আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে অন্য কেউ!! কথাটা শোনার পরে আপনার আমার মনে দুইটা প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রথম কে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে আর সত্যিই কী আমরা অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে আছি। আবার অনেকের মনে আসবে হ্যা আমরা হয়তো সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রণে আমি এটা বুঝিয়েছি। হ্যা প্রাথমিক অবস্থায় আমরা সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রণে এই কথা ঠিক। তবে আমি এখানে সেটা বলিনি। দৈনন্দিন জীবনে কিছু মানুষ খুবই দক্ষতার সাথে আমাদের চিন্তা চেতনা ধ্যান ধারণা নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা হয়তো এখন আপনাদের বোধগম্য হবে না তবে একটু বিস্তারিতভাবে বললে বুঝবেন। আমরা আধুনিক যুগে বসবাস করছি। আমাদের প্রতিটা পদক্ষেপে রয়েছে আধুনিকতার ছোয়া। খুবই দ্রুত কোনো ঘটনা বা কোনো নিউজ পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে আর সেজন্যই হয়তো এই সমস্যা টা বেশি সৃষ্টি হচ্ছে।
আমরা মোটামুটি সবাই স্যোসাল মিডিয়ায় একটিভ কেউ কম আবার কেউ বেশি। আর এই স্যোসাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো সবচাইতে সহজ। কিছু ব্যক্তি বা কমিউনিটি একটি গুজব বা ভিত্তিহীন কিছু এমনভাবে আমার আপনার মস্তিষ্কে রোপন করবে যে আমরা ঐটাই বিশ্বাস করব। একবার ভেবে দেখুন এটা কিন্তু প্রকৃত বাস্তব। আচ্ছা সেগুলো যাক। আমার মতে বর্তমানে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার সর্বোচ্চস্তরে রয়েছে সাংবাদিকগণ। অন্য দেশগুলোর কথা বলতে পারব না তবে আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর হলুদ সাংবাদিক রয়েছে। যারা সত্য প্রকাশ করার পরিবর্তে ভিওিহীন সব নিউজ প্রকাশ করে। সাংবাদিকতা মহান একটা পেশা। কিন্তু এটার যে কী পরিমাণ অপব্যবহার করা সেটা আমাদের ধারণার বাইরে। একজন হলুদ সাংবাদিকের একটা ভিওিহীন খবর একজন মানুষের বা একটা জাতির বা কমিউনিটির পুরো দৃশ্যপট পাল্টে দিতে পারে। আমাদের ধারণা এমন হয়েছে এখন যে আমরা ধরেই নেয় যে সাংবাদিক যা বলছে খবরে যা দেখাচ্ছে তা সবই সঠিক।
আমি সাধারণত খেলার নিউজ অনেক বেশি দেখি। খেলার খোঁজ খবরও বেশি রাখি। এজন্যই বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বাংলাদেশের টপ র্যাংকিং একজন স্পোর্টিং সাংবাদিক একজন খেলোয়ারের বাজে সময়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরছে তুলে ধরছে তার বাজে দিকগুলো। রীতিমতো ঐ খেলোয়ার কে একেবারে সাধারণ মানুষের সামনে ভিলেন করে ছেড়ে দিলেন। এবং কমেন্টে দেখলাম অসংখ্য মানুষ তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছে। ব্যতিক্রমও ছিল কিছু। প্রায় ৭ মিনিটের রিপোর্টে উনি ঐ খেলোয়ারের দেশের জন্য যে কন্ট্রিবিউশন আছে সেগুলো একবারও বললেন না। প্রকৃতপক্ষে এটাই তো হলুদ সাংবাদিকতা। তাই নয় কী!!
এটা শুধু আমি একটা উদাহরণ দিলাম তাও খেলাধুলার মতো ভালো একটা বিষয় নিয়ে। আর অন্য বিষয়ে তো এই হলুদ সাংবাদিকতার প্রভাব আরও নিম্নে। সেগুলো আমার আপনার নজরে ঠিকই আসে। আমরা যদি একটু বিবেক দিয়ে চিন্তা করি তাহলেই কিন্তু বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। এই ইলেকট্রনিক মিডিয়া খুবই স্পর্শকাতর একটা জিনিস। এটার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে খুবই দ্রুত ভুল একটা ধারণা প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায়। এবং সেটা দিয়ে চলে আমাদের মগজ ধোলাই। আমরা সেগুলোই বিশ্বাস করি নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের কথামতো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা তার সত্য মিথ্যা যাচাই করি না। আর ওটা করা সম্ভব ও হয়ে উঠে না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কথাটা শুনে প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম তবে যে সব বিষয়গুলো আপনি উপস্থাপন করলেন সেটাই একদম বাস্তব সম্মত কথা। আসলেই আমাদের হাতে কিছুই নেই সব কিছুই অন্যের হাতে কিন্তু আমরা চাইলে নিজের প্রাইভেসিগুলো বজায় রাখতে পারি।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের দেশে টাকার বিনিময়ে খবর বিক্রি হয়। কিছু অসাধু সাংবাদিক টাকার কাছে একজন মানুষের ভাবমূর্তি বিক্রি করে দেয়। যাইহোক এগুলো ঘৃন্য অপরাধ। সবমিলিয়ে আমাদের সত্যিই অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit