আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবল শুরু হয়েছে গত মাসে। এখন অপেক্ষায় ছিলাম উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ। চ্যাম্পিয়ন লীগেই ফুটবলের আসল মজাটা পাওয়া যায়। এইবার থেকে একটু ভিন্ন ফরম্যাটে হবে চ্যাম্পিয়ন লীগ। যেখানে গ্রুপ পর্বে একটা দল ৮ টা ম্যাচ খেলবে তাও সেটা ভিন্ন ভিন্ন দলের সাথে। যাইহোক গতকাল ছিল চ্যাম্পিয়ন লীগের শুরু। মোট ১৬ টা দল মাঠে নেমেছিল। আমার পছন্দের দল রিয়াল মাদ্রিদেরও ম্যাচ ছিল। তুলনামূলক অনেক সহজ প্রতিপক্ষ ছিল। ম্যাচটা ছিল রিয়ালের হোম ম্যাচ। বাংলাদেশ সময় রাত এক টাই শুরু হয় ম্যাচটা। এই ম্যাচে ইঞ্জুরি থেকে ফিরে একাদশে জায়গা করে জুড বেলিংহাম এবং চুয়োমিনি। এটা বেশ স্বস্তির একটা ব্যাপার।
রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল ভিএফবি স্টুটগার্ট এর সাথে। এটা জার্মানির একটা ক্লাব। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলওি তার দলকে মাঠে নামায় ৪-৪-২ ফর্মেশনে অন্যদিকে স্টুটগার্ট এর ফর্মেশন ছিল ৪-৩-৩। খেলা শুরু হয়। প্রথম থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে স্টুটগার্ট। নামের বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকলেও অসাধারণ খেলা দেখাতে থাকে তারা। ফলাফল বেশ কিছু দারুণ সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার কর্তোয়া। ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ তেমন সুবিধা করতে না পারলেও স্টুটগার্ট প্রতিনিয়ত আক্রমণ করছিল। কিন্তু কর্তোয়ার অসাধারণ নৈপুণ্যে তারা কোন গোল পাইনি। পরবর্তীতে রিয়াল মাদ্রিদ দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে স্টুটগার্ট খেলোয়ার ডিবক্সের মধ্যে রুডিগের কে ফাউল করলে পেনাল্টি দেয় রেফারি। কিন্তু পরবর্তীতে ভিএআর চেক করে পেনাল্টি বাতিল করে দেওয়া হয়।
প্রথমার্ধে দুই দলই অনেক গুলো আক্রমণ করলেও শেষ পযর্ন্ত গোল করতে পারেনি কেউ। ফলে গোলশূণ্য ড্র তে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই খেলার ধরন পাল্টে যায় রিয়াল মাদ্রিদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ৪৬ মিনিটে অসাধারণ একটা থ্রু পাস দেয় চুয়োমিনি। বলটা পেয়ে রদ্রিগো চলে যায় একেবারে স্টুটগার্ট এর ডিবক্সে। এরপর সুন্দর করে বলটা বাড়িয়ে দেয় এমবাপ্পের দিকে। বাকি কাজটা এমবাপ্পে খুব সহজেই করে ফেলে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আবার স্টুটগার্ট আক্রমণ করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৬৮ মিনিটে উনদাভ এর অসাধারণ গোলে সমতায় ফেরে স্টুটগার্ট। ম্যাচে তখন ১-১ এর সমতা। কার্লো আনচেলওি বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। পরিবর্তনের ফলে পাল্টে যায় রিয়াল মাদ্রিদের খেলা।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে কর্ণার কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। লুকা মদ্রিচের নেওয়া কর্ণার কিক থেকে হেডে অসাধারণ একটা গোল করে অ্যান্তেনিও রুডিগের। ফলে পূণরায় ম্যাচে লিড ফিরে পায় রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর খেলা যথারীতি চলতে থাকে। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে অতিরিক্ত সময়ে বল নিয়ে ছুটে যেতে থাকে এন্ড্রিক। এটাই চ্যাম্পিয়ন লীগে তার প্রথম ম্যাচ। বল নিয়ে ততক্ষণে এন্ড্রিক স্টুটগার্ট এর বিপদ সীমায় ঢুকে পড়েছে। তার একপাশে ভিনিসিয়াস এবং অন্যপাশে এমবাপ্পে থাকলেও এন্ড্রিক ডিবক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শর্ট নেয় এবং গোল করে। চ্যাম্পিয়ন লীগের অভিষেক ম্যাচেই সে গোল করে। এবং রিয়াল মাদ্রিদ কে ৩-১ গোলের লিড এনে দেয়। খেলা তখনই শেষ হয়। ফলে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit