প্রিয় ক‍্যাম্পাস।

in hive-129948 •  last year 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বুধবার, ২০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


IMG_20231210_164423.jpg


ক‍্যাম্পাস ব‍্যাপারটা মনে আসলেই কতশত স্মৃতি কতশত কথা মনে ভেসে আসে তাই না। আপনাদের আসে কীনা জানি না তবে আমার কিন্তু আসে। আমার মাধ্যমিক বিদ‍্যালয় আমার শহরে হওয়ার পরেও অনেক মিস করি। কারণ ঐ সময় বের করে ঠিক যাওয়া হয়ে উঠে না। কিন্তু আমার কলেজ ক‍্যাম্পাস টা আমার জেলার মধ্যে হলেও আমার শহরের মধ্যে না। কিন্তু প্রায়ই যায়। তবুও কেন জানি একটা আবেগ একটা মায়া কাজ করে আমার কলেজ ক‍্যাম্পাস টার উপর। এর অবশ‍্য বেশ কিছু কারণ আছে। আমার কলেজ ক‍্যাম্পাসের থেকে পাওয়া কিছু জিনিস আমার সারাজীবন মনে থাকবে। ওখানে গেলেই মূহূর্তে স্মৃতিগুলো ভেসে উঠে। এই তো মাসের ২৬,২৭ তারিখের যেকোনো একদিন ফাইনাল সেমিষ্টারের ভাইবা টা হলেই অফিসিয়ালি আমার কলেজ শেষ। তখন শুধু ফলাফলের অপেক্ষা। কিন্তু তারপরেই কী ক‍্যাম্পাসকে ভুলে যাব। কখনোই না।


IMG_20231219_163908.jpg

IMG_20231219_163904.jpg


সারাজীবন মনে থেকে যাবে। যখন সুযোগ হবে সময় হবে ছুটে আসব এখানে। এইতো প্রায় দুই মাস বাড়িতেই রয়েছি। প্রয়োজনে প্রায়ই কুষ্টিয়া যাওয়া হয় কিন্তু ক‍্যাম্পাস টাতে যাওয়ার সময় হয়ে উঠে না। বিগত কয়েকদিন ধরেই ইচ্ছা করছিল যায় ক‍্যাম্পাস টাতে ঘুরে আসি। না বিশেষ কোন কাজে না। আর কোন বন্ধু আসবে ব‍্যাপার টা এমনও না। গেলে আমি একাই যাব। যথারীতি যেমন চিন্তা তেমন কাজ। মঙ্গলবার বিকেলের আগেই মোটামুটি সব কিছু ঠিকঠাক। বিকেল হওয়ার আগেই তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ি। আমার চিন্তা টা ছিল এমন বিকেল টা কাটাব কলেজ ক‍্যাম্পাসে। পথে কোন অসুবিধা না হওয়াই সময় মতো পৌছে যায় আমি। অন‍্যদিকে কলেজে চলছে সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে যদিও সেজন্য কোন অসুবিধা হয়নি। চার টা বছরের বেশি সময় রয়েছি এই কলেজের ছাএ হিসেবে। এর কারণ অবশ‍্য ঐ করোনা। যাইহোক সেসব বাদ দেয়।


IMG_20231219_163857.jpg

IMG_20231219_163835.jpg

IMG_20231219_163826.jpg

IMG_20231219_163822.jpg


চারটা বছর এখানে লেখাপড়া করলেও বিকেল বেলাটাই সেরকম কোন ক‍্যাম্পাসের মাঠে বসে আড্ডা দেওয়া হয়নি সময় কাটানো হয়নি। ক‍‍্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ে সুবিশাল মাঠ টা। দেখেই একটা অন‍্যরকম অনূভুতির সৃষ্টি হয়। যাইহোক পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে রাস্তার পাশে থামলাম। কলেজের মাঠে তখন ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় চারটা দল খেলছে। এদের দুই দল ফুটবল খেলছে এবং দুইদল খেলছে ক্রিকেট। দুই দল বলতে দুই জায়গাই আর কি। অনেক বড় মাঠ হলে এটা হয়ে থাকে। কলেজের শিক্ষার্থীরাও ছিল আবার স্থানীয়রাও ছিল। তবে আমার পরিচিত একটা মুখও পাইনি শুধু কলেজের গেটম‍্যান ছাড়া। কলেজের গেটম‍্যান মানুষ ভালো না সেজন্য তার সঙ্গে কখনোই ছাএদের পড়ে না। যাইহোক আমি দাঁড়িয়ে খেলা দেখছিলাম। বরাবরই ফুটবল পছন্দ হওয়াই ফুটবল খেলাটার দিকে আমার নজর বেশি ছিল।

একপাশে ছোট জায়গা নিয়ে কিছু কিশোর খেলছিল। ওখানে একটা ছেলেকে বেশ বার বার ফাউল করা হচ্ছিল। বিষয়টি প্রতিবারই আমার নজরে আসে। কিন্তু ছেলেটা বার বার উঠে দাঁড়িয়ে আবার বল নিয়ে ছুটছিল কী অদম‍্য মনোবল। আমার পাশেই কয়েকজন মিলে ক্রিকেট খেলছিল। একপর্যায়ে তাদের একজন আমাকে অফার করে বসে ভাই আপনি খেলবেন নাকি। আমার অবশ‍্য খেলতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বললাম না ভাই তোমরা খেল। এরপরে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম কলেজের পুকুরের দিকে। এখানে বিশেষ কিছু নেই দেখার। তবে জায়গাটা একেবারে নিশ্চুপ হওয়াই বসে সময় কাটানো যায়। মোটামুটি ক‍্যাম্পাসে বিকেল টা দারুণ কাটে। মাঠের ঘাসগুলো এখন ছোট এবং বেশ সবুজ। ক‍্যাম্পাসে পরীক্ষা চলার কারণে একটু বেশিই চুপচাপ ছিল যদিও। কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগছিল। যদিও কোন পরিচিত মুখ খুঁজে পাইনি।



-------------
ফটোগ্রাফার@emon42
ডিভাইসVIVO Y91C
সময়ডিসেম্বর ,২০২৩


সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে ছাত্র জীবনে কলেজ ক্যাম্পাসটা অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। আর কলেজ ক্যাম্পাসে জড়িয়ে থাকে আমাদের জীবনের হাজারো ধরনের স্মৃতি। আর বেশিরভাগ স্মৃতিগুলো মধুর স্মৃতি হিসেবে থাকে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার ক্যাম্পাসটি খুবই সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ক্যাম্পাসের সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাজে শেয়ার করার জন্য।

মানুষের যত বয়স বাড়ে তত নষ্টালজিক হয়। জীবনের প্রিয় সময় গুলো কাটিয়ে আসে মানুষ তার প্রিয় ক্যাম্পাসে। তাই ক্যাম্পাসের স্মৃতি ভোলা যায়না।কত ঘটনা, কত কাহিনী ঘিরে ক্যাম্পাসের স্মৃতি! পরিবারের পরেই ক্যাম্পাস অনেক আপন মনে হয়। কতদিন আগে ফেলে আসা ক্যাম্পাসের কথা মনে পড়ে আমাদের!বন্ধুরা একসাথে হলেই ক্যাম্পাসের গল্প ফুরায়না! লেখাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ক্যাম্পাসে আমাদের সবারই অনেক রকম স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। আমাদের জীবনের সবচেয়ে বেশি আনন্দের মুহূর্তগুলো আমরা এই ক্যাম্পাসগুলোতেই কাটাই। আপনার কলেজ ক্যাম্পাসটা আসলেই খুব সুন্দর। আর ক্যাম্পাসের মাঠটাও বিশাল। তবে গেটম্যানকে ছাড়া আর কোন পরিচিত মুখ খুঁজে পাননি জেনে একটু খারাপ লাগলো।

ক্যাম্পাস শব্দটা মনে পড়লেই ভেসে ওঠে কলেজ লাইফের কথা। কত শত স্মৃতি কত দুষ্টামি সবকিছু হয়েছে এই প্রিয় ক্যাম্পাস। এখনো বাড়িতে গেলে ছুটে চলে যায় একটু ঘুরার উদ্দেশ্যে হলেও ক্যাম্পাসে। বেশ ভালো লিখেছেন।

Posted using SteemPro Mobile