আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কথায় আছে কোন কিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। যেকোনো কিছু একটা নির্দিষ্ট মাএায় রাখা উচিত। পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা যে ফুটবল এটা নিয়ে কোন দ্বিমত থাকার কথা না। বলতে গেলে ফুটবল মানুষের প্রিয় খেলা। হয়তো কখনও কেউ নিজের মনের উচ্ছাস থেকে বোতলে একটা লাথি দিয়েছিল। তারপর ক্রমাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে আমাদের আজকের এই ফুটবল খেলা। দিনে দিনে ফুটবলের জনপ্রিয়তা এতটা বেড়েছে যে ফুটবল আর এখন কোন খেলার পর্যায়ে নেই। ফুটবল এখন রীতিমতো একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আর এই ব্যবসার প্রধান উপকরণ বা পণ্য হচ্ছে ফুটবলার রা। উয়েফা এবার চ্যাম্পিয়ন লীগের ফরম্যাট কিছুটা পরিবর্তন করেছে। এর ফলে প্রতিটা দলকে আগের থেকে বেশি ম্যাচ খেলা লাগবে।
খেলোয়ার রা ব্যস্ত থাকবে বেশি। চ্যাম্পিয়ন লীগ এর পাশাপাশি ঘরোয়া লীগ রয়েছে, তাদের ঘরোয়া লীগের কয়েকটা স্পেশাল টুর্নামেন্ট রয়েছে। এবং সবশেষে রয়েছে তাদের জাতীয় দল। সবমিলিয়ে তাদের যেন দম নেবার সময় নেই। একটা খেলোয়ার যদি অনবরত এইরকম ম্যাচ খেলতে থাকে তাহলে সেটা তার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। মারাত্মক ইঞ্জুরিতে পড়তে পারে সে। এইসব চিন্তা করেই হয়তো ফ্রান্সের খেলোয়ার কিলিয়ান এমবাপ্পে বলেছিল দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছাড়া যেন তাকে ডাকা না হয়। এটা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক সমালোচনা। এমবাপ্পের পর দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়াস এবং রাফিহা একই কথা বলেছে। তাদের এই কথার জন্য পুরো ফুটবল মিডিয়া তাদের নিয়ে সমালোচনা করছে।
অনেকেই তাদের ডেডিকেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকেই তাদের জাতীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু আমার মনে হয় না তারা এতোটুকু খারাপ বলেছে। তারা বলেছে জাতীয় দলের হয়ে যেন শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই তাদের ডাকা হয়। পাশাপাশি ক্লাবের খেলায় প্রতিপক্ষ দূর্বল থাকলে তাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়ে থাকে তাদের কথায়। মূলত ফুটবলের এমন ব্যস্ত সূচিতে নিজেদের ফিট রাখতে সুস্থ্য রাখতে তারা হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফুটবলারদের সবচাইতে মারাত্মক ইঞ্জুরির নাম হচ্ছে এসিএল ইঞ্জুরি। এই ইঞ্জুরি হলে মোটামুটি একটা বছর তাদের মাঠের বাইরে থাকতে হয়। এসিএল ইঞ্জুরিতে পড়ে গত সিজেন পুরো শেষ হয়ে গিয়েছে নেইমার, কর্তোয়াদের। এবং এই সিজেনের শুরুতেই এসিএল ইঞ্জুরিতে পড়েছে স্টের স্ট্রেগান, দানি কার্ভাহাল, রদ্রির মতো খেলোয়ার রা।
এক্ষেত্রে এই ব্যস্ত সূচিতে খেলোয়ার রা যদি নিজেদের ইঞ্জুরি মুক্ত রাখতে নিজেদের ফিট রাখতে কম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় এতে আমি তাদের দোষ দেখি না। আর যাইহোক তারা মানুষ। তারা কোন পণ্য না। তবে বতর্মান সময়ে ফিফা এবং উয়েফা ফুটবল টাকে নিয়ে গিয়েছে ব্যবস্যার পর্যায়ে আর খেলোয়ার রা হচ্ছে তার পণ্য। অনেক সময় এই রকম বাজে সিস্টেমের শিকার হয়ে ফুটবলার'রা পড়ছে ইঞ্জুরিতে। এইরকম পরিস্থিতিতে আমি ফুটবলারদের সাথে একমত। বর্তমানে ইউরোপের প্রথম শ্রেণির ক্লাবের একজন খেলোয়ারের গড়ে ৯০-১০০ টা ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হয় ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে। অর্থাৎ প্রতি তিন দিনে তারা একটা করে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলছে। যেটা তাদের পক্ষে একপ্রকার নির্যাতন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit