আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমার বাংলা ব্লগে আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। আজ আমি আমার লেখা গল্প দুই বন্ধু এর শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব।। আশাকরি আপনারা পড়বেন। চলুন শুরু করা যাক। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ার @shy-fox এর জন্য।
ছবিটি pixabayথেকে নেওয়া হয়েছে।
দুই বন্ধু।
শেষ পর্ব
সে তার স্ত্রীকে সব ঘটনা খুলে বলে। তার স্ত্রী তাদের বন্ধুত্বটা বুঝতে পারে। কিন্তু তার স্ত্রীর মনে হয়না শিলাজিৎ 15 বছর পর নিলয়ের সাথে দেখা করতে আসবে। কারণ 15 বছরে হয়তো শিলাজিৎ অনেক ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে, হইতো ওর মনে নেই। কিন্তু নিলয়ের বিশ্বাস শিলাজিৎ এর মনে আছে। তাই সে তার বউয়ের কথায় খুব একটা পাত্তা দেয় না। তবে তার বউ এর বিশ্বাস এই ব্যস্ততার যুগে 15 বছর আগে বাচ্চাকালে কথা দেওয়াই এক দেশ থেকে অন্য কেউ ছুটে আসবে না। নিলয় তার বউয়ের কথায় খুব একটা কান দেয় না। অবশেষে চলে এলো সেই নির্দিষ্ট দিন। যেদিন দুজন দুজনের থেকে বিদায় নিয়েছিল। সকাল সকাল উঠে তৈরি হয়ে নিলয় চলে যায় সেই জায়গায়। গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে তাদের সেই স্কুলের পেছনে। একঘন্টা যায় দুঘন্টা যায় কারো দেখা নেই। ভাবতে থাকে নিলয় শিলাজিৎ কি তাহলে সত্যিই আমাকে ভুলে গেল? ও কী ভারতে আছে নাকি অন্য কোন দেশে থাকে।
এভাবে আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে থাকে নিলয়। অনেকটা সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু শিলাজিৎ এর দেখা নেই। শিলাজিৎ আর আসবে না? নিলয় ওখান থেকে বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার মনটা খুব বিষন্ন, সে বিশ্বাস করতে পারছে না শিলাজিৎ তার কথা ভুলে গিয়েছে। নিলয় চলে যাবে ঠিক এমন সময় একজন ব্যক্তি তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়। বলে শুনুন!!
আপনার নাম কি নিলয়? জবাবে নিলয় বলে হ্যাঁ। আপনি কে?
লোকটা বলে আমার পরিচয় আপনার না জানলেও চলবে। এই চিঠিটা নিন বলে চিঠিটা দিয়ে লোকটি চলে যায়।আর দ্বিতীয় কোন কথা বলে না।
নিলয় আগ্রহের সাথে চিঠিটা খুলে এবং দেখে শিলাজিৎ এর চিঠি। সে লিখেছে তার সবকিছু মনে আছে। সেও এই পনের বছর নিলয় কে অনেক মিস করেছে। সে বাংলাদেশে এসেছে কিন্তু একটি বিশেষ কারণে সে নিলয়ের সাথে আজ দেখা করতে পারছে না। তাই এই চিঠিটা পাঠিয়েছে। শিলাজিৎ লিখে জানাই আমি তোর বাড়ির ঠিকানা জানি। আমি খুব দ্রুত তোর বাড়িতে গিয়ে তোর সাথে দেখা করব। অনেক আনন্দিত হয় হয় নিলয় যে তাকে মনে রেখেছে শিলাজিৎ।
শিলাজিৎ বাড়িতে গিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।এবং তার বউয়ের সাথে সবকিছু শেয়ার করে।সে দিন কেটে যায়।পরদিন সকালে নিলয় বাড়িতে বসে লেখালেখি করছে।এবং তার বউ রান্নাঘরে কাজ করছে। এমন সময় দরজায় কলিংবেলের আওয়াজ। লেখালেখিতে ব্যস্ত নিলয় তার বউ গিয়ে দরজাটা খুলে। খুলে নিলয়ের বউ পুরোই স্তব্ধ।
বিশ্বাস করতে পারে না তিনি।যে দরজায় কড়া নাড়ে তিনি ছিলেন সেই শিলাজিৎ। কিন্তু নিলয়ের বউয়ের অবাক হওয়ার আরও একটি কারণ আছে। প্রথমে শিলাজিৎ এর সাথে দেখা করে এবং বলে কেমন আছিস।
দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে সমস্ত আবেগ শেয়ার করে। এভাবে কিছুক্ষণ কথা হয়। তার বউ কোন কথা বলছে না। শুধু পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে। শিলাজিৎ জিজ্ঞেস করে নিলয় কি করছিস এখন। নিলয় বলে আমি প্রফেসর। এর পরে নিলয় জিজ্ঞেস করে তুই কি করছিস। শিলাজিৎ হাসে সে রকম কোনো উত্তর দেয় না।
আমি তো তোর সবগুলো উপন্যাস পড়েছি। তুই দেখছি আমার ব্যাপারে কোন খোঁজ খবরই রাখিস না। নিলয় বলল কেন কি হয়েছে।
তার বউ আর সহ্য করতে পারছে না। এদিকে তাদের বাড়ির নিচে অনেক ভিড় জমে গিয়েছে। বিষয়টা কোন ভাবেই বুঝতে পারছেনা নিলয়।ব্যাপারটা কি!!
এমন সময় নিলয়ের বউ শিলাজিৎ এর কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিচ্ছে।নিলয় এসে বলল ওর থেকে অটোগ্রাফ নেওয়ার কি হলো।
জবাবে শিলাজিৎ বলছে লেখক হয়েছিস বুঝলাম। সিনেমা-টিনেমা কী একেবারেই দেখা বাদ দিয়েছিস। নিলয় বলে মানে কি?
তখন নিলয়ের বউ বলে উনি ভারতের অনেক বড় একজন অভিনেতা। কিন্তু সিনেমা বিষয়ে নিলয়ের কোন ধারনাই নেই। সেজন্য হয়তো সে শিলাজিৎ কে এতোদিন ধরে চিনতে পারেনি।
নিলয়ের বউ অনেক সিনেমা দেখে। সে প্রথমে দেখেই বিশ্বাস করতে পারছিল না। এই শিলাজিৎ আমার স্বাভীর বন্ধু যে এত বড় সেলিব্রেটি হয়ে গেছে। আস্তে আস্তে নিলয় সবকিছু বুঝতে পারে। তার বাড়ির নিচে এত ভিড় জমায় কারণ কি। সবাই শিলাজিৎ কে দেখতে চাই। শিলাজিৎ অবশ্যই একবার দেখা দিয়েছিল সব জনতাকে।
নিলয় খুবই খুশি হয় যে শিলাজিৎ এত বড় ব্যস্ত এবং সেলিব্রিটি মানুষ হওয়ার পরেও তার বন্ধুকে মনে রেখেছে।মনে রেখেছে তাদের দেওয়া কথা। বন্ধুত্বের মধ্যে কথার দামি সব। এরপরে শিলাজিৎ কথা বলে নিলয়ের থেকে বিদায় নেয়। এবং বলে খুব তাড়াতাড়ি আবার তোর সাথে দেখা হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
আমি ইমন হোসেন। আমি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করি। আমি একজন ছাএ। আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করি। আমি খেলাধুলা ভালোবাসি। বিশেষ আমি ফুটবল পছন্দ করি।
দুই বন্ধুর উপসংহারটা কিন্তু বেশ হয়েছে। আমার কাছে দারুন লেগেছে বন্ধুত্ব এমনই
হওয়া উচিত♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু। আমি খুবই খুশি আপনার মতো গুনি লেখকের কাছে আমার লেখা ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর করে দুই বন্ধুর গল্পটি লিখেছেন।পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখনি খুবই অসাধারণ খুবই চমৎকার হয়েছে এরকম গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে এমন বন্ধুত্ব কি আর আছে মনে হয় না এরকম একটা সম্পর্ক খুঁজলেও পাওয়া যাবে? বর্তমানে আমরা খুবই ব্যস্ত নিজেই নিজের ব্যাপারে খোঁজ রাখতে পারি না তারপর আবার বন্ধুর কথা। তবে ভাই আপনার গল্পটি অসাধারণ লিখেছেন বন্ধুত্ব সম্পর্কটা এমনই হওয়া উচিত। সত্যিকার অর্থে আমার খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই। আমি আপনার কথা শুনে অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ সুন্দর গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যারা প্রকৃত বন্ধু তারা সব সময় এমনই হয়। জীবনে যতই পরিবর্তন আসুক না কেন। বন্ধুত্বটা টিকে থাকে। শেষ উপস্থাপনাটা খুবই ভালো ছিক। তোমার জন্য শুভ কামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছ। ধন্যবাদ তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আগের পর্বটি পড়তে যেমন ভালো লাগলো। আপনি এইটা বুঝিয়ে দিলেন যে বন্ধুত্ব কখনো দূরত্ব বাড়িয়ে দিলেও কখনো পর হয়ে যায় না। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পের শেষে অনেক ভালো লাগলো দুই বন্ধুর মিল দেখে।প্রথম পর্ব ও ভালো ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটাই বন্ধুত্ব। শত ব্যস্ততা থাকুক। যত বড় সেলিব্রেটি হোক না কেনো বন্ধুকে মনে রাখা সত্যি প্রকৃত বন্ধুত্বের পরিচয়। শেষ এ দুই জনের দেখা হলো কথা হলো। খুব ভালো লাগলো দুই বন্ধুর গল্পটি। এরকম গল্প আরও চাই ভাই। শুভেচ্ছা অবিরাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ দাদা আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর একটা হ্যাপি এন্ডিং হবে কখনোই বুঝতে পারি নি। আমার অনেক ভালো লেগেছে পুরো গল্পটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদেরকে উপহার দেও্য়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সম্পূর্ণ গল্পটি পড়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit