পুরাতন অ‍্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি!!

in hive-129948 •  2 months ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ২৪ ই নভেম্বর,২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000563866.jpg


আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। এখন কেন জানি হঠাৎ করেই মনের মধ্যে ইচ্ছা জাগে আর সেই অনুসারে পুরাতন দিনগুলোতে একটু ফিরে তাকাতে ইচ্ছা। পুরাতন দিনগুলো এখন অনেক মিস করি আমি। স্মৃতিতে অনূভুতিতে দিনগুলো যেন এখনও একেবারে ভেসে বেড়াচ্ছে। আজকে আবারও পুরাতন অ‍্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।



1000563864.jpg


  • ২০২২ সালের জুন মাস। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। বরাবরই ফুটবল খেলার প্রতি আমি বেশ আগ্রহী ছিলাম। এটা ছিল ঐ টুর্নামেন্টে প্রথম ম‍্যাচে আমাদের একাদশ। প্রথম ম‍্যাচে আমরা ১-০ গোলে জয়লাভ করেছিলাম। প্রথম ম‍্যাচের আগে ফটোসেশনে এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা হয়েছিল। এখন আর সেরকম কারো সাথে যোগাযোগ নেই বললেই চলে।


1000563865.jpg


  • ফুটবল খেলার আগে জার্সি তৈরি করতে হবে। আর এই জার্সি তৈরির দায়িত্ব টা এসে পড়ে আমার উপর। ঐসময় অনেক ভেবেচিন্তে ফ্রেন্স ক্লাব পিএসজির জার্সি নির্ধারণ করি আমরা। প্রথমদিন যখন জার্সি হাতে পায় খেলার আগেই সবাই নিজের নিজের জার্সি পড়ে নেয়। এবং ঐসময় এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। ঐ যে পেছনে দাঁড়িয়ে আছি ঐটা আমি। আমার গায়ে জার্সি ছিল না এইজন্যই আমি পেছনে দাঁড়িয়েছিলাম।


1000565767.jpg


  • এটা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন। বাইরে থেকে এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা। কারণ জনসাধারণের ভেতরে প্রবেশের কোন অনুমতি নেই। গতবছর মে মাসে আমি ঢাকায় ঘুরতে এসেছিলাম আমার বন্ধুদের সাথে। এবং ঐদিন আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। বেশ চমৎকার লাগছিল বাইরে থেকে দেখতে। তার পূর্বে আমি কখনও এভাবে সংসদ ভবন দেখিনি।


1000565768.jpg


  • এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম ইউটিউব ভিলেজ থেকে। আমাদের পাশের উপজেলায় একটা জায়গা আছে। ঐ গ্রামটার আসল নাম শিমুলিয়া হলেও একটা ইউটিউব চ‍্যানেল কে কেন্দ্র করে গ্রামটা কে এখন সবাই ইউটিউব ভিলেজ বলেই চিনে। এবং ওখানে একটা পার্ক আছে এই নামে। এই ফটোগ্রাফি টা ঐ ইউটিউব ভিলেজ পার্ক থেকেই ধারণ করা। এটা প্রায় দুই বছর আগে ধারণ করা।


1000563868.jpg


  • এটা হচ্ছে বরফগোলা। এই গোলা আমার বেশ পছন্দের। ২০২২ সালে সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ করে আমি এবং আমার কিছু বন্ধু কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে চলে গিয়েছিলাম গোলা খেতে। এবং সবাই গোলা হাতে নিয়ে এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। এটা প্রায় আড়াই বছর আগের কথা। একটা বিশেষ কারণে গোলার দাম দিতে হয় আমাকেই হা হা।


1000563869.jpg


  • এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম আমার এলাকা থেকে। এটা হলো হাইওয়ে। বিশেষ করে শরৎকালে যখন আকাশ এইরকম পরিষ্কার থাকে তখন অসাধারণ লাগে দেখতে। চারিদিকে একেবারে পরিষ্কার আবওহাওয়া। এবং মেঘগুলো যেন তুলোর মতো ভেসে বেড়াচ্ছে। এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম ২০২২ সালে।


1000563866.jpg


  • এটা আমার আজকের শেষ ফটোগ্রাফি। এক বর্ষার দিন। একেবারে রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে থামার কোন নাম নেই। এমন সময় ছাতা নিয়ে আমি বেরিয়ে পড়ি। চলে যায় হাইওয়ের পাশে শরিফ ভাইয়ের দোকানে চা খেতে। এবং একপর্যায়ে হাইওয়ের পাশে দাঁড়িয়ে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করি। আহ এ যেন একেবারে ভয়ংকর সুন্দর।


সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমরা যত জীবনের সামনের দিকে আগায় ততই মনে হয় অতীতের দিনগুলো আরো বেশি ভালো ছিল। আপনি আপনার পুরাতন অ্যালবাম থেকে খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সেই সাথে খুব সুন্দর স্মৃতিচারণ করেছেন। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে।

Daily work proof

1000565783.jpg

1000565781.jpg

1000565777.jpg

প্রতিটা ছেলের কাছেই ফুটবল খেলাটা তার আবেগের একটা অংশ যাই হোক যেহেতু ওই দিন ফুটবল খেলায় জয়লাভ করেছিলে সেহেতু আজকে তোমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি হা হা হা। বৃষ্টি ভেজা ফটোগ্রাফি টা বেশি ভালো ছিল বর্ষার মৌসুমের অন্যতম সৌন্দর্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়। সব সময় ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেন আপনি যার কারণে দেখতেও ভালো লাগে। বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।

পুরাতন অ‍্যালবাম থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আজ শেয়ার করলেন।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে। আপনি সুন্দর বিবরন দিয়েছেন এজন্য আরো বেশী ভালো লেগেছে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সবকটি ছবি বেশ সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছেন ভাই। কিন্তু আমি বুঝলাম না ভিলেজটির নাম ইউটিউব ভিলেজ কেন। গোলার ছবিটিও খুব সুন্দর এসেছে। সব ছবিগুলি যেমন উজ্জ্বল তেমন স্পষ্ট। আপনার ফটোগ্রাফি পোস্ট আমার খুব ভালো লাগলো।

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ক্যাম্পাসের ফুটবল টুর্নামেন্টের সময় তোলা দুটি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ক্যাম্পাসে এইবার ২৬ শে নভেম্বর টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। সময় পেলে চলে আসবেন। ইউটিউব ভিলেজ আমার উপজেলায় অবস্থিত। একবার যাওয়া হয়েছে আবার যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ছবিসহ বিস্তারিত বর্ণনা করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

অনেক জায়গা থেকেই বিভিন্ন সময়ে ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই দেখে অনেক ভালো লাগলো। সংসদ ভবনের সামনে অনেকবার গিয়েছি এমনকি আজও গিয়েছিলাম ঘুরতে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে বরফ গোলা পাওয়া যায়। এটা আমার জানা ছিল একদিন ট্রাই করা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

আজকে আপনি পুরাতন অ্যালবাম থেকে অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে কিছু কিছু ফটোগ্রাফি আছে বার বার দেখতে মন চায়। সেরকম কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ ভবন এর ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। রাস্তার ফটোগ্রাফিও অসাধারণ হয়েছে। বৃষ্টির সময় আবার একটু অন্যরকম থাকে পরিবেশ এই কারণে বেশি ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।