আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
SonyLiv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
প্রায় ২ মাস পর মাঠে গড়িয়েছে ক্লাব ফুটবল। সত্যি বলতে ক্লাব ফুটবল ছাড়া এই দুইটা মাস খুবই বাজে কেটেছে আমার। ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর লড়াই শুরু হয় উয়েফা সুপার কাপ ফাইনাল এর মধ্য দিয়ে। এই সুপার কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ উইনার এবং ইউরোপা লীগ উইনার। এই বছর চ্যাম্পিয়ন লীগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ইউরোপা কাপ জিতেছে নেদারল্যান্ডের ক্লাব আটালান্টা। গতকাল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এই দিন অভিষেক হয় কিলিয়ান এমবাপ্পের। ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১ টাই।
কার্লো আনচেলওি তার দলকে মাঠে নামায় ৪-২-১-৩ ফর্মশনে। যেখানে আক্রমণভাগে ছিল ভিনিসিয়াস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং রদ্রিগো। অন্যদিকে আটালান্টা এর ফর্মেশন ছিল ৩-৪-১-২। যথারীতি শুরু হয় খেলা। প্রথম থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা নিজেদের মধ্যে অনেক বেশি পাস খেলছিল। ফলাফল আটালান্টা বলের দখল একেবারে নিতে পারছিল না। ম্যাচের ৯ মিনিটে দারুণ একটা বল পায় ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু সেটা দিয়ে সে ভালো কিছু করতে পারেনি। এভাবেই খেলা চলতে থাকে। আটালান্টার খেলোয়ার রা একটু শারীরিক খেলছিল। তারা বেশ ফাউল করছিল। এরপর ম্যাচের ৩০ মিনিটের পর ভিনিসিয়াস রদ্রিগো কে সুন্দর একটা বল দেয় ডি বক্সের মধ্যে। রদ্রিগো শর্ট নিলে সেটা গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
কিলিয়ান এমবাপ্পেও একটা সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু সে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। অন্যদিকে আটালান্টা মাঝে মাঝে আক্রমণ করলেও গোলের সেরকম সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। গোলশূণ্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই যেন বদলে যায় রিয়াল মাদ্রিদের খেলা। রিয়াল মাদ্রিদ একের পর এক পজেটিভ আক্রমণ করতে থাকে। এবং বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করে তারা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে আটালান্টা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে অসাধারন একটা অ্যাসিস্ট করে ভিনিসিয়াস জুনিয়র এবং গোল করে ফেদে ভালভার্দে। ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর দুই মিনিট পরেই ভিনিয়াসের উদ্দেশ্যে দারুণ একটা থ্রু পাস দেয় বেলিংহাম। ভিনিসিয়াস দারুণ একটা সুন্দর পেয়ে যায় এবং শর্ট নিলে আটালান্টা গোলকিপার অসাধারণ একটা সেভ দেয়।
এভাবে একের পর এক আক্রমণ চলতে থাকে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে যায় রদ্রিগো এবং বলটা নিয়ে সে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে বেলিংহাম বলটা বাড়িয়ে দেয় এমবাপ্পের দিকে। কিলিয়ান এমবাপ্পে অসাধারণ একটা শর্ট নেয়। এবং ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পে নিজের অভিষেক ম্যাচেই রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে গোল পেয়ে যায়। ম্যাচের বাকি সময়ে আরও দারুণ কিছু সুযোগ পেলেও আর কোন গোল করতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে আটালান্টা বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কোন গোল পাইনি। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। এবং রেকর্ড ৬ বারের মতো রিয়াল মাদ্রিদ উয়েফা সুপার কাপ এর শিরোপা জিতে নেয়। ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮.৬ রেটিং নিয়ে ম্যাচসেরা হয় জুড বেলিংহাম।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit