আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
তখন আমি ষষ্ঠ সেমিষ্টারের ছাএ। তো আমার এক স্যার ক্লাস নিতে নিতে বলছিল মেলা হচ্ছে শুধুমাত্র বাচ্চা এবং মেয়েদের জন্য। প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের জন্য মেলা না। অর্থাৎ মেলায় আমাদের জন্য কিছুই থাকে না। তখন স্যারের সামনে আমি বলেছিলাম স্যার আমরা তো বাচ্চাই। আমার এই কথার জবাবে স্যার যা বলেছিল পুরো ক্লাসের ছেলে মেয়ে একযোগে হাসা শুরু করেছিল। স্যার বলল ঠিক সময়ে বিয়ে করলে তুমি এতদিনে বাচ্চার বাপ হয়ে যেতে হা হা। যদিও আমার বয়স কিন্তু তখন মাএ ২০। যাইহোক এরপর আমি এবং লিখন চলে গেলাম মেয়েদের সরঞ্জামের অংশে। সত্যি বলতে পুরো মেলার অর্ধেকটা জুড়েই ছিল মেয়েদের কসমেটিকস এর দোকান। আর সেই দোকানগুলোতে কত ভীড়।
আমরা ভাবলাম মেলায় যখন এসেছি ঐদিক টা ঘুরেই যায়। এছাড়া আমাদের মনে অন্য কোন উদ্দেশ্য কিন্তু ছিল না। যাইহোক গিয়ে দেখা শুরু করলাম। যদিও প্রতিটা দোকানেই ছিল মেয়েদের ভীড়। সেজন্য প্রতিটা দোকানে আমরা যেতে পারিনি। তবে ঐ স্টলগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে দারুণ একটা অভিজ্ঞতা হলো আমার। কেনাকাটার ক্ষেএে মূলত দুই ধরনের মেয়ে হয়ে থাকে। প্রথমত যারা একেবারেই বোকা দোকানদার একটু বাড়িয়ে বললেই সেই পণ্য দেখে পাগল হয়ে যায়। বিশেষ করে নিজেদের রুপচর্চার জিনিসগুলোর ক্ষেএে। আর দোকানদার যা দাম বলে খুব একটা দামাদামি করে না। আরেক ধরনের মেয়ে আছে আপনি তাদের যাই বলেন না কেন তাদের সাথে পারবেন না। এমন একটা দাম বলবে অনেক দোকান'দার পুরো থতমত খেয়ে যাবে হা হা। অর্থাৎ তারা কেনাকাটাই খুবই এক্সপার্ট হয়ে থাকে।
এখানে মূলত পাথরের তৈরি দুল চুড়ি, সেফটি পিন এসবের আধিপত্য ছিল বেশি। এবং একটু ভিন্নধর্মী এসব পাথরের জিনিস মেয়েরা খুবই পছন্দ করে। বেশ ইউনিক কিছু সেফটি পিন ছিল। যেগুলো পাথর দিয়ে কাজ করা এবং একেক টা একেক গঠনের। দেখে বেশ ভালোই লাগছিল। কিন্তু বলে না বেল পাকলে কাঁকের কী। আমার অবস্থা টাও ছিল ঠিক তাই। এই দাঁড়ান আপনারা আবার ভাববেন না যে আমি কারো জন্য কিছু কিনতে গিয়েছিলাম। আমি শুধু দেখছিলাম আর কী। কার জন্য কিনব বলেন আমি তো পুরো পিউর সিঙ্গেল হা হা। এরপর এক ধরনের ঝুমকা দেখলাম। ঐটা দেখে আমি কৌতূহলের সাথে হাতে নিয়ে ছবিও তুললাম। কারণ এর আগে এই টাইপের ঝুমকা আমাকে দেখিয়েছিল আমার বন্ধু শাহিন।
ঐসময় আমরা ঢাকাতে ছিলাম। শাহিনের তৎকালীন প্রেমিকা সাদিয়া নাকী তাকে ঐ ঝুমকা গুলোর ছবি দিয়ছিল। মনে হয় গিফট করতে বলছিল পরোক্ষভাবে হা হা। এরপর দেখলাম একটা দোকানে সামদ্রিক ঝিনুকের তৈরি মেয়েদের মাথার ক্লিপ বিক্রি করছে। ওগুলো দেখে খুব একটা বিশেষ কিছু আমার মনে হয়নি। দেখতে দেখতে আমরা প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় শুধুমাত্র মেয়েদের সরঞ্জামের স্টলগুলোতেই ব্যয় করে ফেলি। কিন্তু তারপরও যেন স্টলগুলো শেষ করতে পারলাম না। কিন্তু আমার বন্ধু লিখন ছাড়ল না। কারণ তার বউ নাকী তাকে পাথরের কাজ করা চুড়ি কিনতে বলেছে। কিন্তু পুরো টা সময় ধরে খুজেও সেই পাথরের কাজ করা চুড়ি পেলাম না। কী আর করার পরবর্তীতে শেষ হয় আমাদের ঐ ডিপার্টমেন্ট ঘোরা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সব মেলাতেই এই ধরনের জিনিষ গুলো দেখে থাকি। তবে এই মেলাতে ভিন্ন কিছু দেখলাম। তবে ভাই আপনার বন্ধু শাহিনের তৎকালীন প্রেমিকা সাদিয়া ঝুমকা জিনিষ দেখিয়েছিল। তার মানে কি এই কালিন সময়ে সাদিয়া চলে গেছে না কি, কালের পরিবর্তনে প্রেমিকারা হারিয়ে যায়,হা হা হা। যারা নিজেদের সিঙ্গেল দাবি করে তারে তলে তলে মিঙ্গেল,হি হি হি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সামদ্রিক ঝিনুকের তৈরি মাথার ক্লিপ গুলো আপনার কাছে বিশেষ কিছু মনে না হলেও আমার কাছে জিনিসটা বেশ ইউনিক লেগেছে। আগে কখনো এই ধরনের জিনিসগুলো দেখা হয়নি। মেলাতে আসলেই মেয়েদের জিনিস গুলো বেশি দেখা যায়। ঝুমকার ফটোগ্রাফি দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বেশ সুন্দর ছিলো এগুলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit