আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের পর কখনোই রিয়াল মাদ্রিদ কে হারাতে পারেনি ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন লীগে সর্বশেষ ৮ দেখার সবগুলো তেই হেরেছে লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন লীগের রাউন্ড ৫ এ রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ ছিল লিভারপুলের সাথে। সেটা আবার লিভারপুলের ঘরের মাঠ এনফিল্ডে। রিয়াল মাদ্রিদের অনেক খেলোয়ার ইঞ্জুরিতে। বিশেষ করে তাদের সবচাইতে বড় তারকা ভিনিসিয়াস ইঞ্জুরিতে পড়ায় তারা যেন বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে আর্নে Slot এর আন্ডারে এই বছরটা দারুণ কাটছে লিভারপুলের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে টেবিল টপার এবং চ্যাম্পিয়ন লীগে শতভাগ জয় নিয়ে টেবিল টপার। এইজন্য আগেই বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচ টা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে।
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলওি তার দলকেলকে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে মাঠে নামায়। যেখানে এমবাপ্পে লেফট উইং এবং আর্দা গুলার ছিল রাইট উইং এবং মাঝে ছিল ব্রাহিম দিয়াজ। অন্য দিকে লিভারপুলের ফর্মেশন ছিল ৪-২-৩-১। যাইহোক খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ২ টাই। খেলার শুরু থেকেই লিভারপুল আধিপত্য বিস্তার করে। ম্যাচের অধিকাংশ বল ছিল তাদের দখলে। বেশ গুছিয়ে আক্রমণে যাচ্ছিল। তবে লিভারপুলের শেষ বাঁধা ছিল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। বেশ অসাধারণ কিছু সেভ দেয় কর্তোয়া। মূলত কর্তোয়াই রিয়াল মাদ্রিদ কে ম্যাচে রেখেছিল। রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করলেও কোন লাভ হচ্ছিল না। রীতিমতো বল হারিয়ে ফেলছিল বার বার ভুল পাস দিচ্ছিল খেলোয়ার রা। এভাবেই গোলশূণ্য ভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে লিভারপুল আরও গুছিয়ে খেলতে থাকে। যার ফলাফল ম্যাচের ৫২ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টার এর দারুন ফিনিশিং এ প্রথম গোলের দেখা পায় লিভারপুল। ঘরের মাঠে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপর খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদ কে খেলোয়ার লুকাস ভাসকেজ কে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি কিক নেয় কিলিয়ান এমবাপ্পে। পেনাল্টি কিক টা সেভ করে দেয় লিভারপুল গোলরক্ষক কেলেহের। পেনাল্টি মিস করাটা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। খেলা যথারীতি চলতে থাকে। এর ঠিক কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচের ৭০ মিনিট চলছে তখন। একটা পেনাল্টি পায় লিভারপুল। লিভারপুলের হয়ে পেনাল্টি নিতে আসে মোহাম্মদ সালাহ।
মোহাম্মদ সালাহ পেনাল্টি টা বাইরে দিয়ে মারে এবং মিস করে। অর্থাৎ লিভারপুলও পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে অসাধারণ একটা লং বল দেয় অ্যান্ড্রি রবার্টসন। এবং সেই বল থেকে একেবারে ফ্রি হেডার গোল করে কোডি গ্যাকপো। গ্যাকপো গোল করে ২-০ তে এগিয়ে নিয়ে যায় লিভারপুল কে। এর মাঝে আরও দারুণ কিছু সেভ দেয় থিবো কর্তোয়া। না হলে হয়তো এই গোলের সংখ্যা আরও বেশি হতো। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কেউ কোন গোল করতে পারেনি। ফলে ২-০ গোলে ম্যাচ হেরে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। এই হারে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন লীগ টেবিলের ২৪ এ নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ রেলিগেশন জোনের একেবারে ঠিক উপরেই আছে। হাতে আছে আর তিন ম্যাচ। যেখানে শতভাগ জয় প্রয়োজন তাদের।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit