আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
----- | ----- |
---|---|
সিরিজের নাম | মহানগর-১ |
পরিচালক | আসফাক নিপুন |
ক্যাটাগরি | ওয়েব সিরিজ |
প্লাটফর্ম | হইচই |
ভাষা | বাংলা |
পর্ব | ৮ |
অভিনয় | মোশারফ করিম, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, শ্যাভল মওলা, খায়রুল বাশার, জাকারিয়া বারী মোমো,নাসির উদ্দিন খান আরও অনেকে। |
ব্যক্তিগত রেটিং | ৯/১০ |
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় জয়নাল নামের এক অপরাধী কে ধরতে গিয়েছে কৌতোয়ালি থানার পুলিশরা। কিন্তু ওসি হারুন ওর রশীদ সবাইকে বাইরে রেখে নিজে ভেতরে যায় এবং জয়নাল কে পেয়েও যায়। কিন্তু সে জয়নাল কে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে না। কারণ সে বুঝতে পারে জয়নাল এর বাংলাদেশে আসার অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে এবং সে সেটা শুনে। পরবর্তীতে সে বাইরে এসে ইন্সপেক্টর মলয় কে বলে ভেতরে সে কাউকেই পায়নি। এরপর দেখা যায় ঢাকার একটা পার্টিতে আবির নামের একজন চাকরিজীবি কে। সে তার গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে তার বাসায় যাচ্ছিল। এমন সময় রাস্তায় তাকে পুলিশ চেক করে একটা অপ্রীতিকর অবস্থায় ফেলে দেয়।
এরপর দেখা যায় আবির বেশ রেগে যায়। আবির এরপর রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল ঐসময় মলয় এসে তাকে জিজ্ঞেস করে এখানে কী করছেন সেটা শুনে আবির বেশ রেগে যায় এবং সে সেটা ঐ অফিসারের উপর ঝেড়ে দেয়। কিন্তু ওসি হারুন এটা সাধারন ভাবে নেয়নি। ওসি হারুন আবির কে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ওসি হারুন থানায় গিয়ে শোনে আফনান চৌধুরী রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে একজনকে মেরে ফেলেছে। এবং পুলিশ তাকে ধরে ফেলেছে। আফনান ওসির রুমে বসে ছিল। ওসি হারুন যাওয়ার পরে আফনান বেশ বাজে ব্যবহার করছিল। ঐসময় ওসি হারুন আফনান চৌধুরী কে একটা থাপ্পড় দেয়। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় থাপ্পড় খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আফনান চৌধুরীর মুখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরাচ্ছে এক পুলিশ। জ্ঞান ফেরার পর ওসি হারুন বলে আপনি আমাকে আগে বলবেন না আপনি আলমগীর চৌধুরী এর ছেলে। তার বাবা অনেক বড় মাপের একজন নেতা। এরপর আফনানের থেকে এক্সিডেন্ট এর ঘটনা জানতে চাই হারুন। আফনান সবকিছু বলে। তখন ওসি হারুন এমন একটা এক্সপ্রেশন দেয় যেন এটা কোন ব্যাপারই না। এরপর দেখা যায় ঐ এক্সিডেন্ট হতে দেখা একজন যুবক পুলিশের কাছে আসে। এবং বলে এটা ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি চাপা দেওয়া। তখন ব্যাপার টা আরও জটিল হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ওসি হারুন এসে একটু ভয় দেখিয়ে ঐ ছেলেকে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দেখা যায় ওসি হারুনের কাছে একজন লোক আসে যাকে পাঠিয়েছে আলমগীর চৌধুরী অর্থাৎ আফনান চৌধুরী এর বাবা। সে এসে সবকিছুর সমাধান করে আফনান কে নিয়ে যেতে আসে। তখন সে ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে সবকিছু দেখতে বললে ওসি হারুন বলে ২০ লাখে কিছু হবে না। পরবর্তীতে সে বলে ৫০ লক্ষ টাকার কথা। উনি তখন বলে স্যারের সাথে কথা বলে জানাচ্ছি। এরপর ওসি হারুন যায় সিসিটিভি ফুটেজ রুমে। এবং আফনান চৌধুরী এর এক্সিডেন্ট এর ফুটেজ টা কৌশলে সরিয়ে ফেলে এবং নিজের পেনড্রাইভে নেয়। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
মহানগর সবচাইতে আলোচিত একটা সিরিজ। এটা প্রথম যখন আসে তখনই অনেক জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। বিশেষ করে ওসি হারুন চরিএে মোশারফ করিম অসাধারণ অভিনয় করে। এই দুই এপিসোড আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এখনও অনেক গুলো এপিসোড বাকি সিজেন-১ এ। সেগুলোর রিভিউ আপনাদের পরবর্তী সপ্তাহ গুলোতে দেব। ওসি হারুন খুবই ঠান্ডা মাথার লোক। এটা তার প্রতিটা কথায় বোঝা যাচ্ছে।
অফিশিয়াল ট্রেইলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit