ধৈর্য্য ধরুন!!

in hive-129948 •  2 months ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার,১ লা আগষ্ট, ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000556036.jpg


ঘুড়ি তো সবাই দেখেছেন উড়িয়েছেন। আমাদের এলাকায় এটাকে ঘূর্ণি বলা হয়। ঘুড়ির ক্ষেএে ব‍্যাপার টা কী হয় লাটাই থেকে সুতা ছাড়া হয় ঐ আয়ওের মধ্যে ঘুড়ি যতক্ষণ পাড়ে আকাশে উড়াউড়ি করতে থাকে। কিন্তু যখন লাটাই থেকে ঘুড়ির সুতা গোছানো শুরু হয় তখন আর কিছু করার থাকে না সে আর উড়তে পারে না। ঠিক এমনইভাবে আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছে যারা এখন অনেক উড়াউড়ি করছে মানুষের উপর অত‍্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের ধ্বংস কামনা করছি। কিন্তু তারা দিব‍্যি বেশ ভালো আছে। এটা দেখে আমাদের মনে হতেই পারে সৃষ্টিকর্তা তাদের কেন শাস্তি দিচ্ছে না। এমন যাদের মনে হচ্ছে তাদের জন্য আজকের এই লেখাটা। তাদের বলব ধৈর্য্য ধারণ করেন। বিপদের চূড়ান্ত পর্যায়ে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য আসে।

নমরুদ এর নাম আমরা সবাই শুনেছি। পৃথিবীর অন‍্যতম একজন শাসক ছিলেন। যিনি কীনা নিজেকে সৃষ্টিকর্তাও দাবি করতেন। অনেক ক্ষমতাশালী ছিলেন এই নমরুদ। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকেও ধ্বংস করেছে ঠিক সঠিক সময়ে। ফেরাউন এর ক্ষেএেও এমনটাই হয়েছে। ফেরাউনও নিজেকে সৃষ্টিকর্তার চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান মনে করত। অনেক অন‍্যায় করেছে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে উড়তে দিয়েছে। কিন্তু যখনই সে তার সীমা অতিক্রম করেছে সৃষ্টিকর্তা তাকে ধ্বংস করেছে। রেখে দিয়েছে পৃথিবীর বুকে উদাহরণ হিসেবে। একইভাবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর সঙ্গে অনেক অন‍্যায় অবিচার করা আবু লাহাব আবু জেহেল সবাই কিন্তু ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাদের কেউ উড়তে দিয়েছেন সময় দিয়েছেন।


1000558802.jpg


আমাদের যেসব ভাই বোনেরা হিন্দু ধর্মাবলম্বী আছেন তারা অবশ্যই শিশুপাল এর নাম শুনেছেন। শ্রীকৃষ্ণ চাইলেই শিশুপাল কে অনেক আগেই ধ্বংস করতে পারতেন। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেছেন শিশুপাল এর ১০১ টা অপরাধ হওয়া পযর্ন্ত। শেষ পর্যায়ে যখন শিশুপাল তার সীমা অতিক্রম করে তখনই শ্রীকৃষ্ণ তাকে ধ্বংস করে দেয়। শ্রীকৃষ্ণ চাইলেই যুবরাজ দূর্যোধন কে ধ্বংস করতে পারতেন থামিয়ে দিতে পারতেন কুরুক্ষেএ এর মতো যুদ্ধ। কিন্তু তিনি তা করেননি। সময় দিয়েছেন সংশোধন হওয়ার। শেষ পযর্ন্ত যখন তারা তাদের সীমা অতিক্রম করেছে অনেক রথী মহারথী থাকার পরেও তাদের ধ্বংস কেউ আটকাতে পারেননি। ধর্মীয় দিকে এইরকম আরও অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে অসংখ্য।

পৃথিবীতে এইরকম অসংখ্য শাসক ছিলেন অত‍্যাচারি ছিলেন যারা সাধারণ মানুষের উপর অত‍্যাচার করেছে। কিন্তু সীমা অতিক্রম যখনই করেছে তখনই তাদের ধ্বংস নেমে এসেছে। আমাদের সামনে এতো শত উদাহরণ রয়েছে তাহলে আমরা কেন হতাশ হচ্ছি। যারা অন‍্যায় করছে মানুষের উপর অত‍্যাচার করছে তাদের সেটা করতে দেন। নিজের সব অভিযোগ সৃষ্টিকর্তা কে জানান। ভুলে যাবেন না সৃষ্টিকর্তা সব দেখছে শুনছে। তিনি সঠিক সময়ে তাদের ধ্বংস করবেন। তাদের ধ্বংস অনিবার্য শুধু সময়ের অপেক্ষা। যুগে যুগে এমন কতশত শাসক এসেছে চলে গিয়েছে তাদের কেউ থাকেনি। এরাও থাকবে না ধ্বংস হবে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সবকিছুর যেমন শুরু আছে তেমনি শেষ আছে। হয়তো সময়ের অপেক্ষা। অনেক ক্ষমতাশীল মানুষও একসময় ধ্বংস হয়ে যায়। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।

যুগ যুগ ধরে এভাবেই জাতি মার খেয়ে যাচ্ছে। অনেক নিপীড়ন নির্যাতন হয়ে যাচ্ছে জনসাধারণ নিজের দাবি আদায়ের লোককে। তবু একটা কথা আছে সবুরে মেওয়া ফলে। তবে সব সময় কিন্তু সহ্য করা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না কারণ একটা কথা আছে দেয়ালে পিঠ ঠেকলে মানুষ সামনে আসে।

মানুষ যতই উড়াউড়ি করুক না কেন একদিন সেই ডানা ভেঙ্গে যাবে সেটা নিশ্চিত। কারণ প্রকৃতি কখনো অন্যায় মেনে নিতে জানে না এবং অন্যায় সহ্য করে না। সময় মত প্রকৃতি সবকিছু মানুষকে ফেরত দিয়ে দেয়। তার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হয়। আপনার সুন্দর লেখাগুলো খুবই দক্ষতার সাথে লিখলেন পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে।

আল্লাহ এমন অত্যাচারীদের সুযোগ দেন। তবে ছেড়ে দেন না।আমরা বিশ্বাস করি আঁধার পেরিয়ে নতুন সূর্য একদিন পৃথিবীকে আলোকিত করবে।সেই আলোতে আমরা আলোকিত হবো।কিন্তু কষ্ট সইতে না পেরে আমরা ধৈর্য হারা হয়ে যাচ্ছি।আমাদের সত্যিই শুভ ও সত্য দিনের জন্য ধৈর্য ধারন করতে হবে।