আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আজ ২১ শে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা শহীদ দিবস। অন্য দেশগুলোর জন্য এটা সাধারণ দিন হলেও। আমাদের বাঙালিদের জীবনে ঐতিহাসিক একটা দিন। এটা কেন কীভাবে আমরা সবাই জানি। সেজন্য আমি ঐসব নিয়ে কথা বলব না। আমি কথা বলব একটু ভিন্ন কিছু নিয়ে। তবে সেটা বাংলা ভাষা নিয়েই। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। জন্মের পর থেকেই এই ভাষায় কথা বলা শেখার শুরু হয় আমাদের। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে আমাদের কর্মের জন্য জীবনের জন্য অন্য একটা ভাষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় বাংলার চেয়ে। এটা সাধারণত ইংরেজি বেশি। এটা মূলত আমরা বাধ্য হয়ে দেয়। তবে বতর্মানে অনেকেই নিজেকে স্মার্ট দেখানোর জন্য ইংরেজিতে কথা বলে। এটা আবার আমার কাছে অতিরিক্ত ঢং মনে হয়। আজ সকাল থেকেই ফেসবুকে দেখছি সবাই বাংলা ভাষা প্রেমি সবাই বাংলা ভাষা নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছে।
যাইহোক সেসব বাদ দেয়। ২০২০ সালে করোনার মধ্যে স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার আগমন হয়। তখন স্টিমিট প্লাটফর্মের অবস্থা মোটেই এখনকার মতো ছিল না। তখন কোন আমার বাংলা ব্লগ ছিল না। বাংলায় লেখার জন্য কোন প্লাটফর্ম ছিল না। যাইহোক জয়েন করার পর অন্যদের মতো আমিও ইংরেজিতে লেখা শুরু করি। এটা আমার মধ্যে একটা অতৃপ্ততার সৃষ্টি করে। কারণ আর যাইহোক অন্য ভাষায় নিজের অনূভুতি শতভাগ প্রকাশ করা সম্ভব না। কিন্তু কী করার সাপোর্ট পেতে গেলে ইংরেজিতেই লিখতে হবে। অন্যদিকে আরেকটা বিষয় বাঙালিদের সবসময়ই তারা অবজ্ঞা করত। সবসময় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। যেমন একটা কাজে অন্য কমিউনিটিতে যেখানে সাপোর্ট এর ছড়াছড়ি ঐ একই কাজে বাংলা কমিউনিটিতে নামমাএ সাপোর্ট। এমন ঘটনার সাক্ষী আমি অনেক বার হয়েছি।
এরপর ২০২১ সালের জুন মাসে আমাদের দাদা আবার স্টিমিট প্লাটফর্মে ফিরে আসে। এবং তিনি চাইলেই নিজের মতো কাজ করতে পারতেন। এতে প্রতিদিন তার বেশ ভালো একটা অংকের টাকা ইনকাম হতো। কিন্তু তিনি সেটা না করে প্রতিষ্টা করলেন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। শুরু হলো একে একে বাঙালি ইউজারদের আনাগোনা লেখালেখি। কিছুদিনের মধ্যে আমি যখন আমার বাংলা ব্লগের খোঁজ পাই। তখন আমি সাপোর্ট এর চিন্তা করিনি। আমার মনে সর্বপ্রথম একটা কথা এসেছিল যাক এবার তো বাংলায় লিখতে পারব। কোন সাপোর্ট এর জন্য অন্য ভাষায় লেখা লাগবে না। এরপর ক্রমেই বাঙালি ইউজারদের সংখ্যা কমিউনিটিতে বাড়তে থাকে। আমাদের দাদা তাদের পর্যাপ্ত সাপোর্ট দেওয়ার জন্য নিয়ে আসেন shy-fox. কিন্তু সেটা যথেষ্ট না হওয়াই পরে আবার shy-fox এর পাওয়ার বৃদ্ধি করেন তিনি। সর্বোপরি তিনি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমার বাংলা ব্লগ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
স্টিমিট প্লাটফর্মে বাঙালিদের অবস্থান নিয়ে তিনি কথা বলেছিলেন একেবারে প্রথম দিকেই। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। শেষমেশ নিজেই তৈরি করলেন আমার বাংলা ব্লগ। এবং আজ আমার বাংলা ব্লগ বাংলা ভাষার কমিউনিটি বাঙালি সদস্যদের কমিউনিটি স্টিমিট প্লাটফর্মের সেরা কমিউনিটি। এটা পুরোপুরি সম্ভব হয়েছে আমাদের দাদার জন্য। স্টিমিট প্লাটফর্মে বাংলা ভাষা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের দাদার অবদান অসামান্য। তিনি বাঙালিদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন স্টিমিট প্লাটফর্মে। এখন অনেকেই বাংলা ভাষায় লেখার জন্য আগ্রহী। এটার পেছনে সম্পূর্ণ অবদান তার। সত্যি বলতে আমি শুধু ভাষা শহীদদের নাম শুনেছি তাদের ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু ভাষার জন্য লড়াই করতে কাউকে দেখিনি। কিন্তু আমি বা আমরা বলতে পারি আমরা একজনকে চিনি একজনকে জানি যিনি কীনা বাংলা ভাষা, বাঙালিদের জন্য লড়াই করেছেন। নিজের সবটা দিয়ে স্টিমিট প্লাটফর্মে বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের একটা অবস্থান তৈরি করেছেন। আজ এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। আপনি ছাড়া এই কাজ এককথায় অসম্ভব ছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম সত্যি কথা বলেছেন। আপনার মতো আমিও বাংলায় লিখতে বেশ স্বস্তি পেয়েছিলাম।সাপোর্ট এর আশা একটিবার ও তখন ভাবিনি।তখন মনে হয়েছিল মনের কথাগুলো বাংলায় লিখতে পারবো এর চেয়ে শান্তি আর কি ই বা আছে।এজন্য দাদার প্রতি সত্যি ই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit