আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটা স্টোরি শেয়ার করব সঙ্গে একটা ভিডিওগ্রাফি। যেখানে উঠে আসবে বেশ কিছু বলেন বিষয়। ২০১৯ সাল সেবছর এসএসসি পাশ করেছি। কলেজে ভর্তি হলাম। আমার বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব মোটামুটি ১৬-১৭ কিলোমিটার। যেহেতু পুরোটাই হাইওয়ে সেজন্য বাড়ি থেকে যাতায়াত করতে খুব একটা অসুবিধা আমার হতো না। বাড়ি থেকেই এই চালবছরের ডিপ্লোমা শেষ করে ফেলি। এই বছর আমার সঙ্গী ছিল এই রাস্তা টা। এবং এই ১৬ কিলোমিটার রাস্তার এই অংশটা অর্থাৎ যেটার ভিডিওগ্রাফি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেটা ছিল আমার সবচাইতে পছন্দের অংশ।
২০১৯ সাল তখন হাইওয়ে এর অবস্থা এইরকম না। রাস্তা প্রচণ্ড ভাঙা ছিল । প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটত। কিন্তু তখন এখানে আরেকটা বিষয় ছিল পুরো হাইওয়ে জুড়ে ছিল গাছপালা। সে অনেক বড় বড় গাছপালা। গাছের ছায়া যখন রাস্তার উপরে পড়তো এবং আমরা কলেজ থেকে বাসায় ফিরতাম তখন আলাদা রকমের একটা ভালোলাগা কাজ করত। তারপর হাইওয়ে এর কাজ শুরু হলো রাস্তার প্রস্থ বৃদ্ধি করার জন্য গাছ কাটা শুরু হলো। তখনই যেন আমাদের খারাপ দিনের শুরু। পুরো হাইওয়ের গাছ কেটে ছাপ করে দেওয়া হলো। তখন রোদে ঐ রাস্তা দিয়ে আমরা চলাচল পযর্ন্ত করতে পারতাম না। এতোটা অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। অনেক সময় গাড়ি এক্সিডেন্ট করলে সেটা গাছে বেধে যেত। কিন্তু পরবর্তীতে গাছ কেটে ফেলার পরে সেই গাড়িগুলো সরাসরি খাদে চলে যেত।
তবে তার পরে হাইওয়ে এর কাজ শেষ হলে দুপাশ দিয়ে গাছ লাগানো হয়। কিন্তু আমাদের বাড়ি থেকে শুরু করে কলেজ পযর্ন্ত ১৬ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোথাও সেই গাছের অস্তিত্ব নেই। শুধুমাত্র এই জায়গা টুকুর মধ্যে গাছ গুলো মোটামুটি বেড়ে উঠেছে। এবং ছায়া দেখা পড়ে। গত মঙ্গলবার যখন আমি কুষ্টিয়াতে যাচ্ছিলাম তখন একেবারে দুপুর বলা চলে। দেখলাম গাছগুলোর ছায়া বেশ দারুনভাবে পড়েছে রাস্তার উপর। সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিতে ভেসে উঠল সেই ২০১৯ সালের কথাগুলো। ফোনটা বের করে একটা ভিডিওগ্রাফিও ধারণ করলাম। এখানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আর একটা মজার বিষয় কী জানেন মোটামুটি ৪ বছরে সব ছুটি করোনা ভাইরাস এসব বাদ দিয়ে ৮০০ দিন ১৬০০ বার এই রাস্তা দিয়ে আমি যাতায়াত করেছি। এবং আমার যাতায়াত এর যানবাহন ছিল কখনও বাস,কখনও সিএনজি আবার কখনো ইজিবাইক যেটাকে অনেকে টোটো বলে। কিন্তু এই ৮০০ দিনে আমি একবারও কোন দূর্ঘটনার কবলে পড়িনি। আমি যেটাতে উঠতাম সেটা একবারের জন্যও এক্সিডেন্ট করেনি।
ভিডিওগ্রাফি
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
সময় | মে,২০২৩ |
ডিভাইস | Redmi 12 |
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক | 500 miles |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গাছ আমাদের পরিবেশকে ঠান্ডা রাখে এবং রাস্তার দু পায়ে দিয়ে গাছপালা থাকলে সে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ঠিক আপনার পোস্টের মতই আমাদের এই দিকেও একটি রাস্তায় দু'পাশে অনেক রকমের গাছপালা ছিল কিন্তু রাস্তার কাজ চলাতে সেগুলো কেটে ফেলে এখন সে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে অনেক বেশি মুশকিল। ভিডিওগ্রাফিটি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন কিন্তু আগে রাস্তা গুলো নেই। সরকার হাইওয়ে গুলো মেরামত করার পাশাপাশি দুই পাশে খুব সুন্দর করে গাছ লাগিয়ে দেয়। যদিও দুই এক বছর গরম থাকে কিন্তু বেশ কয়েক বছর পরে গাছগুলো অনেক সুন্দর করে বড় হয়। আগের দৃশ্য এবং এখনের দৃশ্যের মধ্যে অবশ্য আপনি তফাৎ লক্ষ্য করতে পারছেন। এখন ভালোই উপভোগ করলেন আপনি। রাস্তাটি আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit