"মহানগর" ওয়েব সিরিজের প্রথম দুই পর্বের রিভিউ।

in hive-129948 •  2 years ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৫ ই , সেপ্টেম্বর,২০২২।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



Screenshot_20220915_212528.jpg



গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য



------------
সিরিজের নামমহানগর
পরিচালকআসফাক নিপুন
প্লাটফর্মহইচই
এপিসোড সংখ‍্যা০৮
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
অভিনয়েমোশারফ করিম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, শ‍্যামল মাওলা, খাইরুল বাসার, জাকিয়া বারী মোমো, নাসির উদ্দিন খান আরও অনেকে।।


ঈশানের মেঘ



Screenshot_20220915_212546.jpg

Screenshot_20220915_212539.jpg



প্রথমেই দেখা যায় কোতোয়ালি থানার এসআই মলয় এবং ওসি হারুন তেজগাঁও তে গেছে একটা আসামী জয়নাল কে ধরার জন্য। জয়নাল এখানে আছে মলয় তার সোর্স থেকে জানতে পারে। কিন্তু ওসি হারুন বলে মলয় তুমি থাক আমি আগে গিয়ে দেখে আসি। তাই বলে ওসি হারুন নিজেই চলে যায় বস্তির মধ্যে জয়নালকে ধরতে। জয়নাল তিনটা খুনের আসামী। অন‍্যদিকে দেখা যায় পার্টি হচ্ছে। পার্টিতে আবীর নামের একটা ছেলে একটা মেয়ের দিকে বারবার দেখছিল। মুলত মেয়ে এবং আবির দুজন দুজনকে পছন্দ করে কিন্তু কেউ বলতে পারে না। এরপর দেখা যায় ওসি হারুন গিয়ে জয়নাল কে একটা ঘরের মধ্যে ধরে। এবং বলে চল থানায় চল। তখন ওসি জয়নাল বলে স‍্যার আমি মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছি কালকেই বর্ডার পার হয়ে চলে যাব। তখন ওসি হারুন জয়নালকে বলে কী এনছিস বের কর। এরপর কোনো এক চুক্তিতে জয়নাল কে ছেড়ে দেয় ওসি হারুন এবং বাইরে গিয়ে মলয়কে বলে কিছুই নেই, কী ইনফরমেশন দেয় তোমার সোর্স।


Screenshot_20220915_212551.jpg

Screenshot_20220915_212546.jpg


এরপর দেখা যায় ঐ মেয়ে এবং আবির গাড়িতে যাচ্ছে। হঠাৎ রাস্তায় পুলিশ ধরে তখন রাত এগারো টা বাজে। পুলিশ ধরে আবিরকে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছেন এবং কোথা থেকে আসছেন কিন্তু ওদের কথায় মিল না পাওয়ায় গাড়ি থেকে নামিয়ে লাইসেন্স চেক করে। এরপর পুলিশ ঐ মেয়েকে বলে আপনি বাড়িতে ফোন করেন। তখন আবির কোনোমতো টাকা দিয়ে ম‍্যানেজ করে এবং চলে যায়। এরপর আবির ঐ মেয়েকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে এমন সময় ঐ গাড়িতে এসআই মলয় এবং ওসি হারুন এসে ধরে আবিরকে। কিছুক্ষণ আগে পুলিশ ধরেছে সেজন্য আবির একটু বিরক্ত হয়ে রাগান্বিত হয়ে কথা বলে। পরে মলয় এবং আবিরের কথা হয় দুজনের বাড়ি যশোর। মলয় বলে স‍্যার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু হারুন বলে না ঝামেলা আছে সেটা বলে থানায় নিয়ে যায় আবিরকে গাড়ি সহ। কিন্তু আরেকটা অ‍্যাক্সিডেন্ট কেস এ আফনান চৌধুরী এসেছে থানায়। ওসি হারুন গিয়ে দেখে ঐ আফনান চৌধুরী তার রুমে। ওসি হারুন ডুকেই একটা থাপ্পড় দেয় আফনান চৌধুরীকে এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়।।।



