আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
শেষবার কবে বার্সেলোনা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল আপনার মনে আছে? আপনার মনে না থাকতে পারে। আমার কিন্তু মনে আছে। ২০২০ সালে শেষবারের মতো উচল এর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল স্পেন এর ক্লাবটি। কিন্তু এরপর চারবছর তাদের বিদায় ঘন্টা বেজেছে প্রথম রাউন্ড এবং দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। এই তিন বছর ওদের সময় টা খুবই খারাপ গিয়েছে। শেষবার ২০২০ সালে নাপোলির সঙ্গে জিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বার্সেলোনা। কিন্তু সেই বার বার্সেলোনার সাথে যা হয়েছিল সেটা তারা ভুলে যেতেই চাইবে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে পুরো দুই হালি গোল হজম করে বার্সেলোনা হা হা। আমি বার্সার রাইভাল রিয়াল মাদ্রিদের সাপোর্টার সেজন্য এটা তো আমার বলতে ভালোই লাগবে।
গতকাল উচল এর দ্বিতীয় রাউন্ডের দুই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা, নাপোলি ও আর্সেনাল এবং এফসি পোর্তো। আমার পোস্টের টাইটেল টা দেওয়ার কারণ ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির পুরো নাম এসএসসি নাপোলি। আমি একটু মজাদার করার জন্য টাইটেল টা দিয়েছি। যাইহোক গতকাল বার্সার ঘরের মাঠে ম্যাচ টা ছিল। সেজন্য একটু অ্যাডভান্টেজে ছিল বার্সেলোনা। আগের ম্যাচ ১-১ গোলের ড্র তে শেষ হয়। এইদিন ক্যাম্প ন্যু তে খেলতে নেমেই অসাধারণ খেলতে থাকে বার্সেলোনা। তারই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের মাএ ১৫ মিনিটে রাফিনহা এর অ্যাসিস্টে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় ফ্রেমিন লোপেজ। এরপর ১৭ মিনিটে আবার জো ক্যান্সেলো গোল করলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। কিন্তু ম্যাচের ৩০ মিনিটে নাপোলির হয়ে গোল করে রাহামানি। ম্যাচে তখন ২-১ গোলের লিডে রয়েছে বার্সেলোনা।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হলে দুই দলই গোল করার চেষ্টা করতে থাকে। তবে নাপোলি খুব একটা বেশি কিছু করতে পারছিল না। এরপর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে অসাধারণ টিকি টাকা এর প্রদর্শন করে সার্জিও রবার্তো এর অ্যাসিস্টে গোল করে রবার্ট লেভানদস্কি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। অন্য ম্যাচে আগে থেকেই পোর্তো এক গোলের লিডে থাকাই একটু ব্যাকফুটে ছিল আর্সেনাল। কিন্তু আমার বিশ্বাস ছিল তারা ব্যাক করবে। এবং হলো সেটাই। ম্যাচের ৪১ মিনিটে থ্রোসার্ড গোল করলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল তবে এগ্রিগেডে ম্যাচ তখন ১-১ গোলের সমতায়। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে আর কেউ গোল করতে সক্ষম হয়নি। নির্ধারিত সময় খেলার পরেও ম্যাচের ফলাফল না আসাই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়েই কেউ গোল করতে না পারলে ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে বা পেনাল্টি শ্যুট আউটে। এবার একটা মজার কথা বলি উচলের নক আউট পর্বে আমি কখনো টাইব্রেকার দেখিনি। ২০১৬ সালের পর গতকাল উচল এর কোন ম্যাচ ট্রাইব্রেকারে গড়ালো। ব্যাপার টা বেশ মজার ছিল। শুরু হয় পেনাল্টি শ্যুট আউট। আর্সেনালের হয়ে প্রথম চারটি শর্টের প্রতিটাতেই গোল করতে সক্ষম হয় অডিগার্ড, কাই হাভার্টজ, সাকা এবং ডি. রাইস। কিন্তু অন্যদিকে পোর্তের প্রথম চারটা শর্ট এর মধ্যে দুইটা শর্ট অসাধারণ ভাবে সেভ করে আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। শেষমেশ পেনাল্টি শ্যুট আউট শেষে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্সেনাল। নিজের অসাধারণ পারফরম্যান্স এর কারণে ম্যাচ সেরা হয় আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। এরই মধ্যে দিয়ে আর্সেনাল বেশ কয়েক বছর পর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে কোয়ালিফাই করল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit