!!! স্মৃতিটুকু রয়ে গেছে : সে এক বীরত্বগাঁথা কাহিনী!!!

আমাদের সবারই স্কুল জীবনটা কেটেছে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দে হইচই এবং দুষ্টামিতে। আমার জীবনে মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের কিছু ঘটনা এখনো মনের এক কোণে স্মৃতি হিসেবে জমে আছে। স্কুল জীবনে দুষ্টুমি করে নাই এমন যে কেউ নাই এটা মোটামুটি নিশ্চিত।যে যত শান্ত স্বভাবেরই হন না কেন স্কুল জীবনে তো স্মৃতিময় একটা ঘটনা আছেই। আমার জীবনে একটা এইরকম স্মরণীয় ঘটনা আছে। প্রধান শিক্ষক হচ্ছে একটা আতঙ্কের নাম। আবার অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনেক ভালো হয়ে থাকে। তো আমাদের মাধ্যমিক বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ছিলেন খুবই রাগী। তাকে দেখে ছাএরা তো পরের কথা স‍্যার রাও ভয় পেতেন। খুব বড় অপরাধ না করলে তিনি ছাএদের গায়ে হাত তুলতেন না। তার কাছে একবার আমি এবং আমার বন্ধুরা মার খেয়েছিলাম। আজ সেই ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

---

---

সাল ২০১৭, সম্ভবত এপ্রিল মাস। আমি তখন ক্লাস নাইন এ পড়ি। তো ক্লাস নাইনে আমরা একটা গ্রুপ ছিলাণ বন্ধুদের। যাইহোক সেই গ্রুপে আমি সহ আরও চারজন ছিল। তো আমাদের মাঝে মাঝে ক্লাস হতো না। এইরকমই একদিন টিফিনের পর আমাদের ক্লাস হচ্ছে না। স‍্যার রা সম্ভবত অন্য কোনো কাজে ব‍্যস্ত ছিলেন। তো আমরা তখন কিশোর। আমরা কী চুপ করে বসে থাকা পাবলিক। ক্লাসে শুরু করলাম হইচই। এরপর ক্লাস থেকে বের হয়ে সবাই গেলাম মাঠে খেলতে। ক্লাসের সামনেই মাঠ আমরা দশজন মতো ফুটবল নিয়ে খেলছি। সেই সময়ে আমাদের ক্লাস ক‍্যাপ্টেন ছিল দুজন মেয়ে মিম এবং জেরিন। আমাদের ক্লাসে মাএ দুজনই মেয়ে ছিলেন। এবং ঐ দুজনকেই স‍্যার ক‍্যাপ্টেন করিছিলেন। যদিও ওদের ক‍্যাপ্টেন হিসেবে ক্লাসের অধিকাংশ ছেলেরা মানত না। যাইহোক খেলার সময় ক্লাসে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে যায়।

---

---

তো ক‍্যাপ্টেন দুইজন প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে বলে স‍্যার ক্লাসের ছেলেরা অনেক বিশৃঙ্খলা করছে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে স‍্যার বলেন যাও যারা এটা করছে তাদের নাম লিখে আমার কাছে দাও। তো আমাদের দুই লেডি ক্লাস ক‍্যাপ্টেন সবমিলিয়ে ১৫ জনের নাম স‍্যারের কাছে জমা দিয়ে আসে। তারমধ‍্যে আমার নামও ছিল। ওরা ওইটা স‍্যারের কাছে গিয়ে জমা দিয়েছে। তো প্রধান শিক্ষক লিস্টটা নিয়ে এক সহকারী শিক্ষক কে দিলেন এবং বললেন ক্লাস নাইন থেকে এইগুলোরে আমার রুমে নিয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষক তার রুমে খুব সময়ই ছাএদের নিয়ে যেতেন। তো আমাদের এক স‍্যার নাম তৌহিদুল ইসলাম উনি এসে নাম বললেন। বললেন এরা আমার আগে আগে চলেন। তো আমরা পনের জন উঠলাম উঠে স‍্যারের আগে আগে গেলাম। তো স‍্যারের রুমে যখন যাচ্ছি পুরো স্কুল আমাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। অনেকে আমাদের পাশে বলাবলি করছে আজ তোমাদের খবর আছে। তো স‍্যারের রুমে যেতেই সবাইকে এক ছোটে রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দেখি স‍্যার অনেক বড় একটি বেত বের করলেন সেইরকম মোটা।

---

---

তো স‍্যার এবার বললেন এক এক করে বের হয়ে আয়। কিন্তু কেউ বের হয় না। স‍্যার বেশ কয়েকবার বলল। এরপর স‍্যার রেগে বলল কী রে কেউ আসিস না কেন। তো আমকে কে যেন পেছন থেকে ধাক্কা দিল আমি চলে গেলাম সবার আগে। গিয়ে স‍্যারের সামনে দাঁড়ালাম। বলল কী কলছিস তুই। আমি বললাম স‍্যার ক্লাসে স‍্যার ছিল না তাই মাঠে ফুটবল খেলছিলাম। আর কোনো কথা না স‍্যার শুরু করলে মার। বেত দিয়ে অনেক গুলো বারি মারলেন এবং বললেন চলে যা। এরপর একে একে আরও কয়েকজনকে মারল। তবে সবচেয়ে বেশি মেরেছিল আমাকে কারণ আমি গিয়েছিলাম সবার আগে। এরপর শুনি সবাইকে না মেরে ছেড়ে দিয়েছে। তো আমি ক্ষিপ্ত হয়ে গেলাম। আমি সহ বেশ কয়েকজন। তো আমাদের ভোকেশনাল স‍্যারের প্রধান তার কাছে নালিশ করলাম স‍্যার আমরা এই ক‍্যাপ্টেন মানি না ক‍্যাপ্টেন পরিবর্তন করেন। তো পরের দিন স‍্যার ক্লাসে এসে বলেন যে আমরা তোমাদের স‍্যার না। ক্লাসে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে আমাদের বলতে পারতে তোমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে কেন। তোমাদের ক‍্যাপ্টেনের দায়িত্ব থেকে বহিঃষ্কার করা হল। তো আমি ছিলাম আমাদের ব‍্যাচের একমাএ ছাএ যে কী না প্রধান শিক্ষকের কাছে মার খেয়েছিলাম। সেই দিনটার কথা আমার এখনো মনে
আছে।

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---