চিচিংফাঁক



Screenshot_20220915_212614.jpg

Screenshot_20220915_212612.jpg



এই পর্বের শুরুতেই দেখা যায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আফনান এর চোখে পানি দিচ্ছে একজন কনস্টেবল এবং কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরে আসে। তখন ওসি হারুন বলে আপনি আগে বলবেন না আপনি আলমগীর চৌধুরীর ছেলে আফনান চৌধুরী। আলমগীর চৌধুরী হলো একজন ব‍্যবসায়ী এবং ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপদস্থ নেতা। যাইহোক এরপর আফনানের সব কথা শুনে ওসি হারুন, কখন কীভাবে হলো অ‍্যাক্সিডেন্ট টা। আফনান আবার মদ‍্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিল। ওসি হারুন বলে এটা তো সাধারণ অ‍্যাক্সিডেন্ট কেস এটা নিয়ে আমি কী করব। এরপর দেখা যায় একজন যুবক আসে থানায়। এসে বলে কিছুক্ষণ আগে রহমতগঞ্জে যে অ‍্যাক্সিডেন্টট হয়েছে সেটা সে দেখছে। সেটা অ‍্যাক্সিডেন্ট না ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে । এই কথা মলয় গিয়ে ওসি হারুনকে বলে। তখন ওসি হারুন আসে ছেলেটার সঙ্গে কথা বলতে। অন‍্যদিকে আবির থানায় বসে রয়েছে এবং এক পকেট বা চোর আসামী আসে তখন। কতরকম অঙ্গভঙ্গি এবং নকশা তার।


Screenshot_20220915_212637.jpg

Screenshot_20220915_212632.jpg


এরপর ওসি হারুনের কাছে সবকিছু খুলে বলে ছেলেটা।তখন হারুন বলে অতোরাতে তুমি ওখানে কী করছিলে। ছেলেটা বলে স‍্যার আমি ঔষধ কিনতে গিয়েছিলাম। এরপর হারুন বলে তুমি তো নেশা করো মদ খাও। এবং তুমি সব ভুল বলছ। এইরকম ভয় দেখিয়ে ছেলেটাকে চলে যেতে বাধ্য করে ছেলেটা বলে আর সাক্ষী দেবে না। অন‍্যদিকে দেখা যায় আলমগীর চৌধুরী একজনকে পাঠিয়েছে তার সহযোগি আফনানের কেসটা মিটিয়ে আফনানকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ঐ লোক গিয়ে হারুনের সঙ্গে কথা বলে। তখন হারুন বলে অনেকে এটা দেখে ফেলেছে এটা অনেক ছড়িয়ে গিয়েছে ২০ লাখে কাজ হবে না। তখন আলমগীর চৌধুরীর লোক বলে এখন কী করা যায় বলেন তখন হারুন বলে ৫০ লাখ লাগবে। এরপর দেখা যায় হারুন থানার কন্ট্রোল রুমে গিয়ে কন্ট্রোল অফিসার কে বাইরে পাঠিয়ে অ‍্যাক্সিডেন্টের সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ নিজের পেনড্রাইভে নিয়ে ওখান থেকে ডিলিট করে দেয়। এখানেই শেষ হয়ে যায় এই এপিসোডটা।।



ব‍্যক্তিগত মতামত



বতর্মান সময়ে ওটিটি এর ওয়েব সিরিজ গুলো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই এই ওয়েব সিরিজটা ঢাকা মহানগরের কোতোয়ালি থানাকে নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই সিরিজটা মুক্তি পেয়েছে হইচই তে। এবং এটা পরিচালক আসফাক নিপুন। ওয়েব সিরিজগুলো শেষ পযর্ন্ত না দেখতে ঘটনা বোঝা যায় না। সেজন্য আমি পুরো ঘটনা টা এখন বললে সেটা স্পইলার হয়ে যাবে। এখানে ওসি হারুনের চরিএে অভিনয় করেছে মোশারফ করিম। তিনি একজন খুবই কৌশলী ঘুষখোর অফিসার সেটা বোঝা যাচ্ছে। একজন বড় লোকের ছেলে অ‍্যাক্সিডেন্ট করলে পুলিশ তাকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। এবং হারুন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা যায়। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কী হয়।। পরের সপ্তাহে পরবর্তী দুই এপিসোডের রিভিউ নিয়ে আমি আসব।



ব‍্যক্তিগত রেটিং: ৯/১০



ওয়েব সিরিজের ট্রেইলার





সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_-akkhy.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাই আমি ওয়েব সিরিজটি দেখেছি।আমার মতে বাংলাদেশের সেরা ওয়েব সিরিজ।বিশেষ করে মোশারফ করিম আর মলয় এর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা দুর্দান্ত অভিনয় করেছে।ধন্যবাদ সুন্দর করে রিভিউটি দেওয়ার জন্য।

মলয় চরিএটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো
এবং ন‍্যাচারাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।।