আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
------ | ------ |
---|---|
পরিচালক | অভিরুপ ঘোষ |
প্লাটফর্ম | হইচই |
এপিসোড সংখ্যা | ৬ |
ভাষা | বাংলা |
অভিনয়ে | রজতাভ দও, অনিবার্ন চক্রবর্তী, খরাজ মূখার্জী, বৃওি চ্যাটার্জী, সুমন বোস, আরও অনেকে। |
THE Killing Ground
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় একজন লোক একটি গ্রামের জংলা আমবাগানের দিকে যাচ্ছে। এবং আকাশ ছিল মেঘলা বেশ বৃষ্টিও হয়েছে। হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক জিজ্ঞেস করে কে। তখন ঐ লোক বলে আমি বিশু। এরপর ঐ বৃদ্ধ লোক অনেক প্রশ্ন করে। কোনোমতো মিথ্যা উওর দিয়ে লোকটা চলে যায় বাগানের মধ্যে। তখন ঐ বৃদ্ধলোক বুঝতে পারে ঐ লোক আমার কাছে মিথ্যা কথা বলেছে। এরপর ঐ লোক বাগানের মধ্যে গিয়ে প্রথমে চাউলের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। সেটাতে অনেক চড়ুই নেমে আসে। এবং ঐসময় ঐ লোক জাল দিয়ে চড়ুই গুলো ধরে এবং তার হাতিয়ার দিয়ে হত্যা করে। এরপরই ঐখানে গ্রামের একজন লোক যায়। ওটা দেখে ঐ লোক দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন তার পায়ের জুতা ছিড়ে যাওয়ায় খালি পায়ে দৌড় দেয়। এবং বৃষ্টি হওয়াই মাটি নরম থাকায় ওখানে পায়ের ছাপ রয়ে যায়। আবার চড়ুই হত্যার খবর শুনে ওখানে চলে যায় সৌভিক এবং কানাইচরণ।।
গিয়ে দেখে চড়ুই গুলো আগের মতোই হত্যা করা হয়েছে। তখন কানাইচরণ ঐ পায়ের চিহ্ন দেখতে পারে। এবং বলে এটার ফুট প্রিন্ট নিতে। ফুট প্রিন্ট নেওয়া হয়। এরপর কানাইচরণ এবং সৌভিক ঐ বৃদ্ধ লোকের সাক্ষাৎকার নেয় যে ঐ লোক কে এদিকে আসতে দেখেছিল। এরপর মৃনালিণী গোমসের কাছে ফুট প্রিন্ট এর রিপোর্ট চাই কানাইচরণ। কিন্তু মৃণালিনী দিতে চাই না। কারণ আগের দিন কানাইচরণ তাকে বিরিয়ানি খাওয়াই নি। কিন্তু সৌভিক এর মধ্যস্ততায় রিপোর্ট দেয়। রিপোর্টে বলা হয় খুনির পায়ে ফাটল আছে যেটা বয়সের কারণে হয়ে থাকে। আবার পুলিশের টর্চারেও হয়ে থাকে। এরপর কানাইচরণের কাছে খবর আসে খোচর ভানু দা তাকে দেখা করতে বলেছে। তখন কানাইচরণ এবং সৌভিক চলে যায়। এবং ভানু দা দশটা গ্রামের লিস্ট দেয়। বলে এখানে এইবছর ফসল একেবারে কম হয়েছে। এবং এখানে ঐ পাঁচটা গ্রাম আছে যেখানে বিগতদিনে চড়াই হত্যা করা হয়েছে। তখন সৌভিক বলে খুনিকে ধরতে গেলে তার মতো করে ভাবতে হবে। এখানেই শেষ হয় এপিসোড টা।
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
কানাইচরণ এবং সৌভিক মিলে পেপারে একটি নিউজ ছাপায়। যে এই গ্রামে এবার ফসল অনেক কম হয়েছে। এবং এখানে অনেক চাষী আত্মহত্যা করছে। এটা ছিল ওদের একটা প্ল্যান। ঐ নিউজ পড়ে ঐ চড়াইখুনি ভাবে এবার এইগ্রামে যাব চড়াই মারতে। তার আগেই সৌভিক কানাইচরণ এবং আরও কিছু পুলিশ ওই গ্রামের একটি বাঁশবাগানে যায় এবং লুকিয়ে থাকে প্ল্যান অনুযায়ী। এরপর এক লোক আসে এবং চড়াই ধরে। ওরাভাবে এটাই হয়তো সেই চড়াই খুনি। গিয়ে ঐ লোককে ধরে কিন্তু দেখা যায় এ অন্য লোক। তখন একজন বলে বল চড়ুই মারিস কেন। তখন ঐলোক বলে আমি চড়াই মারি না আমি তো পাখি ধরে বিক্রি করি। গ্রামের সবাই আমাকে চেনে। তখন কানাইচরণ বুঝতে পারে আমরা ভুল লোক কে ধরেছি। এরপর খবর আসে ঐ গ্রামের এক পুকুর পাড়ে অনেক গুলো চড়াই মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সৌভিক এবং কানাইচরণ এবারেও ব্যর্থ। অনেক চেষ্টা করেও পারলো না।
সৌভিক বাড়িতে গিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে। তখন সৌভিকের মা বলে কী হয়েছে। সৌভিক সবকিছু খুলে বলে। তখন সৌভিকের মা বলে এইতো আজকে একটা ম্যাগাজিনে চড়াই নিয়ে একটা লেখা পড়লাম। এরপর সৌভিক ঐ ম্যাগাজিনের লেখাটা দেখে। ম্যাগাজিনে চড়াই নিয়ে ঐ লেখাটা লিখেছে মধুসুদন দও নামের একজন। সে বলেছে চড়াই পাখি ফসলের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এরপর সৌভিক ঐ ম্যাগাজিন অফিসে যায়। এবং দেখে এর আগে মধুসুদন দও যতগুলো লেখা পাঠিয়েছে তার লেখাতে সে বলেছে ফসল কম হওয়ার জন্য এই চড়াই দায়ী। কিন্তু মধুসুদন এর কোনো ঠিকানা পাওয়া যায় না। তবে সে মুকুন্দপুর নামক একটি গ্রাম থেকে চিঠির মাধ্যমে লেখাগুলো পাঠাত। যাইহোক এরপর মুকুন্দপুরে চলে যায় সৌভিক এবং কানাইরণ। এবং মুকুন্দপুরের অফিসার জানাই ঐ লোক নাকী বেশ কয়েকবার জেল খেটেছে। তখন কানাইচরণ বলে এই সেই অপরাধী। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।
ব্যক্তিগত মতামত
চড়াই হত্যা নিয়ে দারুণ একটা থ্রিলার ওয়েব সিরিজ এটা। এইরকম একটা কেস এর দায়িত্ব নেয় কানাইচরণ ও সৌভিক। প্রথম দুই এপিসোডে শুধুমাত্র মূল ঘটনা টা দেখানো হয়। এবং এই দুই এপিসোডে আরও কিছু টা এগিয়ে যায়। এবং খুনিকে ধরার কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয় দুজন। যাইহোক ব্যাধ ওয়েব সিরিজটা একেবারে ইউনিক একটা কাহিনী নিয়ে তৈরি। এবং দারুণ কিছু বিষয় এখানে প্রকাশ পেয়েছে।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০
সিরিজের ট্রেলার লিংক
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আপনার চড়ুই হত্যা নিয়ে ব্যার্থ হয়েছে কানাইচরণ ও সৌভিক।সত্যিই তো প্রাণী হত্যা অনেক খারাপ একটা কাজ। আসলে লোকটির চাল ছিটিয়ে দিয়ে পাখি হত্যা করা উচিত হয়নি।তবে কানাইচরণ ও সৌভিকখুনিকে ধরতে গিয়ে ভুল লোককে ধরল, এটা একটু ভালো লাগল না।আসলে যে যেটা করেনি সেটা ভাবলে , তার কাছে খারাপ লাগা স্বাভাবিক। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ব্যাধ রিভিউ নাটক পড়ে অনেক ভালো লাগল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit