আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পৃথিবীতে যদি কোন আজাইরা জাতি থাকে সেটা হলো এই বাঙালি জাতি। বাঙালি বলতে বিশেষ করে বলতে হয় বাংলাদেশীদের কথা। যদিও এখন অধিকাংশ বাঙালিদের অবস্থা এক। আমি বতর্মান সময়ের কিছু ব্যাপার তুলে ধরি। স্যোসাল মিডিয়া এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। আর এই স্যোসাল মিডিয়ায় যতসব আজাইরা মানুষের আনাগোনা। স্যোসাল মিডিয়া বলতে স্পেসিফিকভাবে বলতে হয় ফেসবুকের কথা। এরা সারাদিন কোন কাজ করে না হুদাই ফেসবুকে ঘুরে বেড়ায়। আর যখন যে ইস্যু পাই সেটা নিয়ে চর্চা করতে থাকে। এদের থেকে বিরক্তিকর কিছু নেই। এদের হাতে এতো আজাইরা সময় এরা অন্যকে নিয়ে সারাদিন মাথা ঘামায়। আর সেটা প্রকাশ করে ফেসবুকে।
স্যোসাল মিডিয়া এর ব্যবহার টা যদি যথাযথভাবে করা যায় তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু এরা সেটা কখনোই করে না। প্রথম ঘটনায় আসি। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের নামকরা একজন ব্যক্তি বিয়ে করেছেন। উনার নাম বললে সবাই চিনবেন। উনি একজন খুব ভালো গায়ক পাশাপাশি উনি বেশ ভালো অভিনেতা। তাহসান নামটা বলেই দিলাম। উনার স্ত্রী মিথিলার সাথে উনার ডিভোর্স হয় প্রায় ৮-৯ বছর আগে। এতবছর বিয়ে না করলেও সম্প্রতি তাহসান নিজের থেকে বয়সে বেশ ছোট একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তো প্রথমদিন পুরো ফেসবুক জুড়ে সবগুলো পেইজ শুধু তাহসান এর সুনাম করল। সবাই একযোগে বলল তাহসান ভাই তার চাঁদের আলো খুজে পেয়েছে।
এর ঠিক একদিন পর কিছু আজাইরা তাহসান এর বতর্মান বউয়ের সব অতীত বের করে ফেলল। অর্থাৎ সেই মেয়েটা তাহসান কে পেয়ে তার প্রাক্তন প্রেমিক কে ধোঁকা দিয়েছে। আর যাবে কোথায়। একদিন আগে যারা তাহসান এর প্রশংসা করছিল সেই ছাগল গুলো আবার লাফানো শুরু করল। তাহসান এটা কীভাবে করতে পারল। কীভাবে সে একজনের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে পারল। সে ঠিক করেনি মেয়েটা ভালো না এই সেই। একদিনের মধ্যে তাদের সব সিদ্ধান্ত বদলে গেল। কী আশ্চর্য। আবার তার কয়েকদিন পরে যখন মেজর ডালিম ব্যাপার টা সামনে আসলো। ব্যাস ছাগল গুলো তাহসান কে ছেড়ে ডালিম নিয়ে পড়ল। পারলে ডালিমের দানা থেকে রস বের করে ফেলে এমন অবস্থা।
এখন আমার কথা তাহসান একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে করেছে। তার স্বাধীনতা আছে সে যা ইচ্ছা করতে পারে সেটা অবৈধ না হলেও হলো। এতে করে এই ছাগল গুলোর কী। মেয়েটা ভালো না খারাপ এটা বিচার করার এরা কারা। আবার মেজর ডালিম নিয়ে পড়েছে। এই আলোচনা বেশ কিছুদিন চলতে থাকবে। এরপর ঠিক যখন অন্য কোন টপিকস এরা পাবে এটা বাদ দিয়ে ঐটা নিয়ে পড়বে। এই লেভেলের আজাইরা এরা। এদের তো কোন কাজ নেই কোন কাজ এরা করেও না। এখন ও নিজের বাবা মায়ের উপর নির্ভরশীল। আর এই ছাগলগুলো এভাবে স্যোসাল মিডিয়ার পরিবেশ নষ্ট করে। মাঝে মাঝে প্রচণ্ড বিরক্ত লাগে আমার। মনে হয় এই সময়ে এসেও মানুষ এতোটা বোকা এতোটা আজাইরা কীভাবে হতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাহসান এর বিষয়টা নিয়ে তো কয়েকদিন ইতিমতো ভাইরাল। এমন অবস্থা ফেসবুকের আমি তো কয়েকদিন থেকে ফেসবুকে ঢুকি না। আপনার কথা গুলো একদমই ঠিক ভাই। খেয়ে দেয়ে কাজ নেই অনেকের তারা শুধু এসব নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। কে কখন কি করলো এসব খবর। সত্যি বলতে আপনার লেখা গুলো পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাহসান এর বিয়ের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ফেসবুকে ঢুকায় যায় না এমন একটা অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেয়ে দেয়ে কোন কাজ নেই অন্যের বিষয় নিয়ে শুধু শুধু নানা বিতর্ক করা অসৎ মানুষের কাজ। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সময় উপযোগী পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই খুবই সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। কিছু কিছু মানুষ আছে, আজাইরা থাকে, কে কি করলো, সেটা গুলো খুঁজে বের করে। তাহসান কাকে বিয়ে করলো, সেটা তার ব্যাপার। অথচ সেই টেনশনে আজাইরা বাঙালীর ঘুম নেই। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই ভাইয়া এই ব্যাপারটা আমার কাছে ও ভীষণ খারাপ লেগেছিল।কিছু মানুষ আছেই এসব নিয়ে পরে থাকে।কোন ভালো খবর ও তাদের ভালো লাগে না।আর খারাপ কিছু হলে তো কথাই নেই।এই মন মানসিকতা থেকে আসলে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit