হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো : ( পর্ব:১ )।

in hive-129948 •  last year 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


received_255805980046914.jpeg


আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আজ থেকে নতুন একটা পোস্টের সিরিজ চালু করব আমি। এখানে আমি মূলত আমার পুরাতন দিনগুলো কথা তুলে ধরব। যে দিনগুলো আমি ফেলে এসেছি পিছনে। আমি আগেই বলেছি একটা ছবি অনেক কিছু প্রকাশ করে। সেদিন হঠাৎ গ‍্যালারিতে যখন আমি ছবিগুলো দেখছিলাম তখনই এটা আমার মনে পড়ে গেল। ছবিটা আমার সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেই দিনের পুরো ঘটনা টা আমার মনে চলে আসছে। তখন ভাবলাম এই স্মৃতিগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়া যায়। তাহলে অন্তত এখানে এগুলো থেকে যাবে। মোটামুটি প্রতি সপ্তাহে একটা বা দুইটা এই টাইপের পোস্ট করব। সেই সিরিজের আজকে প্রথম পোস্ট করব। চলুন শুরু করা যাক।


received_1600615543605704.jpeg


করোনার কারণে প্রায় দশ মাস কলেজে যায়নি। হঠাৎ কলেজ থেকে নোটিশ দিল সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজে আসতে হবে। খুব দ্রুতই সেমিষ্টার ফাইনাল শুরু হবে। বলছি ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের কথা। আমি তখন দ্বিতীয় সেমিষ্টারের ছাএ। যদিও একবছর ধরেই দ্বিতীয় সেমিষ্টারে ছিলাম হা হা। অনেক দিন কলেজ যায়না নোটিশ টা দেখেই বেশ ভালো লেগেছিল। আবার কলেজে যাব সব বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে অসাধারণ একটা অনূভুতি। তবে তখনো করোনা ভাইরাস তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। সেই ভয়টা সবার মাঝে কাজ করছে। বেশ স্বাস্থ‍্যবিধি মেনে কলেজে গেলাম। বলতে গেলে প্রায় নয় দশ মাস পরে সব বন্ধুদের সঙ্গে দেখা। এককথায় অসাধারণ একটা অনূভুতি। সত্যি বলতে তখন কিসের স্বাস্থ্যবিধি আর কিসের কী। গিয়ে সবাই হাত মেলানো আড্ডা দেওয়া শুরু করলাম। আর ক্লাস সেটাতে আর প্রথমদিন যায়নি। আমার সব বন্ধুদের বেশ পরিবর্তন হলেও আমার কোনো পরিবর্তন হয়নি তখন। সবার প্রশ্ন একটাই ইমন তুই সেই আগের মতোই আছিস হা হা।


received_482981949997984.jpeg


যেহেতু জানুয়ারি মাস শীত তখন। আমাদের কলেজ মাঠে রোদে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলাম আমি এবং আমার তিন বন্ধু নাভিদ ইকরা তুহিন। কৌতূহলে আমি এগিয়ে গিয়ে একটা সেলফি নিয়েছিলাম। যেটা শেয়ার করেছি আমি। এই ছবিটা দিয়ে আমার বন্ধু নাভিদ স্টোরি দিয়েছিল সেদিন বাই বাই করোনা। সত্যি আমাদের জন্য তখন করোনা বিদায় নিয়ে নিয়েছিল। সেই কলেজ ক‍্যাম্পাস এখনো আছে কিন্তু আমরা বন্ধুগুলো আর একসঙ্গে নেই। সেদিন একসঙ্গে বাড়িতে সিএনজিতে বাড়ি ফিরছিলাম আমি এবং আমার বন্ধুরা। আমি এবং আমার বন্ধু ইকরা ও ইকরার গার্লফ্রেন্ড অনামিকা একসঙ্গে সিএনজির ভেতরে বসেছিলাম। তখন একটা সেলফি নিয়েছিলাম। আমার চেহারা টা তখন যেন একটু বেশিই সুন্দর ছিল ছবিটি দেখে অন্তত আমার সেটাই মনে হচ্ছে হা হা।।


received_522128435907458.jpeg


মোটামুটি কয়েকটা দিন ক্লাস করার পরেই পরীক্ষার রুটিন দিল। প্রায় দশ মাস বই খাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু তারপরও শুরু করলাম লেখাপড়া। প্রথম কদিন বেশ কষ্ট হয়েছিল কিন্তু মোটামুটি সিলেবাস টা শেষ করতে পেরেছিলাম অর্ধেকটা। যথারীতি পরীক্ষা দিয়ে দিলাম। মুখে মাস্ক পড়ে পরীক্ষার হলে কথা বললে স‍্যার রা খুব একটা বুঝতে পারত না বিষয়টি বেশ মজার ছিল হা হা। পরীক্ষা শেষ করে ব‍্যবহারিক পরীক্ষা দিয়েছিলাম। তখন কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম সবাই একসঙ্গে ক্লাসে বসে আছি। ছবিগুলোর বয়স প্রায় তিন বছর। তারপর তিনটা বছর কেটে গিয়েছে কিন্তু মনে হচ্ছে এই সেদিন যেন এই দিনগুলো গেল। সত্যি বলতে ঐ সময় টা আমার লাইফের সেরা সময় ছিল। সবে কলেজে উঠেছি ক‍্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা নেই কাছে টাকা না থাকলেও মনে শান্তি ছিল। সেরকম কোন লক্ষ‍্য ছিল না প্রতিযোগিতা ছিল না। আর প্রিয়কোন মানুষ ছিল না যাকে হারানোর ভয় করব। কিন্তু এখন সবকিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। দিনগুলো অনেক মিস করি সঙ্গে সেই পুরানো আমি কেউ। ইস আরেকবার যদি সেই ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ফিরে যেতে পারতাম।।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_20230518_131529.JPG

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে করোনার দাপটে আমরা সবাই ই ঘর বন্দী ছিলাম।এরপর আবার কলেজে গেলেন তিন বন্ধুর সাথে এতোদিন পর দেখা। কিসের স্বাস্থ্যবিধি কিসের কি? যে দিন যায়, তাই ভালো যায়।সেই দিন চাইলেও আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

করোনা চলাকালীন আমার উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হয়ে গেছিল । আর তারপর প্রায় এক বছর পরে আমিও কলেজে অ্যাডমিশন নিয়েছিলাম ভাই। তারপর আরো এক বছর পরে আমাদের কলেজ শুরু হয়েছিল, তখন আমাদেরও মাক্স করে যেতে বলতো ,কিন্তু মাস্ক পড়ে সবাই গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে সেটা খুলে আড্ডা দেওয়া শুরু করে দিত। তখন কোথায় আর নিয়ম, হা হা হা। আর মার্কস এর ভিতর থেকে পরীক্ষার হলে কথা বললেও স্যাররা সত্যিই বুঝতে পারতো না।

Posted using SteemPro Mobile

করোনা আমাদেরকে অনেক শিক্ষা দিয়ে গেছে।যে দিন যায় সেটা আর কখনো ফিরে আসে না।কিন্তু স্মৃতিগুলো রইয়ে যায়।সেমিস্টারগুলি দ্রুত শেষ হয়ে যায় ভাইয়া, ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট পড়ে।আসলেই করোনার আগে দিনগুলো অনেক সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।