আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে ছিল জমজমাট একটা ম্যাচ। আর একজন আগাগোড়া ফুটবল ফ্যান হিসেবে এই ম্যাচ কোনভাবেই মিস করা আমার পক্ষে সম্ভব না। যদিও ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময়ে রাত ১ টাই। বতর্মান সময়ে ফুটবল বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল এই ম্যাচে। ফ্রান্স এবং স্পেন। ২০১৬ সাল থেকে ফ্রান্স রেভুলেশন শুরু হয়েছে। তারপর থেকে প্রতিটা বিশ্বকাপ প্রতিটা টুর্নামেন্টে তারা ভালো করছে। তাদের রয়েছে অসাধারণ কিছু তরুণ খেলোয়ার। পাশাপাশি স্পেন এর বতর্মান দলটা অনেক শক্তিশালী। বিশেষ করে তাদের দুই কিশোর লামিন ইয়ামাল এবং নিকো উইলিয়াম এর কথা বলতে হয়। দুজনের কারোরই বয়স কিন্তু এখনও ১৮ হয়নি।
গতকাল ম্যাচে স্পেন এর ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১ অন্যদিকে ফ্রান্স এর ফর্মেশন ছিল ৪-৩-৩। ম্যাচ শুরু হয়। ম্যাচের শুরুতেই মাএ ৯ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে এর অসাধারণ অ্যাসিস্টে গোল করে কলু মোয়ানি এবং ফ্রান্সকে ০-১ গোলের লিড নিয়ে এসে দেয়। কিন্তু তখন মাএ ম্যাচের শুরু হয়েছিল। এরপর স্পেন একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। স্পেনের আক্রমণের সামনে বেশিক্ষণ টিকে থাকেনি ফ্রান্স এর রক্ষণভাগ। ম্যাচের ২১ মিনিটে স্পেন এর কিশোর ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামাল অসাধারণ একটা শর্ট নেয় ডিবক্সের বাইরে থেকে এবং গোল করে দেয়। এই শর্টটা যেন শিল্পীর রংতুলিতে আঁকা। যাইহোক স্পেন ম্যাচে ফিরে আসে। ম্যাচে তখন ১-১ গোলের সমতায়।
এরপর দ্বিতীয় গোল পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্পেনকে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে স্পেন খেলোয়ার ড্যানি অলমো শর্ট নিলে সেটা ফ্রান্স ডিফেন্ডার কুন্ডে এর পায়ে লেগে বল গোল হয়ে যায়। এবং ম্যাচে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় স্পেন। ম্যাচে তখন তারা ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। এরপর ফ্রান্স গুছিয়ে খেলা শুরু করে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আর কোন গোল হয়নি প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই যেন ফ্রান্স একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। কখনও এমবাপ্পে কখনও ডেম্বেলে আবার কখনো মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটে যায় চুয়োমিনি এবং কান্তে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এরপর ম্যাচের ৬২ মিনিটে ফ্রান্স কোচ দেশম কিছু পরিবর্তন করে।
পরিবর্তন করা খেলোয়ার মাঠে নামলে ফ্রান্সের আক্রমণের গতি আরও বৃদ্ধি পায়। এরপর অসাধারণ একটা ফ্রী বল পেয়ে যায় থিও হার্নান্দেজ। কিন্তু সে সেটা উপর দিয়ে মারে। তবে এর ফাঁকে ফাঁকে নিকো উইলিয়াম বেশ কিছু আক্রমণ তৈরি করেছিল স্পেনের হয়ে। ম্যাচের শেষ সুযোগ টা পেয়েছিল কিলিয়ান এমবাপ্পে। বলতে গেলে স্পেন এর ডিবক্সে একেবারে ফ্রী শর্ট চান্স পেয়েছিল সে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি এমবাপ্পে বলটা উপর দিয়ে মারে এবং সুযোগ টা নষ্ট করে। ম্যাচের বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে চলে যায় স্পেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস এবং ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড ফেভারিট হলেও নেদারল্যান্ডস ছেড়ে কথা বলবে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি বিশ্বকাপ ছাড়া তেমন ফুটবল খেলা দেখি না। তবে এই বছর কোপা আমেরিকা ও ইউরো কাপের খোঁজখবর রাখছি। এই খেলা গুলো যেই সময় দেওয়া হয় তখন খেলা দেখা আমার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব না। যায়হোক এমবাপ্পে থাকা সত্বেও ফ্রান্স ফাইনালে যেতে পারলো। এক জনকে দুষ দিয়ে লাভ নেই। রিভিউ পড়ে বুঝলাম দুই দলই ভালোই লেখেছে। এখন ফাইনালে দেখা যাক কাপ কোথায় যায়, ইংলেন্ড না কি স্পেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit