আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গতকাল ফেসবুকে ঢুকেই একটা নিউজ নজরে আসলো। বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য যিনি কীনা বিগত কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ ছিল তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ভারতে। তো এটা নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনা সমালোচনা চলছে। কিন্তু আসল ব্যাপার সেটা না। এখানে আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বিষয়ে কথা বলব। বলে না ঘটনার পেছনেও ঘটনা থাকে ব্যাপার টা ঠিক এইরকমরকম। কর্মফল সবাইকেই ভোগ করতে হয়। এর বাইরে কেউ যেতে পারে না। তো এই এমপি'র এলাকার আমার এক বন্ধু আছে। গতকাল বন্ধুর স্ট্যাট্যাস দেখে ব্যাপার টা আমি জানতে পেরেছি। ঘটনা টা আজ থেকে চার বছর আগের। ছেলেটার নাম ছিল সোহান। ছেলেটা বেশ ভালো ছিল। সেরকম কোন বদ অভ্যাস ছিল না এমনটা আমার বন্ধুর স্ট্যাটাস থেকে দেখা।
তবে ঐ ছেলের পরিবার ছিল অন্য রাজনৈতিক দলের অনুসারী। এবং ছেলেটাও তার পরিবারের মতোই অন্য একটা রাজনৈতিক দলের অনুসারী ছিল। একপর্যায়ে গিয়ে কোন একটা ঝামেলার জন্য ঐ এমপি এই ছেলেটাকে আটকে রাখে। যেহেতু সে ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্য বুঝতেই পারছেন ব্যাপার টা। বেশ কয়েকদিন আটকে রাখার পর ঐ ছেলের পরিবার এবং গ্রামবাসি যায় ঐ এমপি'র কাছে। এবং গিয়ে বলে ছেলেটা একেবারে ছোট এই ২০-২১ বয়স হবে। আপনি ওকে ছেড়ে দেন প্রয়োজনে ওর পরিবার এরপর থেকে আপনার দলের অনুসারী হবে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। সে জবাবে বলে আমার দলে লোকের অভাব হবে না। আমি ওকে ছাড়ব না। এখানে আমি দলের নাম উল্লেখ করলাম না। কারণ আমার উদ্দেশ্য ঘটনা টা আপনাদের জানানো। কোন দলকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য না।
যেহেতু সে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ছিল। প্রসাশনও কিছু করতে পারেনি। এরপর কয়েকদিন কেটে যায়। তিনদিন পর ঐ ছেলের মৃতদেহ পাওয়া যায় সেখান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে চুয়াডাঙ্গায় একটা মাঠের মধ্যে। ছেলেটাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি ছেলেটার চোখ দুইটা উপড়ে তুলে ফেলা হয়েছিল। কী ব্যাপার টা শুনেই কেমন একটা অনূভুতি হচ্ছে না। সবকিছুই আমার ঐ বন্ধুর স্ট্যাটাস থেকে জেনেছি আমি গতকাল। এরপর প্রায় ৩-৪ বছর কেটে গিয়েছে। একটা কথা আছে প্রকৃতি কারো ঋণ বাকি রাখে না। সময় মতো ঠিকভাবে পরিশোধ করে দেয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সময় টা একটু বেশি লাগলেও উনি উনার কর্মের ফল পেয়ে গিয়েছেন।
এরই মধ্যে গতকাল এই নিউজটা আসলো যে নিখোঁজ এমপির মরদেহ উদ্ধার। এমনটা শুনে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করছে। কিন্তু জানেন ঐ গ্রামের লোক এই খুশিতে গতকাল মিষ্টি বিতরণ করেছে। হ্যা এটা একেবারে সত্য কথা। সুতরাং সে তার কর্মের ফল পেয়েছে। তার অপকর্মের সাজা সে পেয়েছে। তার প্রতি আর সহমর্মিতা দেখানোর দরকার নেই। আমাদের ক্ষেএেও ব্যাপারটা এইরকমই হবে। প্রকৃতি কখনোই আমাদের ঋণ রাখবে না। ঠিক পরিশোধ করে দেবে হা হা। এটা আমি কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে লিখিনি। শুধু লিখলাম কর্মফল এর দিকটা তুলে ধরার জন্য। পৃথিবীতে যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হলো কর্ম এবং কর্মফল। এইধরনের একজন মানুষের এমন পরিণতি তে আমি নিজ থেকে মোটেই দুঃখী না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ভালো বর্ণনা করলেন একদম ঠিক বললেন প্রকৃতি কখনো তার ঋণ রেখে দেয় না। যথা সময়ে ফেরত দেই। ওই এমপি যখন ছোট একটি ছেলেকে এত নির্মমভাবে হত্যা করলো তার জবাব অবশ্যই তাকে পেতে হতো। অবশেষে যদিও দেরি হলো তিন বছর পরে সেই জবাবটি পেয়ে গেল। গ্রামবাসী মিষ্টি বিতরণ করলো। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই চাঞ্চল্যের মৃত্যুর নিউজটি আমার চোখেও পড়েছে। তবে আপনার পোষ্ট পড়ে তার আরেক রূপ জানতে পারলাম। যদিও নিউজেও কিছু কিছু খবর আসছে। তবে অনেক অমানুষ ক্ষমতার দম্ভে নিজের আসল রুট, নিজের বিবেক কে জলাঞ্জলি দিয়ে দেয়! যেটা কখনোই কাম্য নয়। এতটুকু ক্ষমতা পেয়ে যারা উপরওয়ালার ক্ষমতার কথা ভুলে যান, তাদের আসলে কখনোই ভালো হয় না!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া প্রকৃতি কখনো ছেড়ে দেয় না।নিজ গতিতে প্রতিশোধ নেয়।ছেলেটিকে মেরেছিলেন এবং এখন নিজের সাথে ঘটেছে সেই ঘটনা।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit