আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মিথ্যাবাদী রাখাল গল্পটা পড়েনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। মিথ্যাবাদী রাখাল প্রতিদিন বাঘে ধরেছে বলে চিল্লাচিল্লি করত। এবং গ্রামের লোক ছুটে আসত। শেষে দেখা যেত সে মিথ্যা বলেছে মজা করার জন্য এমনটা করেছে। এভাবে করতে করতে গ্রামবাসী বুঝে যায় সে মিথ্যা বলে এভাবে মজা নেয়। কিন্তু শেষে একদিন সত্যি তাকে বাঘে ধরল। সেদিন সে চিল্লাচিল্লি করলেও আর সে আসেনি। কারণ তার উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস আগেই উঠে গেছে পূর্বের কিছু কাজের জন্য। এটা একটা শিক্ষনীয় বিষয়। এখন ব্যাপার টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের দেশের কিছু ক্রিকেট সেলিব্রেটি নিজেদেরকে হাসির পাএ বানিয়ে ফেলেছে প্রতিনিয়ত সস্তা মার্কেটিং করতে ব্যস্ত। এবং এরা নিজেদের মান সম্মান টা এমনভাবে ব্যবহার করছে এতে করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস তাদের উপর থেকে উঠে যেতে শুরু করেছে। ব্যাপার টা প্রথম থেকে বলি।
১৯ তারিখ রাতের কথা। হঠাৎ ফেসবুকে একটা কলরেকর্ড ভাইরাল হয়। কলরেকর্ড টা ছিল বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এবং অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজের। ওখানে মোটামুটি তামিম সিরিয়াসলি বলছে আরেক ক্রিকেটার মুশফিক তার সঙ্গে এটা ঠিক করে নাই। ঐ খেলা নিয়ে দল গঠন নিয়ে কথা বলছিল। এবং তামিম কিছু সিরিয়াস বিষয় টেনে নিয়ে আসে এবং ইমোশনাল কথাও বলে। যে এখন জাতীয় দলে নেই সেজন্য যার যা ইচ্ছা তাই করছে। সময় আমারও আসবে। এই কথাগুলো বলার সময় সে যথেষ্ট সিরিয়াস ছিল। তখন সবাই ভেবেছিল হ্যা এটা হয়তো সত্যি হয়েছে। যেটার জন্য তামিম কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু এখানে আরেকটা কিন্তু ছিল, সেটা হলো এটা কোন বিজ্ঞাপন না তো। এইরকম একটা ধোয়াশাও ছিল। তবে নিজের ইমোশন নিজের এইরকম ব্যাপার নিয়ে তামিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার এমনটা করবে সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল।
পরেরদিন তামিম ইকবাল ঘোষণা দেয় সে ২০ তারিখ সন্ধ্যায় লাইভে আসবে এবং সবকিছু খুলে বলবে। তখনও ভাবছিলাম হ্যা কিছু হয়তো হয়েছে। যথারীতি তামিম লাইভে আসলে তার লাইভে একে একে আরও তিনজন ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং শেষে ক্লাইমেক্স দেখিয়ে মুশফিক নিজেও চলে আসে। এবং শেষমেশ তামিম স্বীকার করে হ্যা এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল। তাদের মাঝে এমন কিছুই হয়নি। এবং সে বলে এটা ছিল নগদ বাংলাদেশের একটা মোবাইল ব্যাংকিং এর একটা বিজ্ঞাপন। এটা দেখে জাস্ট আমার মেজাজ টা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তখন ঐ লাইভে যোগ হয়েছে নগদের সিইও। এবং তিনি পুরোপুরি নগদের ক্যাম্পেইন টা ঘোষণা করেন। যেটার পরিকল্পনা তিনি করেন। এবং যার সাথে এই তিন ক্রিকেটার জড়িত রয়েছে। তারা তাদের জনপ্রিয়তার ব্যবহার একেবারে নিম্ন মানের একটা কাজে করেছে।
বাংলাদেশ দলের অত্যন্ত সফল খেলোয়ার এই তিনজন। পুরো দেশে এদের অসংখ্য ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে। অথচ তাদের কাজটা দেখেছেন। তারা তাদের জনপ্রিয়তা তারা তাদের রেপুটেশন তারা তাদের ব্যক্তিত্বের এইরকম ব্যবহার করছে। না আপনারা বিজ্ঞাপন করতেই পারেন। তাই বলে আপানারা স্যোসাল মিডিয়ায় এসে এইরকম নিজেদের পরিচয়ের অপব্যবহার করবেন। এবং আপনাদের এই ইমোশন আপনাদের ব্যক্তিত্ব আপনাদের পরিচয় একজন টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করে ফেলছে খুব সহজেই। ব্যাপার টা আসলেই কেমন না। এইবার আমার মতো অনেকের শিক্ষা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে যদি তাদের মাঝে তাদের সাথে সত্যি সিরিয়াস কিছু হয় তখন তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। মনে হবে না এবারেও তারা তাদের ইমেজটা অন্য কোন বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করছে। ব্যাপার টা মিথ্যাবাদী রাখালের মতোই হয়তো হবে শেষমেশ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit