আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছবিটি Pixabay নিয়ে নেওয়া এবং Canva দিয়ে এডিট করা
তৃপা কে হোটেলে পৌছে দিয়ে ম্রিয়মান ফিরে গেল তার হোটেলে। রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ল। বাকি রাতটা যেন মূহুর্ত্তের মধ্যেই কেটে গেল। সকাল সাড়ে আট টা। ফোনের আওয়াজ শুনে ঘুম ভাঙল ম্রিয়মানের। ফোনের দিকে তাকাতেই দেখলে মা ফোন দিয়েছে। গতকাল থেকে মায়ের সাথে কথা হয়নি তার। নিজে থেকেও ফোন দেওয়ার কথা খেয়াল হয়নি। ফোনটা রিসিভ করল ম্রিয়মান
কী রে ঘুম থেকে উঠেছিস।
হ্যা।
নাস্তা করেছিস সকালে। জিজ্ঞেস করল ম্রিয়মানের মা।
না এখন ও করিনি। তুমি করেছ
হ্যা করেছি। বাড়িতে আসবি কবে কিছু ঠিক করেছিস।
না এখনও ঠিক করিনি। দেখি যাব কয়েকদিন পর। বলল ম্রিয়মান।
বলছি তোর মামা তোর জন্য একটা মেয়ে দেখেছে বলছিল। আমি বলেছি তুই ফিরলে দেখতে যাব। মেয়েটাকে নাকী তোর সাথে বেশ মানাবে।
মা তোমাকে না বলেছি আমার জন্য মেয়ে দেখার দরকার নেই। আমি বিয়ে-টিয়ে করব না, বলে ম্রিয়মান।
এসব বললে কী হয় বাবা। আমি আর কতদিন আমি চলে গেলে তোকে দেখবে কে। মা সবসময় এসব বলবে না তো। আমার ভালো লাগে না। আমি পরে ফোন দিব এখন রাখ। নিজের খেয়াল রেখ বলে ফোনটা কেটে দিল ম্রিয়মান।
বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয় নিল ম্রিয়মান। কিছুক্ষণ পর তৃপার ফোন আসল। হ্যালো আপনি কী তৈরি? কখন বের হবেন। এইতো কিছুক্ষণ পর-বলল ম্রিয়মান।
আচ্ছা ঠিক আছে আপনি তাহলে চেক আউট করে আমার হোটেলে চলে আসুন। একসঙ্গে যাওয়া যাবে দুজন,বলল তৃপা। ঠিক আছে বলে ফোনটা কেটে দিল ম্রিয়মান।
কিছুক্ষণ পর ম্রিয়মান নিজের ব্যাগ গুছিয়ে হোটেলের বিল মিটিয়ে দিয়ে চেক আউট করে সরাসরি চলে গেল হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে। হোটেলে গিয়ে তৃপা কে ফোন দিল ম্রিয়মান। কোথায় আপনি?
আপনি একজন কাউকে বলুন রুম নাম্বার ৩৪০ টা দেখিয়ে দিতে। আমার রুমে চলে আসুন। কথাটা শুনে একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেল ম্রিয়মান। পরে নিজেকে সামলে নিয়ে রিসিপশন থেকে শুনে চলে গেল রুম নাম্বার ৩৪০ এ। ম্রিয়মান গিয়ে দেখল রুম টা খোলা আছে। ম্রিয়মানকে দেখে তৃপা বলল ভেতরে আসুন।
আসলে আমি হোটেল থেকে চেক আউট করছি না। কারণ আমার এতো বড় ল্যাগেজ নিয়ে তো আর পুরো সেন্টমার্টিন ঘোরা যাবে না। এইজন্যই এইটা রেখে যাব। আপনি চাইলে আপনার ব্যাগটা রেখে যেতে পারেন বলল তৃপা।
না আমার ব্যাগে সেরকম কিছু নেই শুধুমাত্র ল্যাপটপ টা রেখে যায়। কিছুক্ষণ পর দুজন হোটেল থেকে বেরিয়ে গেল।
কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার BIWT ঘাট থেকে টিকিট কেটে একটা শীপে উঠল দুজন। শীপের নাম "আটলান্টিক"। ম্রিয়মানের অনিচ্ছা সত্বেও শীপের টিকিট এর পেমেন্ট করে তৃপা। একটা ডাবল বেড কেবিনের ভাড়া পড়ে প্রায় ১২ হাজার টাকা। ঠিক সকাল ১০ টার সময় আটলান্টিক যাএা শুরু করে কক্সবাজার BIWT ঘাট থেকে। মোটামুটি ঘন্টা ছয় লাগবে সেন্টমার্টিন যেতে। তৃপা এবং ম্রিয়মান নিজেদের কেবিনে ব্যাগ রেখে জাহাজের সামনে খোলা জায়গাটাই এসে দাঁড়াল। অসংখ্য নাম না জানা পাখি উড়ে যাচ্ছিল ওদের সাথে। সমুদ্রের জলরাশির অস্বচ্ছতা ক্রমেই বাড়ছিল। ঐসময় সমুদ্রের নোনা বাতাস এসে দুজনের শরীর খেলে গেল। তৃপার চুলগুলো উড়ছিল। ঐসময় তৃপার দিকে তাকাতেই মুগ্ধ হয়ে যায় ম্রিয়মান। তৃপার থেকে কয়েক মূহুর্ত্তের জন্য চোখ ফেরাতে পারে না ম্রিয়মান।
চলবে.....
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথম পর্বটা পড়েছিলাম।আজ গল্পের তৃতীয় পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।গল্পটা খুব সুন্দরভাবে ই এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে কি হয় এটা জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশাকরি বাকি পর্ব গুলো খুব শীঘ্রই দেখতে পাবো।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঘটনা তাহলে দানা বাঁধতে শুরু করেছে। যাইহোক আমার মনে হয় প্রেমের ব্যাপারটা শুরু হয়ে গেছে। যাইহোক দেখা যাক সামনে কি হয়।
এই পর্বে তেমন বেশি ধামাকা ছিল না, কিন্তু সামনের পর্বে মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা অপেক্ষা করুন ভাই সামনে টুইস্ট আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটু দেরি হলেও ৩য় পর্ব পড়ে নিলাম। গল্পে তো প্রেমের হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে না চাইতেও! এখন অবশ্য ৪র্থ পর্বে চলে যাবো। দেখা যাক, গল্প কোন দিকে আগায়...
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit