আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------- | ------ |
---|---|
পরিচালক | ইমতিয়াজ হোসেন |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ৬ |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তি | জুন,২০২২ |
অভিনয়ে | আফজাল হোসেন, জাকিয়া বারী মোমো, সোহেল মন্ডল, শরিফ সিরাজ আরও অনেকে।। |
Don't Let me down.
এই এপিসোডের শুরতেই দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধারা একজন রাজাকারকে গুলি করে হত্যা করছে এবং সেটা দেখছে ঐ রাজাকার এর ছেলে। ঐ মহিলা অফিসারের বস ঐ মহিলা অফিসারের উপর অনেক রেগে গেছে। বলে তোমার এই ভুলের জন্য আমাকে কত কাঠখড় পোড়াতে হবে তুমি জানো। এবং ওরা আমাদের ডিপার্টমেন্টের পরিচয় জানতে পারে এমন কোনো প্রমাণ রেখে আসছ। তখন ঐ মহিলা পুলিশ বলে একটা লিসেনিং ডিভাইস। ঐ অফিসার বলে ওঠা সরিয়ে নাও। তখন ঐ মহিলা ইকবালকে ফোন করে বলে ওসমানের অফিস থেকে ওঠা সরিয়ে ফেলতে। এরপর দেখা যায় কার্বন নতুন ঠিকানায় গিয়ে উঠেছে এবং আরও একজন লোক জুটিয়েছে। এরপর ওয়াসিম এর বাবার দাফন সম্পন্ন হয়। রাতের আধারে ইকবাল ওসমানের অফিসে যায় ঐ লিসেনিং ডিভাইস সরাতে। কিন্তু ঐ বিহারী পল্লীর ইকবালের শএুপক্ষ টের পেয়ে যায়। এবং ইকবালকে ধরে। তখন ইকবাল জানতে পারে ইকবাল ড্রাগ বিক্রি করে এই খরব ওয়াসিম না ওরা দিয়েছিল পুলিশকে। তখন ইকবাল বুঝে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে।।
এরপর দেখা যায় কার্বন ওয়াসিমকে বলছে ওয়াসিম ওরা যে রক্ত ঝরায়ছে আমরা তার একশো গুণ রক্ত ঝরাবো। ইকবাল জেলে থাকা তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যায়। ইকবাল দেখে তার ছোট ভাইয়ের অবস্থা খুব খারাপ। জেলে প্রতি রাতে তার উপর অত্যাচার হয়। সেজন্য সে বলে তোকে আমি দ্রুত ছাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। কিন্তু মহিলা পুলিশ বলে তুমি ওয়াসিমকে আমাদের হাতে তুলে দাও তোমার ভাইকে আমি ছাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। কারণ ঐ ঘটনার পর থেকে ওয়াসিম ঐ আতঙ্কবাদী কার্বনের সঙ্গে রয়েছে। ওয়াসিম কার্বনের খবর দিতে পারবে। তখন ইকবাল ওয়াসিমকে ফোন করে ডেকে আনে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে ওয়াসিম এর মাথায় ভারী একটা বস্তু দিয়ে আঘাত করে। এবং ওয়াসিম অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ইকবাল বলে আমাকে ক্ষমা করে দিস। আমি এখন বাঙালি না বিহারী আমি জানি না।
Let it be
এই এপিসোডের প্রথমেই দেখা যায় ওয়াসিম জেলে রয়েছে। ওয়াসিমকে বিশেষ একটা রুমে রাখা হয়েছে যেটাকে টর্চার সেল বলে। তখন ঐ মহিলা পুলিশ তার স্যারকে বলে ইকবালের ভাই ইকরামকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য। কিন্তু স্যার বলে না এখন সম্ভব না। একপর্যায়ে বলে পারব না। তখন ঐ মহিলা পুলিশ বলে ইকবালের এই কাজটা করে দিলে ভবিষ্যতে ওর থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু ঐ স্যার বলে না। এরপর দেখা যায় আতঙ্কবাদী কার্বন তার অন্য সহযোগীকে বলছে চিন্তা করার কারণ নেই ও চলে আসবে। ওর সাহস আছে। এরপর পুলিশ টর্চার শুরু করে ওয়াসিমের উপর। প্রথমে ওয়াসিমকে বলা হয় কার্বন কোনো পাকিস্তানি না। কার্বনের ভালো নাম ওয়ালিদ ও বাঙালি এবং রাজাকার এর ছেলে। কিন্তু ওয়াসিম কার্বন এর কোনো খোঁজ দেয় না পুলিশকে। ফলে নানাভাবে অত্যাচার চলতে থাকে ওয়াসিমের উপর। এবং ইকবাল ঐ মহিলা পুলিশকে ফোন করে। কিন্তু মহিলা পুলিশ কী বলবে। কারণ সে ইকরামকে ছাড়ানোর কোনো ব্যবস্থায় করে নাই। সেজন্য সে মিথ্যা বলে দেয় যে কিছুদিনের মধ্যেই তোমার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। জেল থেকে ফোন দেওয়া হলে গিয়ে নিয়ে আসবা।
সেটা শুনে ইকবাল খুশি হয়ে যায়। ওদিকে কারাগারে ইকবালের ভাই ইকরামের উপর অত্যাচার চলতেই থাকে। এবং অন্যদিকে দেখা যায় কার্বন এবং তার ঐ সহযোগী একটা স্কুলের প্রোগ্রামে বমম্বিং করার পরিকল্পনা করছে। এরপর ওয়াসিমকে আরও অত্যাচার করা হয়। কিন্তু ওয়াসিম কিছুই বলে না কার্বন কোথায়। এরপর ঐ বড় অফিসার এসে ওয়াসিম এর ঐ অবস্থা দেখে বলে তোমাকে নিষেধ করছি না টর্চার করতে। এবং ঐ মহিলা পুলিশকে এই কেস থেকে বাদ দেওয়া হয়। যাইহোক এরপর দেখা যায় ইকবাল খাচ্ছে এমন সময় থানা থেকে ফোন আসে। ইকবাল ভাবে তার ভাইকে হয়তো ছেড়ে দিবে সেজন্য ফোন করছে। কিন্তু থানা থেকে খবর আসে তার ভাই আত্মহত্যা করছে। এরপর দেখা যায় ওয়াসিমকে ছেড়ে দেশের হয়। এবং ওয়াসিম ছোট বন্দুক নিয়ে ইকবালকে খুঁজছে। এবং যখন পাই তখন মাথায় ঠেকিয়ে উর্দু ভাষায় বলে আমি তোর কী করছি। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
রিফিউজি সিরিজটা ঢাকা বিহারী ক্যাম্প এর একটি ঘটনা নিয়ে তৈরি করা। ঐ ক্যাম্পে একজন আতঙ্কবাদী পাকিস্তানি পরিচয় দিয়ে আত্মগোপন করে। এবং ওর উদ্দেশ্যে বমবিং করা। এরজন্য ও অন্যদের সহযোগিতা নেয়। কিন্তু ওর পেছনে পুলিশ লেগে যায়। একপর্যায়ে ক্যাম্পের একটা ছেলে ইকবাল শর্তসাপেক্ষে পুলিশকে সাহায্য করতে রাজি হয়। কিন্তু কাজ করে দেবার পরও পুলিশ ইকবালের কোনো কাজে আসে না। তারা তাদের কথা রাখে না। ইকবালের ভাই ইকরাম জেলের মধ্যে আত্মহত্যা করে। অন্যদিকে ইকবাল শুধু এইজন্যই তার জাতি তার বন্ধুর সঙ্গে বেইমানি করেছে। এজন্য ইকবালের উপর প্রচণ্ড রেগে যায় তার বন্ধু ওয়াসিম। অন্যদিকে আতঙ্কবাদী কার্বন ক্রমেই বমবিং এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেষ দুইটা এপিসোডের রিভিউ আমি আগামী সপ্তাহে দিব।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০
সিরিজের ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।