আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
জমিদারি ব্যাপার টা এমন যে ঐ সম্পদ বা ঐ জিনিসের উপর শুধু আমাদের অধিকার। রিয়াল মাদ্রিদ এবং চ্যাম্পিয়ন লীগের সম্পর্ক যেন ঠিক এইরকম। চ্যাম্পিয়ন লীগে যেন রিয়াল মাদ্রিদের জমিদারী। এরই ধারাবাহিকতায় রেকর্ড ১৫ বারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের শিরোপা জিতে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন লীগের ফাইনাল ছিল লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। এই ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয় জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডটমুন্ট এবং স্প্যানিস জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। অনেকেই বলছিল এটা নাকী রয়্যালিটি এবং লয়্যালিটির ম্যাচ। কথাটা খুব একটা খারাপ না। একদিক থেকে দেখতে গেলে ঠিকই আছে। ম্যাচটা নিয়ে আমি খুবই আগ্রহে ছিলাম। আমি নিজে একজন রিয়াল মাদ্রিদ সার্পোটার। আমার বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদই হবে।
খেলা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায়। ঐদিকে ডটমুন্ট কোচ আগেই হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল। এই ম্যাচে কার্লো আনচেলওি দলের প্রধান গোলরক্ষক কে একাদশে রেখে দেয়। অর্থাৎ লুনিন এর পরিবর্তে একাদশে ছিল থিবো কর্তোয়া। কার্লো আনচেলওি তার দলকে মাঠে নামায় ৪-৩-১-২ ফর্মেশনে। যেখানে আক্রমণে ছিল দুই ব্রাজিলিয়ান ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং রদ্রিগো। অন্য দিকে বরুশিয়া ডটমুন্ট এর ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১। খেলা শুরু হওয়ার প্রথম মিনিটেই মাঠের মধ্যে একজন দর্শক চলে আসে। এইজন্য খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল তারপর আবার খেলা শুরু হয়। প্রথম থেকেই বরুশিয়া ডটমুন্ট আক্রমণ চালাতে থাকে। এবং বরুশিয়া ডটমুন্ট বলের দখল নিয়ে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে।
এরপর থেকে তারা একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। ফলস্বরুপ বেশ দারুণ কিছু সুযোগ পেয়ে যায় বরুশিয়া ডটমুন্ট। কিন্তু তাদের সবচাইতে বড় বাঁধা ছিল মাদ্রিদ কিপার কর্তোয়া। একপর্যায়ে কর্তোয়া কেউ তারা পরাস্ত করে কিন্তু এক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় গোল বার। এরপর রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে যেতে থাকে। কিন্তু সেরকম কোন লাভ হয়নি। প্রথমার্ধে মাদ্রিদের শর্ট অন টার্গেট ছিল শূণ্য। গোলশূণ্য ড্র দিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই কাঙ্ক্ষিত ভাবে রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণ শুরু করে। এবং বল নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে। তবে বরুশিয়া ডটমুন্ট মাঝে মাঝে কাউন্টার অ্যাটাক করছিল। যেটা বিপদের সৃষ্টি করছিল। অবশেষে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে টনি ক্রুস এর কর্নার কিকে হেড দিয়ে গোল করে কার্ভাহাল। রিয়াল মাদ্রিদ 0-1 গোলে এগিয়ে যায়।
এরপরেই যেন রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণ আরও বাড়তে থাকে। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে বরুশিয়া ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যায় জুড বেলিংহাম। এবং বেলিংহাম বলটা দিয়ে দেয় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে। ভিনিসিয়াস খুবই দক্ষতার সাথে গোল করে। এবং রিয়াল মাদ্রিদ 0-2 গোলে এগিয়ে যায়। ততক্ষণে রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্টার রা শিরোপা উৎযাপন শুরু করে দিয়েছে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে বরুশিয়া একটা গোল করলেও সেটা বাতিল হয় অফসাইডের জন্য। এরপর শেষ হয় ম্যাচ। সর্বোচ্চ ১৫ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। এটা যেন রিয়াল মাদ্রিদের জমিদারী। এবং খেলোয়ারদের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের চার খেলোয়ার নাচো, কার্ভাহাল, টনি ক্রুস, এবং লুকা মদ্রিচের ছিল ষষ্ঠ শিরোপা যেটা খেলোয়ারের দিক থেকে সর্বোচ্চ। এবং গতকাল টনি ক্রসের শেষ ম্যাচ ছিল। সবমিলিয়ে উপভোগ করেছি ম্যাচটা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রিয়াল মাদ্রিদ এমন একটি টিম যে টিমকে নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করা যায় যে এরাই ফাইনাল খেলবে এবং ট্রফি জিতবে। বলতে গেলে আমি নিজেও রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্টার। তবে ব্যস্ততার কারণে খেলা দেখা হয়ে উঠছে না আর বিশেষ কারণটা হচ্ছে এই খেলাগুলো রাতের দিকেই হয় বেশিরভাগ। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম রিয়াল মাদ্রিদ আবারও ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এবং ট্রফি নিজের করে নিয়েছে। শুভকামনা জানাচ্ছি প্রিয় দল রিয়াল মাদ্রিদকে। আপনার রিভিউটি অসম্ভব ভালো হয়েছে ভাইয়া। লেখাগুলি এবং পিকচারগুলি দুটোই দারুন ভাবে বর্ণনা করেছেন। তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit