||| সুন্দরবন ভ্রমণ(প্রথম পর্ব) |||

২০১৮ সালের কথা। আমি তখন দশম শ্রেণির ছাএ। তো তখন আমার প্রাইভেট থেকে আমাদের স‍্যার ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল সুন্দরবন। তার আগে আমি কখনো দূরে ঘুরতে যায়নি। সেজন্য আমার আগ্রহ টা অবশ‍্য একটু বেশিই ছিল। আর জায়গাটা যেহেতু সুন্দরবন আগ্রহ হওয়ারই কথা। তো ফেব্রুয়ারি মাসের একদিন স‍্যার বলল আমাদের প্রাইভেট থেকে একটা শিক্ষা সফর এর আয়োজন করা হয়েছে। স্থান সুন্দরবন। আমরা একমাস পর যাব কে কে যাবা বাড়ি থেকে টাকা অনুমতি সব যোগার করো। আমি তখন টিউশনি করতাম সেজন্য বাড়ি থেকে ঐ অনুমতি নেওয়া লাগছিল,টাকা আর নেওয়া লাগছিল না। তবে টাকা নিয়েছিলাম অল্প কিছু শুধুমাত্র হাতখরচের জন্য। যদিও আমি চাইনি। চাঁদার পরিমাণ ছিল ১০০০ টাকা। আমরা যাব এক বাস এবং আরেকটা বাসে যাবে আমাদের স্কুলের জহিরুল স‍্যার এর প্রাইভেট ব‍্যাচের ছেলেরা। তো একে একে সবাই টাকা দিলাম। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল আমার। আমাদের ক্লাস টেন এর ব‍্যাচের ২৫ জন এর বেশি গিয়েছিলাম। সবার টাকা দেওয়া শেষ। এইসময়ে স‍্যার আমাকে এবং তুহিনকে ডাকলো। স‍্যার বলল ইব্রাহিমের টাকা কোথায়? ও কী যাবে না। ইব্রাহিম ছেলেটা একটু টাউট ছিল কিন্তু আমার এবং তুহিনের ভালো বন্ধু।

আমি এবং তুহিন দায়িত্ব নিলাম যে স‍্যার ইব্রাহিমের টাকা আপনি কালকে পেয়ে যাবেন ওর নাম লিখে রাখুন।সেদিন বিকেলে আমি এবং তুহিন ইব্রাহিমের বাড়ি গিয়ে শুনি ও মাঠে। ও বলছে আমি যাব কিন্তু মাঠে কাজ করছি সেজন্য যেতে পারিনি। এটা বলে ও আমাদের কাছে টাকা দিয়ে দিল। কিন্তু স‍্যার বলল ঝামেলা হয়ে গেছে। বললাম কী ঝামেলা স‍্যার?? বলল বসা এর সম্পূর্ণ সিট এর সমপরিমাণ ছাএ হয়নি কিছু বাকি আছে। এভাবে যাব না তাহলে টাকা শর্ট পড়বে। আমরা বললাম স‍্যার আমরা দেখছি কেউ যায় নাকী। অবশেষে কয়েকজনকে যোগার করলাম কেউ আমাদের ব‍্যাচের আবার কেউ আমাদের ছোট।।

---

---

source

---

---

আমাদের ভ্রমণের তারিখ ঠিক হলো ০৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বাস ছাড়বে। সেজন্য সেদিন আমরা কেউ স্কুলে গেলাম না কারণ কিছু প্রস্তুতি আছে তো। সারাদিন উওেজনায় ছিলাম যে আজ যাব ঘুরতে আহ কী মজা। হঠাৎ ১২ টার দিকে স‍্যার এর ফোন। স‍্যার বলল ইমন তোমাদের ব‍্যাচের সবাইকে নিয়ে বিকেলে একবার প্রাইভেট পড়ানোর জায়গাই আসবা। সবাইকে নিয়ে গেলাম। স‍্যার সবার হাতে একটা করে কাগজ ধরিয়ে দিল। কাগজে লেখা কী নিতে হবে কী করা যাবে কী করা যাবে না এইসব। সুন্দরবন এলাকায় পানির সংকট এজন্য সবাইকে পানির বোতল অবশ‍্যই নিতে হবে।। খুবই উওেজনা বিরাজ করছে আমার মধ্যে। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টাই স‍্যার কুমারখালী কাজী পাড়া মোড়ে থাকতে বলছে। ওখান থেকে বাস ছাড়বে। সন্ধ‍্যার সময় একে একে ব‍্যাগ গুছিয়ে নিলাম আমার আম্মু আমাকে সাহায্য করল এবং বিভিন্ন রকম জ্ঞান দিল। প্রথমবার এতো দূরে যাচ্ছি তো সেজন্য। আমার তখন কোনো ফোন ছিল না। তো বাড়িতে যোগাযোগ করা লাগবে এবং ছবি তুলব সেজন্য একটা ফোন দরকার। বাইনা ধরলাম মায়ের কাছে যে ভাইয়ার ফোনটা যেন দেয়। ওটাতে আর বেশি বেগ পেতে হয়নি। ভাইয়া আমাকে তার স্মার্টফোন টা দেয়। ঠিক রাত ৮ টার সময় আমার বাড়িতে আমাকে ডাকতে আসে আমার এলাকার ছোট ভাই মেহেদী ও ক্লাস নাইন এ পড়ে ও যাচ্ছে এবং এর কিছুক্ষণ পর আসে ইব্রাহিম। এরপর কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে তুহিনকে ডেকে নিয়ে আমরা চলে গেলাম কুমারখালী কাজী পাড়া। এখান থেকে বাস ছাড়বে।।।

---

চলবে.....

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---