আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শীত আসলেই মনের মধ্যে একটা কথা উকি দেয়। পিকনিক করা দরকার। পিকনিক মানেই নিজেরা রান্না করা খাওয়া দাওয়া মজা। আর নিজের এলাকায় সবার সঙ্গে পিকনিক করার আলাদা একটা মজা আছে। ঘটনা টা প্রায় এক সপ্তাহ আগের। আমি ব্যাডমিন্টন খেলার সময় সবাইকে বলি পিকনিক করব। তখন কয়েকজন সাড়া দিলেও বাকিরা কোন কথা বলে না। পরে আর কী ভাবলাম হয়তো পিকনিক টা আর হবে না। কিন্তু শুক্রবার নামাজ পরে বের হওয়ার পর আমার বন্ধু মেহেদী বলছে ইমন পিকনিক করব টাকা দে। যাইহোক সবকিছু ঠিক হয়ে গেল তখনই। শুরু করলাম টাকা তোলা। আমাদের পিকনিকের মেন্যু ছিল খিচুড়ি এবং দেশী মুরগির মাংস ভুনা। আমাদের চাঁদার পরিমাণও ছিল কম মাএ ১৫০ টাকা। সবমিলিয়ে সদস্য হলো ১২ জন। সঙ্গে সঙ্গে টাকা তোলা হলো।
সন্ধ্যার পর আমার বন্ধু শিমুল এবং মেহেদী বাজারে গিয়ে মাংস, চাউল এবং অন্যান্য সবকিছু কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু আমি টিউশনিতে থাকার কারণে যেতে পারিনি। যাইহোক বাজার শেষ করে ওরা বাড়িতে চলে আসে এবং আমি বাড়িতে আসি ৭:৩০ এর দিকে। এরপর আমরা সবাই চলে যায় পিকনিক স্পটে। পিকনিক স্পট টা ছিল আমাদের এলাকার শেষের দিকে মাঠের মধ্যে। তবে সেখানে ছাউনি আছে মানে একটা ছোট ঘর আছে। সেখানে গিয়েই আমাদের এক বড় ভাই আকাশ উনি মাংস কাটতে শুরু করে। আমি শুরু করি পিয়াজ রসুন কাটা কেউ চুলা তৈরি করতে থাকে ইট দিয়ে কেউ যায় রান্না করার কাঠ জোগাড় করতে। রাতের বেলা পিকনিকের কাঠ কীভাবে জোগাড় করতে হয় সেটা আপনাদের জানার কথা হা হা। আমি নিজেও মোটামুটি রান্না পারি। যাইহোক সবকিছু পরিমাণ মতো দিয়ে শুরু আমি খিচুড়ির চাউল মাখিয়ে দিয়ে দিলাম চুলার উপর।
অন্যদিকে দেশী মুরগির মাংস মেরিনেট করে রেখে দিয়েছি। খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল ঐসময় আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি ছবি উঠি। আমি মেহেদী এবং শিমুল আমরা তিনবন্ধু একসঙ্গে বেশ অনেক গুলো ছবি উঠি। খিচুড়ি টার স্বাদ ঠিক হয়েছে কীনা সেটাও আমি চেক করি। মোটামুটি ৩০ মিনিটের মধ্যে খিচুড়ি টা হয়ে যায়। এরপর শুরু করি মাংস রান্না। তবে মাংস টা রান্না করেছিল আমাদের ঐ বড় ভাই আকাশ। উনি বেশ ভালো রান্না করতে পারেন। মাংস রান্না হতে বেশ অনেক টা সময় লেগেছিল। ততক্ষণে আমার বেশ খুদা লেগে গিয়েছে। পেটের মধ্যে কিন্তু রীতিমতো আগুন জ্বলছে। রান্না যখন শেষ হলো তখন ঘড়িতে সময় প্রায় সাড়ে দশটা। পিকনিকের খাওয়া দেরী হবে এটা স্বাভাবিক। আর নিজেরা রান্না করে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে।
আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কলাপাতায় খাব। আমাদের পিকনিক স্পটের পাশেই বেশ কয়েকটা কলা বাগান আছে। আর কী আমি এবং আরেকজন গিয়ে বেশ কয়েকটা কচি কলাপাতা কেটে নিয়ে আসলাম। এই প্রথম কলাপাতায় খেলাম আমি। যদিও এটা আমাদের বাঙালির ঐতিহ্য একেবারে বাঙালিয়ানা বলতে পারেন। তারপর সবাই কলাপাতা পরিষ্কার করে নিয়ে বসে গেলাম। শুরু হয়ে গেল খাওয়া। খিচুড়ি এবং মাংস দুইটাই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। সবাই একসঙ্গে নিচে বসে কলাপাতায় খিচুড়ি এবং দেশী মুরগির মাংস ভুনা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। সবাই আড্ডা দিতে দিতে আস্তে আস্তে খাচ্ছিলাম। আমাদের খাবার ছিল পর্যাপ্ত। খাওয়া যখন শেষের দিকে তখন দেখি মাঠের মধ্যে আমাদের লাজুক খ্যাক এর স্বগোএীয় রা হাক দিচ্ছে হা হা। খাওয়া শেষ করে সবাই একসঙ্গে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। এইভাবে শেষ পিকনিক করেছি একবছর আগে। বাড়িতে থাকলে মাঝে মাঝেই হয় এইরকম পিকনিক। আবার কবে হবে তার ঠিক নেই। তবে মূহুর্তগুলো সারাজীবন স্মরণে থাকবে।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | ডিসেম্বর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শীতের শুরুতেই বন্ধুদের সাথে পিকনিক নিয়ে একটি দারুন পোস্ট। আসলে বন্ধুদের সাথে যেকোনো সময় পিকনিক করতে বেশ ভালো লাগে। খিচুড়ি এবং দেশি মুরগির মাংস আমার কাছে কিন্তু বেশ টেস্ট লাগে ভাই। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনাদের কলা পাতায় খাওয়া দেখে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওয়াও ভাই সবাই মিলে বেশ জমিয়ে পিকনিক করেছেন দেখছি। শীতের সময় আসলেই পিকনিকে অনেক বেশি মজা হয়। আমিও বাড়িতে গেলে বন্ধুদের সাথে প্রচুর পরিমাণে পিকনিক করি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পিকনিক খাওয়াটা খুবই সুন্দর হয়েছে আপনাদের। যেহেতু শীতকালের শুরুতে পিকনিক খাওয়া শুরু করে দিলেন। আশা করি শীতকাল শেষ হতেই আপনাদের অনেক পিকনিক হয়ে যাবে। তো কলা পাতায় বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করলেন। মুহূর্তটা অসাধারণ কাটালেন সবাই মিলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছেলেবেলার মতো পিকনিক করেছেন ভাইয়া খুব ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে।পিকনিকের সব ফটোগ্রাফি করেছেনে বেশ ভালো লাগলো।কাঠ জোগার করতে নিশ্চই খুব ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়েছে 🤪কে কখন দেখে নেয়।কলাপাতায় খাওয়ার দৃশ দেখে খুব ভালো লাগছে।লাজুক খ্যাকদের না দিয়েই খেলেন ভাইয়া😆।ধন্যবাদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করে পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit