আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সকাল থেকেই আকাশ টা মেঘলা। ঝড়ের একটা সম্ভাবনাও রয়েছে। কয়েকবার ঝড়ো বাতাসও হয়েছে। সেই সকাল থেকে ইলেকট্রিসিটি নেই। আমার মনটাও ভালো নেই। সকাল থেকে ফোন নিয়ে বসে আছি। কখনও ফেসবুক কখনও বা ইউটিউব এভাবেই চলছিল। তখন বিকেল চারটা হঠাৎ দেখি আমার চাচাতো ভাই কল করেছে। ভাইয়ার ফোনটা ধরেই বুঝলাম উনি বেশ ইতস্তত। আমাকে বললেন তুই দ্রুত সদর হাসপাতালে যা। ভাইয়ার শ্বশুরবাড়ির একজন রিলেটিভ খুবই অসুস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে মোটামুটি জানা কেউ নেই। তার ছেলে আসবে সেই রাতে। এই সময় টা আমাকে থাকতে হবে। ভাইয়ার কথাটা শুনে দ্রুত তৈরি হয়ে বের হয়ে যায়। আকাশে তখন কালো মেঘ সেজে গিয়েছে। মনে হচ্ছে যখন তখন মূষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। আমাদের বাড়ি থেকে সদর হাসপাতালের দূরত্ব মোটামুটি ঘন্টাখানেক এর।
হাসপাতালে যখন গেলাম তখন সাড়ে পাঁচটা এর মতো বাজে । গিয়ে দেখি আন্টি খুবই অস্থির। মোটামুটি দুজন দুজনকে চিনি। আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেমন আছেন উনি
আছে মোটামুটি তবে?
তবে কী বলেন? কোন সমস্যা হয়েছে।
হ্যা ডাক্তার কিছু ঔষধ আনতে দিয়েছে এখন আমি তো উনাকে রেখে যেতে পারছি না। কী করব বলো তো।
ঠিক আছে আমাকে দেন, বলে প্রেসক্রিপশন টা হাতে নিয়ে ঔষধ আনতে গেলাম বাইরে। ঔষধের দোকানে কোনরকম গিয়েছি এবং শুরু হলো প্রচণ্ড ঝড়। কালবৈশাখির কালো মেঘ ছেয়ে গেছে পুরো আকাশ। মূহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল আজ মনে হয় সবকিছু লন্ডভন্ড করে দেবে এই ঝড়। ঔষধ টা নিয়ে দিয়ে যাওয়ার পর একজন নার্স এসে সেগুলো ব্যবহার করল। কিছুক্ষণ পর নার্স আবার একটা প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিল বলল এই টা দ্রুত আনেন। সম্ভবত কোনো এন্টিবায়োটিক।
বাইরে প্রচণ্ড ঝড় এবং সঙ্গে বৃষ্টি। হাতাপাতালের পাশের বড় অশত্থ গাছের বিশাল একটা ডাল ভেঙে পড়েছে। তাড়াতাড়ি বের হয়ে যাওয়াই বাড়ি থেকে ছাতা টাও নিয়ে আসিনি আমি। ভিজে গিয়ে ঔষধ টা নিয়ে এসে দিলাম। ঘড়িতে সময় তখন সাতটা কী আটটা হবে।
আমি বসে আছি পাশেই। হাসপাতালেও কারেন্ট নেই। অগত্যা ফোন টা বের করে একটু ফেসবুক ঘাটাঘাটি করছিলাম। তখনই ফোনে একটা নোটিফিকেশন আসল "Your mobile battery is low. কারণটা জানি আজ সারাদিন ফোন চার্জে দেওয়া হয় নাই। ঐদিকে ফোনের পর ফোন আসছে।
কখনও ফোন করছে ভাইয়া আবার কখনও বা তাদের সেই ছেলে। কিছুক্ষণ পর বাইরে টা লক্ষ্য করে দেখলাম না ঝড় থেমে গেছে তবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। টানা দুই ঘন্টা চলেছে তান্ডব চালিয়েছে ঝড় এবং বৃষ্টি। দেখতে দেখতে রাত দশটা বেজে গেল।
কিন্তু তখনও উনার ছেলে এসে পৌছায়নি। যা বুঝলাম উনিও এই ঝড়ের মধ্যে পথে বেশ ভোগান্তিতে আছে। শেষমেশ উনি যখন এসে পৌছালেন তখন সময় রাত সাড়ে এগারো টা। উনার সাথে কথা বলতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে বাড়ি আর ফিরতে পারব না। সেজন্য বললাম ভাই আমি আগামীকাল আসব আপনার সাথে কথা হবে আজকে যায়।
যদিও উনি আমাকে সতর্ক করলেন ভাই এখন যাওয়া দরকার নেই। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ অনেক জায়গাই গাছ ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপর। কোন যানবাহন নেই। তখন ততটা গুরুত্ব দেয়নি। বললাম ঠিক আছে ব্যাপার না চলে যাব। বলে বেরিয়ে গেলাম......
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার চাচাতো ভাইয়ার শ্বশুরবাড়ির একজন রিলেটিভ অসুস্থ তাই ঝড়ের মধ্যে ও আপনাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে।কারন তার ছেলে তখনো হাসপাতালে এসে পৌঁছাতে পারেনি।আপনি তড়িঘড়ি করে বেড়িয়ে গেলেন।আর তাদেরকে ভালো ই সাপোর্ট দিলেন।এরপর রাতে তার ছেলে এলে আপনি বাসায় চলে গেলেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের সকলের মাঝে পরোপকারী মনোভাব থাকা উচিত।ঝড়ের রাতে বের হয়ে এরপর আসলে কি হয়েছিল??
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit