আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
------ | ------ |
---|---|
পরিচালক | অভিরুপ ঘোষ |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ৬ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | রজতাভ দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী, খরাজ মূখার্জী, বৃওি চ্যাটার্জী, সুমন বোস, আরও অনেকে। |
শিকারী
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
শুরুতেই দেখা যায় কানাইচরণ সৌভিক এবং কয়েকজন পুলিশ মুকুন্দপুরের মধুসুদন এর বাড়ি গেছে। প্রথম অবস্থায় সন্দেহ করা হয় মধুসুদনই চড়াই হত্যার সঙ্গে দায়ী। কিন্তু ওখানে গিয়ে সৌভিক ও কানাইচরণ জানতে পারে বছরখানেক আগেই মধুসুদন মারা গেছে। উনার ঘর এখন বন্ধ। উনার বোন বলে দাদা খুব ভালো ছাএ ছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেছে। কিন্তু নকশাল এর সঙ্গে যুক্ত হওয়াই পুরো ক্যারিয়ার টাই নষ্ট হয়ে গেল। নকশাল করাই অনেক টা সময় জেলে কাটিয়েছে দাদা। তখন কানাইচরণ বলে বুঝলি সৌভিক তাহলে এটা নিশ্চয়ই মধুসুদন এর কোনো শিষ্যের কাজ। মধুসুদন ঐ মুকুন্দপুরের পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করে। এরপর কেউ ঐ ম্যাগাজিন অফিসের ঠিকানায় চিঠি পাঠাতে এলে যেন তাদের জানানো হয়। এরপর কানাইচরণ সৌভিক কে বলে কমিশনার কে বলে কিছু ফোর্স এর ব্যবস্থা করতে। এই কথা সৌভিক যখন কমিশনার এর কাছে বলে তখন কমিশনার রেগে যায়। কমিশনার বলে এটা সম্ভব না। চড়াই হত্যা নিয়ে আর তোমাকে ভাবতে হবে না তোমাকে অন্য জায়গাই পোস্টিং করে দিচ্ছি। এটা শুনে সৌভিক এর মন খারাপ হয়ে যায়।
কমিশনার সৌভিক কে বলে কানাইচরণ কে দেখে মনে হয় একেবারে সাধারণ। কানাইচরণ আমার সিনিয়র কিন্তু এমএলএ এর সঙ্গে ঝামেলা করায় আজ ওর এই অবস্থা। কমিশনার এর কাছে এতো কিছু শুনে সৌভিক এর মাথাগরম হয়ে যায়। এবং সৌভিক কানাইচরণকে অনেক কথা শুনিয়ে বলে আমার পোস্টিং হয়ে গেছে আমি কাল চলে যাব। আমি আর এইসব চড়াই হত্যা নিয়ে থাকতে পারব না। এবং আরও অনেক কথা শোনাই সৌভিক। কানাইচরণ বলে সৌভিক তুই যা চড়াই হত্যার কেস আমি একাই সমাধান করব। সৌভিক বাড়িতে চলে যায়। হঠাৎ রাতে চিৎকার। সৌভিক উঠে দেখে তার বাড়ির কুকুরকে এলাকার লোক মারছে। এবং একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কিন্তু তারপরও তাদের অনুশোচনা নাই। তখন সৌভিকের ভুল ভেঙে যায়। সৌভিক বুঝতে পারে কানাইচরণকে সে ঐসব কথা বলে ঠিক করেনি। পরেরদিন সৌভিক গিয়ে বলে কানাই দা আমাকে ক্ষমা করে দাও। কানাইচরণ বলে তোর না আজকে নতুন জায়গাই জয়েনিং চলে যায়। একপর্যায়ে মৃণালিনী এর মধ্যস্থতায় আবার দুজনের সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায়। এবং ঠিক ঐ সময়ে একটা ফোন বেজে উঠে।
বিদ্রোহ
দৌড়ে গিয়ে ফোন ধরে কানাইচরণ। মুকুন্দপুরের পোস্ট অফিসের ঐ লোক ফোন করে। ঐ লোক বলে স্যার মাএই একজন ঐ ম্যাগাজিন অফিসের ঠিকানায় চিঠি পাঠালো। আমি তার পেছনে গিয়েছিলাম লোকটা স্টেশনে গিয়ে বরাইহাট গ্রামের টিকিট কাটে। তখন কানাইচরণ ভানু বাবুর দেওয়া লিস্ট দেখে। সে দেখতে পাই ভানু বাবুর দেওয়া দশটা গ্রামের মধ্যে নাম আছে এই বরাইহাট গ্রামের। তখনই গাড়ি নিয়ে চলে যায় সেখানে কানাইচরণ এবং সৌভিক। গ্রামের মধ্যে একটা কাশবন সেখানেই সন্দেহ বশে যায় দুজন। ওখানেই ছিল ঐ চড়াই হত্যাকারী। সে যথারীতি ফাঁদ পেতে চড়াই ধরে হত্যা করবে তখনই কানাইচরণ পেছন থেকে বলে ওটাকে ছেড়ে দেন। বিশু বুঝতে পারে ধরা পড়ে গেছে। হঠাৎ কৌশলে আক্রমণ করে বসে বিশু। প্রথমে কৌশলে পাথর দিয়ে কানাইরণের মাথায় মারে এবং তারপর সৌভাকের সঙ্গে মোটামুটি হাতাহাতি চলে। একপর্যায়ে ধরাশায়ী হয় ঐ চড়াই হত্যাকারী।।
এরপর কানাইচরণ এবং সৌভিক বিশুকে জিজ্ঞেস করে কী করেন। বিশু বলে টিউশনি করি। এরপর বলে আপনি কী নকশাল ছিলেন জেল থেকেই কী মধুসুদন এর সাথে পরিচয়। বিশু বলে হ্যা। এরপর জিজ্ঞেস করে চড়াই কেন হত্যা করতেন। তখন বিশু বলে আমরা একটা নতুন শুরু আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মধুসুদন দা তো মারা গেল। কানাইচরণ বলল কীরকম নতুন শুরু শুনি তো। তখন বিশু বলে ফসল কম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী চড়াই। এইজন্যই চীনের কোনো এক শাসক দ্যা স্প্যারো কিলিং ক্যাম্পেইন শুরু করে। সেখান থেকেই বিশু এবং মধুসুদন এর বুদ্ধি পাই। সেজন্য মধুসুদন মারা যাওয়ার পরে বিশু একাই চড়াই হত্যা শুরু করে। তখন বিশু বলে স্যার আমাকে ঐ পশুপাখি হত্যার কেস দেবেন না। আমাকে খুনের কেস দেবেন। চড়াই পাখি হলেও ওরও একটা প্রাণ। দেখবেন খুনের জন্য আমার যেন ফাঁসি হয়। ঐ কথা শুনে কানাইচরণ এবং সৌভিক অবাক হয়ে যায়। কিন্তু কানাইচরণ ঐ পশুপাখি হত্যার কেসই দেয় বিশুকে। চড়াই হত্যার সমাধান হয়ে যায়। এরপর সৌভিক তার নতুন জয়েনিং জায়গাই চলে যায়। এখানেই শেষ হয় ব্যাধ এর সিজেন-১ এর সিরিজটা।
ব্যক্তিগত মতামত
বতর্মানে মুভির থেকে ওয়েব সিরিজ বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সত্যি বলতে আমার পছন্দ হচ্ছে সায়েন্স ফিকসন এবং ক্রাইম থ্রীলার আমার বেশি পছন্দ। আমি দুইটা এপিসোড করে ব্যাধ ওয়েব সিরিজের ছয়টা এপিসোডের রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ ছিল শেষ দুই এপিসোডের রিভিউ। অবশেষে চড়াই হত্যাকারীকে ধরতে সক্ষম হয় কানাইচরণ এবং সৌভিক। তবে চড়াই হত্যাকারী বিশুর মানসিক সমস্যা আছে বলে ধারণা করেন কানাইচরণ। কারণ বহু আগে ভীনদেশী এক শাসকের কথা শুনে ফসল কম হওয়ার জন্য চড়াইকে দায়ী করা এবং চড়াই হত্যা করা মোটেই সুস্থ্য মানুষের কাজ না। তবে শেষ পর্যায়ে এসে সৌভিক এবং কানাইচরণ বেশ অনেকের বাঁধার সম্মূখিন হয়। এটা হইচই প্লাটফর্মের একটা কনটেন্ট।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০
center> সিরিজের ট্রেলার লিংক
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
যাক চড়াই হত্যাকারীকে ধরা গেছে এটা বড় বিষয়। আসলে যেকোন প্রানী হত্যা করা মহাপাপ। তবে চড়ুই হত্যাকারীর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলছিলে। যাই হোক গল্পটা কিন্তু ভীষণ ইন্টারেস্টিং ছিল বলতেই হচ্ছে। সময় করে দেখতে হবে ওয়েব সিরিজটি। ধন্যবাদ তোমায় পুরো কাহিনী উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেউ ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit