আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
------ | ------ |
---|---|
পরিচালক | অভিরুপ ঘোষ |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ৬ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | রজতাভ দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী, খরাজ মূখার্জী, বৃওি চ্যাটার্জী, সুমন বোস, আরও অনেকে। |
Department of unusual cases
শুরুতেই দেখা যায় ২০০১ সালের পশ্চিমবঙ্গের ছোট একটি গ্রাম। গ্রামের মাঠে এক ছেলে খেলছিল। হঠাৎ সে কিছু একটা আওয়াজ শুনে কিছুটা এগিয়ে যায়। এবং দেখে একজন লোক হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসছে। এরপর দেখতে পায় অনেকগুলো চড়ুই পাখির মৃতদেহ। এরপর ঐ লোক ঐ ছেলেকে জিজ্ঞেস করে কোনো ক্লাসে পড়ো। ঐ ছেলে বলে ক্লাস সিক্সে। এরপর দেখা যায় সৌভিক একজন পুলিশ অফিসার একেবারে যুবক। তার অন্য থানায় পোস্টিং হয়েছে। সৌভিকের আগের থানায় কোনো একটা সমস্যা হয়েছে সেজন্য তার বদলি হয়েছে। যাইহোক সৌভিক নতুন থানায় যায়। এবং অফিসারের থেকে দায়িত্ব বুঝে নেয়। সৌভিক কে Department of unusual cases এর অফিসার কানাইচরণ আন্ডারে দেওয়া হয়। এখানে সব অদ্ভুত ধরনের কেস আসে। ঐ অফিসার বলে তুমি এখানে কিছুদিন থাক। কানাইচরণ অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অফিসার তার থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবা।
এরপর সৌভিক অনেক কে জিজ্ঞেস করে department of unusual cases এর ডিপার্টমেন্ট টা কোথায়। কেউ বলতে পারে না। তারপর একজন মেয়ে এসে বলে ঐ জায়গাই চলে যান। সৌভিক ঐ রুমে গিয়ে দেখে বেশ নোংরা এবং চেয়ারে একজন বসে আছে। উনিই অফিসার কানাইচরণ। সৌভিক গিয়ে পরিচয় দেয়। তখন কানাইচরণ সৌভিককে বলে তো কী করেছ। মন্ত্রীর ছেলে মেরেছ না ঘুষ খেয়েছ। সৌভিক বলে কিছু বুঝলাম না স্যার। তখন কানাইচরণ বলে এখানে পোস্টিং হয় মূলত শাস্তি হিসেবে। সেরকম কোনো কেস আসে না। যেগুলো নিয়ে কেউ গুরুত্ব দেয় না সেই কেস এখানে দিয়ে দেওয়া হয়। যাইহোক কানাইচরণ সৌভিক কে বলে আপাতত তোমার দায়িত্ব পুরো কলকাতা শহর ঘুরে দেখবা। সৌভিক কয়েকদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখে। বিকেলে বসে চা খাচ্ছে সৌভিক এবং কানাইচরণ। সৌভিক বলে কানাই দা এভাবে আর ভালো লাগছে না। এভাবে কতদিন বসে থাকা যায়। যাইহোক এরপর একজন কন্সস্টেবল এসে বলে স্যার আপনাকে খুঁজতেছে নতুন কেস এসেছে। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
Fall of a sparrow
এরপর কানাইচরণ এবং সৌভিক যায় কী কেস এসেছে জানতে। এবং গিয়ে জানতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে চড়ুই মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। এবং সর্বশেষ গতকাল পাওয়া গেছে রামদীহি গ্রামে। তো তখনই সৌভিক এবং কানাইচরণ চলে যায় রামদীহি গ্রামে। গিয়ে দেখে ক্ষেতের মধ্যে করা হয়েছে কাজটা। এবং এটা ন্যাচারাল মৃত্যু না। একেবারে চড়ুই পাখির গলা ছিড়ে হত্যা করা হয়েছে। একটা মৃত চড়ুই কোনোরকম বরফ দিয়ে রেখে দেওয়া গেছে। সেটাকে পোস্টমার্টাম করা হবে সেজন্য। এরপর কানাইচরণ এবং সৌভিক ঐ বাচ্চার সাথে কথা বলে সে ঐ লোক টাকে দেখেছে যে চড়ুই গুলো হত্যা করেছে। এরপর কানাইচরণ ডিপার্টমেন্টের ডাক্তার মৃণালিনী গোমস এর কাছে যায় এবং বলে পোস্টমার্টাম টা করে দিতে। প্রথমে করতে রাজি হয়না কিন্তু পরে কানাইচরণ বলে নে আজ দুপুরে বিরিয়ানি ট্রিট দিব সেজন্য রাজি হয় এবং সেটা করে দেয় মৃণালিনী। এবং তখন সেখানে সৌভিক আসে। সৌভিক মৃণালিনী কে আগেই চিনত। কারণ এই থানায় আসার পর প্রথম তার সঙ্গেই দেখা হয় সৌভিকের।
এরপর কানাইচরণ এবং সৌভিক দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। হঠাৎ কানাইচরণ বলে চল একটা জায়গা যেতে হবে। সৌভিক বলে কোথায়। কানাইচরণ বলে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় খোচরের কাছে। ৭০ বছর ধরে সে এটা করছে। এরপর দুজন চলে যায় খোচর ভানু বাবুর কাছে। কিন্তু ভানুবাবু বলে আমি এই পেশা ছেড়ে দিয়েছি। আমার বয়স হয়েছে এখন কী আমি এটা পারি। কানাইচরণ বলে আপনার শিষ্যদের কাজে লাগিয়ে খবর টা যোগার করে দেন যে এই অঞ্চল গুলোতে কী মিল আছে। এবং কেন ঐ অঞ্চল গুলোতেই চড়াই পাখিকে হত্যা করা হয়েছে অন্য কোনো অঞ্চলে না কেন। ভানু বাবু বলে ঠিক আছে হয়ে যাবে। এরপর দেখা যায় একজন দোকানে গিয়ে বলে চাউলের গুড়া দিন তো। কেন দরকার চাউলের গুড়া জিজ্ঞেস করতেই ঐ লোক বলে আমি চড়াই পাখি পালন করি তো সেজন্য। যাইহোক তারপর ঐ লোক চাউলের গুড়া নিয়ে চলে যায়। এবং এখানেই শেষ হয়ে যায় ওই এপিসোড টা।।
ব্যক্তিগত মতামত
যারা সাধারণত পাখি শিকার করে তাদের ব্যাধ বলা হয়। এই ওয়েব সিরিজের নাম ব্যাধ এর পেছনে এই পাখির একটাপ আছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু গ্রামে কয়েকমাস যাবৎ পাওয়া যাচ্ছিল চড়াই পাখির মৃতদেহ। এবং সেগুলো কে কেউ হত্যা করেছে। এই কেস যখন সৌভিক এবং কানাইচরণ এর কাছে যায় তখন তারা বেরিয়ে পড়ে সেই চড়াই হত্যাকারীকে ধরতে। এবং তারা এই মিশনের নাম দেয় ব্যাধ। তো তারা কিছু সূএ মেলাতে চেষ্টা করছে লোকটা কেন শুধু চড়াই পাখিদের হত্যা করছে অন্য কোনো পাখিদের নয় কেন। এবং তারা চারিদিকে খোচর বা ইনফারমার লাগিয়ে দেয়। একেবারে অন্য ধরনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজ টা। আমি সিজেন-১ এর প্রথম দুইটা এপিসোড এর রিভিউ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০
center> সিরিজের ট্রেলার লিংক
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।