"বঙ্গবন্ধু"সাফারি পার্ক ভ্রমণ!!

in hive-129948 •  20 hours ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শনিবার, ২১ ই ডিসেম্বর,২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000567456.jpg


আমার ঘোরাঘুরি করার অনেক শখ। আমার ইচ্ছা যেদিন আমার সামর্থ‍্য হবে আমি আমার পছন্দের জায়গা গুলো ঘুরে দেখব। কিন্তু এখন পযর্ন্ত খুব কমই ঘোরাঘুরি করেছি আমি। এটার যথেষ্ট কারণ আছে অবশ‍্য। গত বছর আমি গাজীপুর সাফারি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এটা বাংলাদেশের একমাএ সাফারি পার্ক। এবং এই পার্কটা একটা বিস্তির্ণ জায়গা নিয়ে অবস্থিত। আমার সাথে আমার আরও চার বন্ধু ইকরা, নাভিদ, তুহিন এবং রাসেল ওরাও ছিল। এটাই ছিল একসঙ্গে আমাদের শেষ ভ্রমণ। প্রথম থেকে শুরু করা যাক। আমরা যাএা শুরু করি গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে। তখন সময় ২ টা। তার আগে আমরা কখনোই গাজীপুর বা সাফারি পার্কে যায়নি।


1000566698.jpg

1000566699.jpg

1000566704.jpg

1000566710.jpg

1000566702.jpg

1000566708.jpg


বাস চালকের কাছে শুনে এবং গুগল ম‍্যাপের উপর ভরসা করে বাসে উঠি। বাস চালক বলে একেবারে সাফারি পার্কের মেইন গেটের সামনে নামিয়ে দেবে। যাইহোক আমরা বাসে যেতে থাকি। গাজীপুরে বন জঙ্গল অনেক বেশি। রাস্তার দু পাশে অনেক গাছপালা একেবারে জঙ্গলের মতো। তবে ওখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ সুন্দর। সেগুলো দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যায়। গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২৫ টাকা করে ভাড়া নেয়। এবং তারপর আমাদের নামিয়ে দেয় সাফারি পার্কের মেইন গেটের সামনে। তবে ওখান থেকেও সাফারি পার্ক অনেক টা দূর। বাকিটা পথ আমাদের সিএনজি বা ইজিবাইকে যেতে হবে। একটা সিএনজিতে উঠলাম।


1000566711.jpg

1000566716.jpg

1000566715.jpg

1000566721.jpg

1000566720.jpg

1000566722.jpg


রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। একেবারে ভাঙাচোড়া রাস্তা। মোটামুটি মিনিট বিশ যাওয়ার পরে আমরা গাজীপুর সাফারি পার্কের সামনে নামি। ঘড়িতে সময় তখন বিকেল তিনটা। সাফারি পার্কে প্রবেশের আগে আমার বন্ধুরা ফ্রেশ হয়ে নিল। তারপর আমরা টিকিট কাটতে চলে গেলাম। টিকিট কাটতে গিয়ে দেখি শিক্ষার্থীদের যদি স্টুডেন্ট কার্ড থাকে তাহলে ১০ টাকা প্রবেশমূল‍্য। আর না থাকলে সাধারণ মানুষের জন্য ৩০ টাকা। আমার অন্য বন্ধুরা ওদের স্টুডেন্ট কার্ড নিয়ে এসেছিল। কিন্তু আমার কাছে ছিল না। বাধ‍্য হয়ে আমাকে একটু বেশি টাকা দিয়েই টিকিট কাটতে হয় । এরপর আমরা গেট দিয়ে প্রবেশ করি। প্রথমেই আমরা চলে যায় ম‍্যাপের কাছে। যেখানে পুরো সাফারি পার্কের ছোট একটা ম‍্যাপ তৈরি করে রাখা হয়েছে।


1000566724.jpg

1000566725.jpg

1000566729.jpg

1000566735.jpg

1000566740.jpg

1000566743.jpg

1000566741.jpg


যেন পর্যটক রা সহজেই বুঝতে পারে কোথায় কি আছে। সাফারি পার্ক অনেক বড় জায়গা নিয়ে অবস্থিত। এখানে ভালোভাবে ঘুরতে হলে আপনাকে পুরো একটা দিন হাতে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আমাদের হাতে সময় ছিল মোটামুটি তিনঘন্টা। কারণ ছয়টার আগেই পার্ক বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের সেইরকমই বলা হয়। যাইহোক আমরা ভেতরে চলে যায়। বেশ সুন্দর রাস্তা তৈরি করা। দুপাশে অনেক ধরনের গাছ। বিভিন্ন প্রকার ফুলগাছ ছিল। চারিদিকে দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে যায়। প্রথমেই আমাদের সামনে আসে কোর সাফারি পার্ক। অর্থাৎ এখানে গিয়ে আপনি টিকিট কেটে বাসে উঠবেন। এবং বাস জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাবে। রাস্তার দুই পাশে হরিণ, ভাল্লুক, বাঘ, সিংহ ঐগুলো থাকবে। পর্যটক রা বাসে বসেই সেগুলো দেখবে। আমরা চলে গেলাম কোর সাফারি পার্কে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Daily task

1000567957.jpg

1000567956.jpg

1000567955.jpg

Super walk task

1000567954.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

অনেক ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে গিয়েছিলাম। যদিও আমাদের বাসা থেকে অনেক কাছে তবুও যাওয়া হয়নি। যাইহোক আপনারা সেখানে দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। তবে অনেকটাই আগের মত রয়েছে দেখছি। আপনাকে ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।