আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছবিটি Pixabay নিয়ে নেওয়া এবং Canva দিয়ে এডিট করা
হোটেলে ফিরে ওরা খুব বেশি সময় থাকেনি। তৃপার শরীর টা যেন ক্রমাগত নিস্তেজ হতে থাকে। ওর মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করে ম্রিয়মান। না তৃপার ব্যবহারে না ওর শরীরের মধ্যে। ক্যান্সারের শেষ স্টেজে থাকা একজন মানুষের শরীর এমন থাকাটা অস্বাভাবিক না। তবে ম্রিয়মানের সাথে গতকালও যে মেয়েটা ছিল সে ছিল উৎফুল্ল একজন। সাড়ে তিনটার দিকে হোটেল থেকে চেক আউট করে তৃপা এবং ম্রিয়মান। দুজনে চলে যায় কক্সবাজার এয়ারপোর্টে এরপর কিছু সময়ের মধ্যে ঢাকা। ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে তৃপাকে প্রশ্ন করে ম্রিয়মান
এখন কোথায় যাবে তুমি। পরিচিত কেউ আছে।
তুমি ছাড়া আপাতত বাংলাদেশে পরিচিত আর কেউ নেই। তবে আমার দুঃসম্পর্কের কিছু আত্মীয় থাকে। কিন্তু ওদের সাথে যোগাযোগ করার ইচ্ছা নেই।
তাহলে কোথায় থাকবে তুমি। আমি তো ব্যাচেলর থাকি না হলে আমার সাথেই তোমাকে রাখতাম বলে ম্রিয়মান।
কিছুটা হেসে তৃপা বলে কেন এখন একসঙ্গে থাকলে কী কলঙ্ক লাগবে তোমার গায়ে। বলে হো হো করে হেসে উঠে তৃপা। সমস্যা নেই আমার পরিচিত একটা হোটেল আছে। কানাডা থেকে এসে ওখানেই ছিলাম কিছুদিন। ওখানেই থাকব।
ঠিক আছে চলো তাহলে তোমাকে দিয়ে আসি। একটা উবার কল করে ম্রিয়মান। কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসে।
কোথায় যাবেন আপনারা বলে উবার চালক। তৃপার দিকে তাকায় ম্রিয়মান। হোটেল নূরজাহান রেজেন্সি চিনেন।
হ্যা ম্যাম কেন চিনব না। ঐটা ঢাকার মধ্যে সবচাইতে বড় হোটেল। ঢাকার রাস্তা টা একেবারে যানজট মুক্ত। এমন ফ্রি রাস্তা কয়েক বছরে একবার দেখা যায়।
আজ রাস্তাগুলো যেন একটু বেশিই ফাঁকা বলে ম্রিয়মান।
হ্যা স্যার ব্যাপার টা বেশ আশ্চর্যজনক। সারাদিন আমি নিজেও আজ কোন যানজটে পড়িনি। শহরের রাস্তা থেকে যেন হঠাৎই মানুষ হারিয়ে গিয়েছে বলে উবার চালক।
কিছু সময়ের মধ্যেই দুজন পৌছে যায় হোটেল নূরজাহান রেজেন্সি তে। একেবারে পাঁচ তারকা হোটেল। ভেতরে যেতেই একজন হোটেল বয় এগিয়ে এসে তৃপার হাত থেকে লাগেজ টা নিয়ে নিল। রিসিপশনে গিয়ে তৃপা বলল
আমার সব ডকুমেন্ট তো আছেই একটা রুম দিবেন দ্রুত।
ম্যাম স্যার কী থাকবে আপনার সাথে। রিসিপশন থেকে বলে
না উনি আমার ফ্রেন্ড এখনই চলে যাবে। তবে মাঝে মাঝে আসবে।
তৃপাকে বিদায় বলে ফিরে আসে ম্রিয়মান। আজকে থেকে চার দিন আগে এই ঢাকায় ছিল ম্রিয়মান। তবে সে যেন অন্য ম্রিয়মান। যার মধ্যে সবসময় অদিতির চিন্তা স্মৃতি ঘুরে বেড়াত।
কিন্তু চার দিনের ব্যবধানে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এক অন্য ম্রিয়মান এসেছে। যার মধ্যে অদিতির থেকে তৃপার চিন্তা বেশি। নতুন স্মৃতি নতুন অনূভুতি এসে জায়গা করে নিয়েছে ম্রিয়মানের মধ্যে। ও যেন ভুলতে শুরু করেছে সব।
স্মৃতি কখনোই মুছে যায় না ভুলে থাকা যায় না। একটা স্মৃতি আমরা তখনই ভুলে যায় যখন নতুন কোন স্মৃতি বা অনূভুতি এসে ঐ পুরাতন টা কে চাপা দেয়। ম্রিয়মানের সাথে যেন এমনটাই হয়েছে। হঠাৎ তৃপা তার জীবনে এসে অদিতির স্মৃতিটা চাপা দিয়ে দিতে শুরু করেছে।
পরের দিন যথারীতি ম্রিয়মান অফিসে চলে যায়। অফিস থেকে একটা মিথ্যা বলেই ছুটি নিয়ে কক্সবাজার গিয়েছিল ও। না হলে কখনোই কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার জন্য ওকে ছুটি দিত না। মোটামুটি সারাটা দিন ম্রিয়মানের কাটে ব্যস্ততায়। বিকেলের দিকে তৃপার কল আসে
কোথায় আছো তুমি
এইতো অফিসে।
কখন বের হবে।
কিছুক্ষণ পরেই।
ঠিক আছে তাহলে আমার হোটেলে চলে এসো। দুজন একসঙ্গে কফি খাই। সময় হবে তোমার। তৃপার কথায় মোটামুটি কিছু না ভেবে হ্যা উওর দেয় ম্রিয়মান।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit