেখা যায়। আর আপু পায়ের ছাপ দেখেছিলেন এটাই বাহ কম কিসের।।

ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলে কার না ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় প্রাকৃতিক পরিবেশে তাহলে তো কথাই নেই।সুন্দরবনের মত খোলামেলা পরিবেশ আর কোথাও নেই।আমিও যাবো একদিন ইনশাআল্লাহ ঘুরতে।

ধন্যবাদ
আপনাকে ভই।।

সুন্দরবনে অনেক কিছুই দেখেছেন দেখছি। বিশেষ করে সেখানে চার ধরনের হরিণ দেখা যায় এটা শুনে অবাক লাগলো। আমিও হরিণ দেখেছি কিন্তু সেটা চিড়িয়াখানায়। কিন্তু আবার অনেক ধরনের পশু দেখেছিলাম। কিন্তু হরিণ দেখতে ছাগলের মত এটা আমার কাছে মনে হয় না। আর দুইটা কুমির পুকুরে সাঁতার কাটছিল এটা শুনে বেশ ভালোই লাগলো।

আপনার কথা টাও ঠিক আছে ভিন্নতা কিছু তো আছেই। ধন্যবাদ আপনাকে।।

আপনার সুন্দর বনে ঘুরতে যাওয়া আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আড়াই ঘণ্টায় অনেক কিছু দেখলেন। আমার এখনো সুন্দরবনে যাওয়া হয়নি। তবে বই পড়ে দেখলাম কুমিরের ডিম হাঁসের ডিমের মতো। এবং আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর করে হরিণ এবং কুমির ফটোগ্রাফি করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ
আপনাকে আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।

আপনার এই পর্বের সুন্দরবনের ঘুরতে যাওয়ার যে অনুভূতিগুলো শেয়ার করেছেন সত্যি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সেই সাথে আমরা মনে হচ্ছে যেন আমরাও সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়েছি। তবে ভাই আমার মনে হয় আপনার কাছে একটা জিনিস আশা করছিলাম সুন্দরবনের অনেক অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গার ফটোগ্রাফি গুলো যদি এর মধ্যে শেয়ার করতেন তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো।

ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য টা দেখে ভালো লাগল।।