আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
রিয়াল মাদ্রিদের ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ'কে বলা হয় ট্রান্সফার মার্কেটের ডন। বার্সা থেকে লুইস ফিগো কে নিয়ে আসা, পরবর্তীতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কে নিয়ে আসা এবং গত সিজেনে জুড বেলিংহাম এবং এই সিজেনে বতর্মান সময়ের সবচাইতে প্রতিভাবান ফুটবলার এমবাপ্পে কে একেবারে ফ্রী তে নিয়ে এসেছেন পেরেজ। কিন্তু পেরেজের জীবনের সেরা সাইনিং এগুলোর একটাও না। পেরেজের জীবনের সেরা সাইনিং ছিল ২০১৪ সালে টনি ক্রুসের সাইনিং টা। পেরেজ নিজেও এই কথাটা স্বীকার করে নিয়েছেন। টনি ক্রুস দ্যা জার্মান স্নাইপার গত এক দশকে তার চেয়ে প্রতিভাবান মিডফিল্ডার খুব কমই ছিল। অনেকেই কেবিন ডি ব্রুইনির কথা বলতে পারেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই টনি ক্রুস হলো সেই খেলোয়ার যে কীনা গত ১০ বছর রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলের মধ্যমাঠ সামলেছেন। এক দশকে তার অর্জন ইউরোপের অনেক ক্লাবের পুরো সময়ের অর্জনের থেকেও বেশি।
টনি ক্রুস মাঠে থাকলে রিয়াল মাদ্রিদের কাজটা যেন খুব সহজ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে ২৫ মিলিয়ন ট্রান্সফার ফি তে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয় টনি ক্রুস। সেই থেকে শুরু। তারপর গত এক দশকে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি ২১ টা ট্রফি জিতেছেন যার মধ্যে রয়েছে ৫ টা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ ট্রফি। টনি ক্রুস- লুকা মদ্রিচ এবং ক্যাসেমিরো মিলে তৈরি হয় রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মধ্যমাঠের এয়ী। এইতো এই বছর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন লীগ জিতেছেন, লা লীগা জিতেছেন। স্পেনের কাছে হেরে জার্মানির ইউরো যাএা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়েছে টনি ক্রুস এর ক্যারিয়ার। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবসরে চলে গিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই খেলোয়ার। জার্মানি খুব একটা বুঝতে না পারলেও রিয়াল মাদ্রিদ যেন খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছে ক্রুসের অভাব টা।
নতুন সিজেন শুরু হয়েছে কিছুদিন হলো। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের সেই কাঙ্ক্ষিত খেলোয়ার এমবাপ্পে কে পেলেও লা লীগায় রিয়াল মাদ্রিদ যেন ধুকছে। এই তিন ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখে রিয়াল ভক্তরা বেশ হতাশ। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের সাথে পয়েন্ট হারানো পরবর্তীতে গিয়ে ঝামেলায় ফেলতে পারে তাদের। এই সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ সবচাইতে বেশি মিস করছে টনি ক্রুস কে। গত এক দশক রিয়াল মাদ্রিদ খেলেছে তার হাতের ইশারায়। মধ্যমাঠ থেকে পুরো খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। সময়ের সাথে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল, করিম বেনজেমা, সার্জিও রামোস রা চলে গেলেও মাদ্রিদ তাদের বিকল্প পেয়েছে খুব দ্রুতই। কিন্তু টনি ক্রুসের বিকল্প পাওয়া খুব একটা সহজ হবে না। কারণ তার মতো নিখুঁত পাস, লং পাস, থ্রু দেওয়ার মতো খেলোয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন নেই বললেও ভুল হবে না।
চ্যাম্পিয়ন লীগ সেমিফাইনালে বায়ার্ন এর সাথে করা টনি ক্রুসের ঐ অ্যাসিস্টের কথা অবশ্যই মনে আছে আপনাদের। আবার দ্বিতীয় লেগে মধ্যমাঠ থেকে পুরো বায়ার্ন কে যেভাবে উনি নাচিয়েছিলেন সেটা এককথায় অনবদ্য ছিল। রিয়াল মাদ্রিদের বতর্মান দলে ঠিক ঐ অভাব টাই রয়েছে। গত তিন ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যমাঠের খেলা দেখে আমি ব্যক্তিগত ভাবে টনি ক্রুসকে খুব মিস করছিলাম। এবং মনে মনে বলছিলাম না সম্ভব না। টনি ক্রুসের বিকল্প তৈরি সম্ভব না। এমনটা আমি আগেই জানতাম পরবর্তী সিজেন থেকে রিয়াল মাদ্রিদ বুঝতে পারবে টনি ক্রুসের অভাব টা। দ্যা জার্মান স্নাইপার রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তদের মনে সবসময় থাকবেন। রিয়াল মাদ্রিদের স্কোয়াডে হোক বা রিয়াল ভক্তদের মনে, টনি ক্রূসের জায়গা টা কেউ নিতে পারবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit