!! শেষ পযর্ন্ত কী উওর পাবে!!! ১০% 🦊🦊🦊 এর জন্য।

প্রত‍্যকটা কাজ আমরা নিজের ইচ্ছায় শুরু করলেও শেষটা কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাও হতে পারে। ঘটনার মোড় অন‍্যদিকেও ঘুরে যেতে পারে। আজ একটা প্রেমকাহিনী শেয়ার করব আপনাদের কাছে। যার শেষটা আমি আপনাদের কাছে জানতে চাইব। দেখব আপনাদের অভিজ্ঞতা কী বলে। শেষ পযর্ন্ত কী হতে পারে। এটা কাল্পনিক একটি ঘটনা ধরে নিতে পারেন।

ঘটনাটা বেশ অনেক দিন আগের। একই সঙ্গে লেখাপড়া করত তারা। ছেলেটার নাম অরিএ এবং মেয়টার নাম অপর্না। অপর্না নতুন ট্রান্সফার নিয়ে এসেছে অন্য একটি কলেজ থেকে। কিন্তু অরিএ প্রথম থেকে ঐ কলেজেরই ছাএ। যাইহোক হঠাৎ একদিন ক্লাসে দুইটা মেয়ে প্রবেশ করে একেবারে আগন্তক এর মতো। ক্লাসের বাকিদের বুঝতে বাকি রইল না এরা নতুন এসেছে। যাইহোক সেদিনের দেখায় অপর্নার প্রতি অরিএের একটি ভালোলাগা তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু অরিএ মেয়েটার নাম ঠিকানা কিছুই জানে না। সে ভাবলো এরা তো এখন থেকে ক্লাস করবে কিছুদিন যাক কথা বলা যাবে। কিন্তু সেটা আর হলো না। মানে সবকিছু তো আর আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী হয় না। এরপর মেয়ে দুইটা আর ক্লাসে আসে নাই। এই সময়ে অরিএ মেয়টাকে অনেক খুজেছে। তার ক্লাসের কয়েকজন মেয়ে সহপাঠী কে জিজ্ঞেস করেছে অপর্নার সম্পর্কে কিন্তু ওরাও কিছু বলতে পারেনি। এরপর বেশ কয়েকমাস কেটে গেছে। করোনার কারণে কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। অনলাইন ক্লাস চলছে। হঠাৎ অরিএ খেয়াল করে একজন অচেনা মেয়ে। তার আর বুঝতে বাকি রইল না এটাই অপর্না। তখন তার স্টুডেন্ট নাম দেখে অরিএ জানে ওর নাম অর্পনা।

---

---

বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কিন্তু অরিএের সাহস হয়নি অপর্নার সাথে কন্টাক্ট করার। অবশেষে অরিএ অপর্নাকে ফেসবুকে রিকুয়েস্ট পাঠাই। অর্পনা একসেপ্টও করে ফেলে। যাইহোক এরপর বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও অরিএের সাহস হয়নি অপর্না কে ম‍্যাসেজ দেওয়া। কারণ অরিএ ছেলেটাই এমন। ছেলেটা ছোট থেকে মেয়েদের থেকে একটু দূরে দূরে থাকত। একদিন রাতে অরিএ সাহস করে ম‍্যাসেজ দিল অপর্না কে। অর্পনা রিপ্লাই দিল। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলল দুজন টেক্সট এ। অরিএ আবার বেশ ফরমাল নিজের ক্লাসমেট হলেও সে অপর্না করে আপনি বলেই সম্বোধন করত। এভাবে আরও বেশ কিছুদিন চলে যায়। মূলত অরিএ কিন্তু মেয়েটাকে একবার শুধু দেখেছে তাও মুখ দেখেনি। কিন্তু এক দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছে। এরপর কথা বলতে বলতে দুজনই আপনি থেকে তুমি তে আসে। অরিএ প্রথমে বন্ধু হিসেবেই অপর্নার সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। আস্তে আস্তে ক্রমেই দুজনের বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে। কিন্তু সামনাসামনি অরিএ এখনো তার সঙ্গে কথা বলেনি এরপর আরও কিছুদিন চলে যায়। অরিএ এখন অপর্নার সাথে অনেক ফ্রী। অনেক কিছুই তার সাথে শেয়ার করে এবং অপর্নাও তাই। অরিএ কখনো ভাবেনি মেয়েটা এতো সহজে তার সঙ্গে মিশে যাবে। কিন্তু অরিএ যে অপর্নাকে পছন্দ করে এটা তার পক্ষে বলা এক প্রকার অসম্ভব। এরপর করোনা চলে গেছে অনেক দিন ক্লাস শুরু হয়েছে কিন্তু অপর্না ক্লাসে না। পরীক্ষা শুরু হলে দুজনের দেখা হয় কিন্তু অরিএ কথা বলার সাহস পায়নি। কারণ ছেলেটাই ঐ রকম। একে একে সবগুলো পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় কিন্তু তার সাহসে কুলায়নি অপর্নার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে। তবে টেক্সট এ কিন্তু প্রতিদিন কথা হয়।

---

---

নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। অরিএ নিয়মিত ক্লাস করে কিন্তু অপর্না ক্লাস করে না। অপর্নার একটা ঝামেলার জন্য সে ক্লাসে আসতে পারে না। বিষয়টি অবশ‍্য অরিএ জানে। তাই সে সবরকম ইনফরমেশন নোট দিয়ে অপর্নাকে সাহায্য করত। এরপর অরিএ কথায় কথায় তার এক বন্ধুকে অপর্নার কথাটা বলে ফেলে। সবকিছু শুনে অরিএর ঐ বন্ধু বলে ব‍্যাপার না ভালো লাগে তো বলে দে সমস্যা কোথায়। অরিএর একটাই ভয় ও যদি একসেপ্ট না করে রেগে গিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। অরিএের বন্ধু বলে তাহলে কী আমি বলব। অরিএ বলে না থাক দরকার নাই আমি বলব। তো এরপর সপ্তাহ খানেক চলে গেছে। হঠাৎ অপর্না ক্লাসে হাজির। যদিও অরিএ বিষয়টি জানত। অরিএের ইচ্ছা ছিল কিছুক্ষণ অপর্নার সাথে কথা বলবে। কথা বলেও ছিল কিন্তু আরও ক্লাসমেট থাকায় কথাটা ভালোভাবে বলতে পারে না। এরজন‍্য অবশ‍্য অরিএের বন্ধু অরিএের উপর ক্ষেপে যায়। এর কিছুদিন পর অরিএ রাতে শুয়ে শুয়ে কাজ করছে ল‍্যাপটপে। হঠাৎ একটা ম‍্যাসেজ দেখল অপর্না পাঠিয়েছে। এটা দেখে অরিএ কিছুটা রেগে গেল। যাইহোক এরপর দুজনের কথা চলতে থাকে। অপর্না জিজ্ঞেস করে কাউকে পছন্দ কর কীনা বলোতো আমরা খুঁজে দেয়। অরিএ বলে আমার পছন্দ আছে কিন্তু বলতে পারছি না। মোটামুটি অনেক কিছুই সে অপর্না কে খুলে বলে। অপর্না বলে,, বলে তো দেখ সে স্বীকার করে কীনা। অপর্না তখনও জানে না অরিএের পছন্দের মেয়ে সে নিজে। তার বলার সাহসও নেই। তার বুকটা কাঁপছে। অবশেষে সে সিদ্ধান্ত নিল বলেই দেবে যা হয় দেখা যাবে। সে অপর্না কে সব বলল। অপর্নার রিপ্লাই আসল কী বলব বুঝতে পারছি না। অরিএ প্রথমবার কোনো মেয়েকে তার ভালোবাসার কথা জানালো। মেয়েটা তখন কোনো উওর দেয়নি। আপনাদের কী মনে হয় অপর্না কী অরিএের ভালোবাসা স্বীকার করবে। না তারা বন্ধু হয়েই থেকে যাবে। কমেন্টে জানিয়ে যাবেন। হয়তো এর পরবর্তী পর্ব পেতে পারেন।

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ করে আমি ফুটবল পছন্দ করি।

---

---

---

---

---

---

---

---