!! লোডশেডিং সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ!! ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য

কলকাতার একটা পুরানো শহর। পাহাড় ছেলেরা গলিতে ক্রিকেট খেলছে। পাড়ার গলিতে ক্রিকেট খেলা আবার তখনকার ট্রেন্ড ছিল। যাইহোক অতল এবং তার বন্ধুরা পাড়ার গলিতে ক্রিকেট খেলছে এমন সময় গাড়িতে করে এক পরিবারের আগমন ঘটে। ওদের খেলা থেমে যায়। গাড়ি থেকে একটা মেয়ে নামে নাম পাপিয়া। মেয়েটাকে দেখেই অতলের ভালো লেগে যায়। অতল তখন স্কুলে পড়ে। কিছুদিন মেয়েটার পেছনে অতল ঘুরে। মেয়েটা সেটা খেয়াল করে এবং মেয়েটাও অতল পছন্দ করতে শুরু করে। অতল বাবা মা দুজনেই মারা গিয়েছে। অতল এবং তার ছোট বোন টুপুর তাদের বাড়িতে থাকে। অতল বড় জেটু জেঠিমা ছোট কাকা কাকিমার সঙ্গে। ছোট কাকিমা আবার ওদের দুজনকে খুব ভালোবাসে। অতল একজন এলাকার বড় ভাই আছে। অতল যখন ঝামেলায় পড়ে তখন তার কাছে যায়। সে কোনো একটা পথ বের করে দেয়।

---

---

---

---

ঐ মেয়েটার মা গান শেখাত। এবং অতল যেন ঐ মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই। সেজন্য তাকে সে তার বোন টাপুরকে গান শিখতে পাঠায়। গান শেখা শেষ হতো সন্ধ‍্যার পরে। তো টাপুরকে সন্ধ‍্যার পরে আনতে যাওয়ার সুযোগ টা নেয় অতল। তো প্রথমদিন টাপুর কে আনতে গিয়ে পাপিয়ার সঙ্গে কথা হয় অতলের। এরপরের দিন পাপিয়া স্কুলে যাচ্ছে তখন আবার কথা বলে। এবং পাপিয়া বলে আজ তুমি আমার সঙ্গে বিকেলে দেখা করবে। দুজন একটা পার্কে দেখা করে। যাইহোক এরপর এভাবে কিছুদিন যায়। অতুলের বোন টাপুর সব জানত। অতল পাপিয়ার একটা ছবি আকে এবং নিচে লিখে দেয় ২০ বছর পর তুমি। পাপিয়ার মুখে একটা আচিল ছিল এবং চশমা পড়ত। তখন কলকাতায় অনেক লোডশেডিং হতো। তো এইরকমই একটি লোডশেডিংয়ের সন্ধ‍্যায় অতল গিয়েছে পাপিয়া কে আনতে। পাপিয়া দরজা খুলে বলে এখানে বস ওদের ক্লাস শেষ হতে আরও সময় লাগবে।

---

---

---

---

তখন পাপিয়া বলল অতল তুমি নাকী অনেক ভালো ছায়াবাজি পার। মানে লোডশেডিং হলে মোমের আলোয় হাতের ভেলকিভাজি। সেটা আমাক দেখাবে অতল বলে দেখাব কিন্তু তোমাকে গান গাওয়া লাগবে। পাপিয়া অনেক ভালো গান গাইত। যাইহোক সন্ধ‍্যা টা পার হয় অনেক সুন্দরভাবে। এরপর পাপিয়া একদিন অতল বাড়ি আসে। দুজনে ছাদে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে। ক্রমেই দুজনর মধ্যে সম্পর্কটা গভীর হতে থাকে। তো অতল তখন রঙের স্বপ্নে বিভোর। সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পড়ে যায় এবং মাথায় আঘাত পাই। সবরকম ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের সবাই জানতে পারে অতল আর বেশিদিন চোখে দেখবে না। এটা অতলকে তারা জানাতে চাই ন। কিন্তু অতল আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে।

---

---

---

---

এক সন্ধ‍্যায় পাপিয়ার মা বাড়িতে নেই। পাপিয়া অতল কে যেতে বলে।অতল কিছুটা বিষন্ন মন নিয়ে যায়। কারণ সে জানে ও আর বেশিদিন চোখে দেখবে না। যাইহোক দুজন বসে আছে। হঠাৎ লোডশেডিং। কিন্তু এই লোডশেডিং সেই লোডশেডিং না। টুকুন সত্যি সত্যি অন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে অতল বলে পাপিয়া আমি কিছু দেখতে পারছি না।। পাপিয়া প্রথমে বিশ্বাস না করলেও পরে দেখে হ‍্যা সত্যি। পরে অতল কে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এবং পাপিয়ার ঘটনাটা তার পরিবার স্বাভাবিক ভাবে নেয় নি। তারা পাপিয়াকে নিয়ে এই শহরে ছেড়ে চলে যায়। এবং যাওয়ার সময় পাপিয়া অতলকে দেখতে আসে কিন্তু আতল তখন ঘুমাচ্ছিল।

---

---

---

---

কিন্তু পাপিয়া টুকুন কে কথা দেয় বলে অতল তুমি তো বলেছিলে লোডশেডিং বেশিক্ষণ থাকে না। লোডশেডিং কেটে আলো আসবেই। এবং আমি তোমার জীবনে ফিরে আসবোই। তুমি চিন্তা করো না। এভাবে অনেক গুলো বছর কেটে যায়। অতল এখন একটা অন্ধদের স্কুলের শিক্ষক। আজ জীবনের অনেক খুশির দিন। কারণ তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আজ তার চোখের বাধন খোলা হবে। এবং সে আবার দুনিয়া কে দেখতে পাবে। সে খুব উৎসাহৃর সঙ্গে পাপিয়র কথাগুলো ভাবতেছিল। টুকুনের বোন টুপুরের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অতল এসে বলে দাদা আমি জানি তুই চোখ খুলে সবার আগে কাকে দেখতে চাস। টুকুনের চোখ খোলা হয়। টুকুনের সামনে সেই ছবি। যেটা সে পাপিয়ার উদ্দেশ্যে একে বলেছিল ২০ বছর পর তুমি। এবং সত্যি পাশে দাঁড়িয়ে পাপিয়া। তখন টাপুর বলে দাদা দেখত পাপিয়া দি কে ২০ বছর পর এই রকম দেখতে হয়েছে কী না। আসলে পাপিয়া বলে গিয়েছিল তুমি চিন্তা করোনা অতল আমি তোমার জীবনে ফিরে আসবোই। সত্যি সত্যি ২০ বছর পর পাপিয়া ডাক্তার হয়ে ফিরে আসে এবং অতল চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তুলে। এটা অতল জানত না। সঙ্গে সঙ্গে দুজন কান্না শুরু করে এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। এখানেই মুভিটা শেষ হয়।

---

---

মুভির শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

পৃথিবীতে সবাই চাই তার ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে বাঁচতে। কিন্তু কিশোর বয়সের আবেগ দ্বারা পরিচালিত ভালোবাসা বেশিদিন থাকে না। কিন্তু লোডশেডিং মুভিতে তার ব‍্যতিক্রম দেখা গেছে। দুজন ছোটবেলা একে অপরকে ভালোবাসে।কিন্তু একসময় ছেলেটা অন্ধ হয়ে যায় মেয়েটা অন্য শহরে চলে যায়। কিন্তু পাপিয়া যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল অতল আমি আবার তোমার জীবনে ফিরে আসবো। এবং সত্যি একসময় পাপিয়া ফিরে আসে অতলের জীবনে। এবং সে আসে অতলের ডাক্তার হয়ে। বর্তমানে ভালোবাসা হয়। কিন্তু কারো কথার দাম নেই। কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করতে চাই না। মুভিটা অনেক শিক্ষনীয় এবং রোমান্টিক ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০

---

---

মুভির একটা অংশ

---

---