!!! মিশর রহস্য!!! সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ।।

প্রথমেই দেখা যায় কাকাবাবু কোথাও থেকে আসছে। এবং কাকাবাবুকে একজন বাইকে করে অনুসরণ করছে। যাইহোক কাকাবাবু বাড়ি আসে। তারপর সন্তুর ঘরে গিয়ে সন্তুর লেখা ডায়েরি টা পড়ে। এবং জিজ্ঞেস করে সন্তু মেয়েটা কে রে। সন্তু বলে কিসের মেয়ে কোনো মেয়ে নেই। যাইহোক সন্তু এড়িয়ে যায়। যাইহোক এরপর কাকাবাবু কে মিশরীয় ব‍্যবসায়ী ডেকে পাঠায়। উনি মিশরীয় হলেও ব‍্যবসার কাজে দিল্লিতে থাকেন। উনার নামআল মামুন। আল মামুন এর বাবা হলো মুফতি মুহাম্মদ। মুফতি মুহাম্মদ একসময়ে ছিল ট‍্যুর গাইড এরপর তিনি মিশরীয় স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এবং তিনি হলেন বড়পীর অনেক জ্ঞানী ব‍্যক্তি। মুফতি মুহাম্মদের শিষ‍্যদের দুইটা দল আছে‍। একদলের নেতা হলো তার ছেলে আল মামুন। এবং অন‍্যদলের নেতা হলো হানি আল কাদি যিনি এখন মিশরে রয়েছেন।

---

---

---

---

যাইহোক মুফতি মুহাম্মদ প্রায়ই ঘুমের ঘোরে উঠে কী যেন লিখেন মিশরীয় ভাষায়। আল মামুন সেই প্রাচীন ভাষা বুঝে না। এজন্য সে কাকাবাবুকে ডাকে। যাইহোক কাকাবাবু বুঝতে পারে। কিন্তু মুফতি মুহাম্মদ ঐ ভাষার মাধ্যমে বলে এটা আমার ছেলেকে বলবা না। তুমি নিজে মিশর গিয়ে যাচাই করো। যাইহোক এরপর হানি আল কাদির লোক হোটেলে কাকাবাবুর উপর হামলা করে। কাকাবাবু অল্পের জন্য রক্ষা পাই। এরপর কাকাবাবু খুব দ্রুতই সুস্থ হলে মুফতি মুহাম্মদের শেষ ইচ্ছা পূরণে চলে যায় মিশর সাথে ছিল সন্তু। মিশর এয়ারপোর্টে সন্তু কাকাবাবুকে নিতে আসে রিনি এবং ওর পরিবার। রিনি হলো সন্তুর গার্লফ্রেন্ড এবং আত্মীয়। যাইহোক এরপর কাকাবাবু এবং সন্তু একটা হোটেলে রুম ভাড়া করে থাকে। এবং কিছুক্ষণ পর মিশরের একজন প্রত্মতত্ববিদ। যিনি কাকাবাবুর পুরাতন বন্ধু। তার সঙ্গে একটা মমি নিয়ে কথা বলছে । এমন সময় কয়েকজন বন্দুকধারী রুমে প্রবেশ করে। এবং তারা কাকাবাবুকে নিয়ে যায় আসলে উনারা হলো হানি আল কাদির লোক।

---

---

---

---

যাইহোক ওখানে গিয়ে কিছুক্ষণ পর হানি আল কাদি কাকাবাবুর সঙ্গে আলোচনায় বসে। হানি আল কাদি হলো মুফতি মুহাম্মদের শিষ্য এবং মিশরের সবচেয়ে আলোচিত নাম। বর্তমানে মিশরে স্বৈরাচারী সরকার ছিল হানি আল কাদি তার বিরুদ্ধেই লড়াই করছে। হানি আল কাদি হলো মিশরীয় কিন্তু তিনি বিশ্বের সতের টা ভাষা পারেন এরমধ্যে বাংলা ছিল। হানি আল কাদি বাংলায় কথা শুরু করেন কাকাবাবুর সঙ্গে। এবং বলে বড়পীর আপনাকে যা লিখে দিয়েছেন সেটা আমাকে দেন। কিন্তু কাকাবাবু বলে না আমি পারব না। কারণ মুফতি মুহাম্মদ মানে বড়পীর সেই রহস্য উন্মোচন করার দায়িত্ব দিয়েছে আমাকে। যদি কোনো অস্ত্র বা ধনসম্পদ পায় তাহলে আমি সেটা নিব না। তোমাকে এবং আল মামুনকে বুঝিয়ে দেব। এরপর হানি আল কাদি এবং কাকাবাবুর মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। কিন্তু তাকে এখনই হোটেলে পাঠাবে না হানি আল আদি অন‍্যদিকে সন্তু একা রয়েছে হোটেল রুমে। রিনি এবং তার পরিবার এসে সন্তুকে বলে হোটেল ছেড়ে তাদের সঙ্গে তাদের বাসায় যেতে। কিন্তু সন্তু বলে না।

---

---

---

---

যাইহোক এরপর বেশ কিছুদিন হানি আল কাদি এর আস্তনায় থাকে কাকাবাবু। ততদিনে তিনি হানি আল কাদি এর লক্ষ্য তাদের প্রশিক্ষণ সব দেখে এবং জানে। যাইহোক আল মামুন খবর পাই যে হানি আল কাদির সঙ্গে বেশ ভালো সখ‍্যতা গড়ে উঠেছে কাকাবাবুর। তো তিনি একটু কৌশল করে সন্তুকে কিডন‍্যাপ করে। এবং হানি আল কাদির কাছে চিঠি দিয়ে বলে কাকাবাবুকে যেন তাদের কাছে ছেড়ে দেয় তাহলেই সন্তু ঠিক থাকবে। সবকিছু হানি আল কাদি মেনে নেয়। এরপর সন্তু এবং কাকাবাবু আবার মিলিত হয় মিশরের একটা পিরামিডের কাছে তাদের সঙ্গে রয়েছে একজন গাইড। এখন মুফতি মুহাম্মদের সংকেত অনুযায়ী পিরামিডের ভেতরে যাবে কাকাবাবু এ সন্তু।

---

---

---

---

নকশা মতো গিয়ে দেখে একটা মমির কফিন কিন্তু ভেতরে মমি নেই। আসলে গুজব আছে যে এই মমি টা একাই আসে আবার একাই চলে যায়। এরপর মুফতি মুহাম্মদের সংকেত অনুসারে ঐ খানে সন্তুকে পাঠাই কাকাবাবু। এবং গিয়ে দেখে একটা কাঠের কফিনের মধ্যে ঐ রানীর মমি। যাইহোক এরপর ঘটনা জানা নাই। এবং মমির ওখান থেকে আরেকটা সংকেত পাওয়া যায়। এরপর বাইরে বেরিয়ে আসে সন্তু এবং কাকাবাবু। এসে দেখে হানি আল কাদি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। দুজনের কথা হয়। এবং ঐ ভেতর থেকে পাওয়া সংকেত টা কাকাবাবু হানি আল কাদি কে দিয়ে বলে এই সংকেত অনুসারে খোজ। যদি কিছু পাও তাহলে সেটা তোমার জন্য। আমার যা জানার ছিল আমি জেনে গেছি। এবং যাওয়ার সময় বলে কাদি যদি তোমার লক্ষ্য অর্জন হয়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষগুলোর কথা ভেব পরিবর্তন হয়ে যেও না। তোমার উস্তাদ মুফতি মুহাম্মদের তোমার উপর অনেক ভরসা। এরপর কাকাবাবু সন্তু চলে আসে কলকাতা।।

---

---

মুভির শিক্ষা ও ব‍্যক্তিগত মতামত

---

---

মুভিটা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর মিশর রহস্য এর গল্প অনুসারে তৈরি করা। মূলত এখানে হাজার বর্ষ পুরাতন একটি মমির কাহিনী দেখানো হয়েছে। ঐ মমিটা আবিষ্কার করে মুফতি মুহাম্মদ নামের একজন ট‍‍্যুর গাইড। কিন্তু সেটার ক্রেডিট নেয় একজন ব্রিটিশ। এজন্য মুফতি মুহাম্মদ নিজের ক্ষমতাবলে মমি টাকে কফিনের মধ্যে থেকে অন‍্যএ সরিয়ে রাখে। এবং এটা নিয়েই কাহিনি গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মুফতি মুহাম্মদ রাজা রায়চৌধুরীকে একটা মিশরীয় সংকেত দিয়ে মারা যায়। ঐ সংকেত মতো গেলে মুফতি মুহাম্মদ এর রাখা সম্পদ পাওয়া যাবে এটা বিশ্বাস করে তার দুই শিষ‍্য আল মামুন এবং হানি আল কাদি। দুজন রীতিমতো দুজনের শএু। এই রহস‍্যের উন্মোচন করতেই কাকাবাবু এবং সন্তু মিশরে যায়। মুভির কাহিনী টা দারুণ। এবং সবাই বেশ দারুণ অভিনয় করেছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে মুভিটা।।।

---

---

ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৮.৫/১০

---

---

মুভির অফিশিয়াল ট্রেলার

---

---