আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি অনেক ভালো আছি। অনেকদিন পর আবার একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। ঢাকায় আসার পর ফটোগ্রাফি পোস্ট অনেক কম করি। এর কারণ ঢাকায় এসে বাসা থেকে একেবারেই বের হয় না। আর ফটোগ্রাফি অবজেক্ট একেবারেই পাই না। কিন্তু এই সপ্তাহে বাইরে গেছিলাম সেজন্য বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি পাশাপাশি আগের কিছু ফটোগ্রাফি আমার গ্যালারিতে ছিল। সেই ফটোগ্রাফি গুলোই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। আমি ফটোগ্রাফি করতে বেশ পছন্দ করি। এটার সবচাইতে বড় পজেটিভ দিক আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে স্মৃতিটাও ধরে রাখতে পারবেন। যাইহোক চলুন আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসা যাক।
- গত মঙ্গলবার আমি বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ড এর মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। এবং মাঠে গিয়ে আমি আমাদের জাতীয় পতাকা নিয়ে কিছু ছবি উঠি। এই ছবিগুলো তুলে দেয় আমার বন্ধু তূর্য। আসলে নিজের দেশের প্রতি সবারই আলাদা একটা টান থাকে সবসময়। এখানেও সেটার ভিন্ন হয়নি। যদিও ম্যাচটা হেরেছিল কিন্তু আমার কাছে অসাধারণ একটা মূহুর্ত ছিল এটা। আমার এই ছবি টা দেখে আমার নিজের কাছেই বেশ অসাধারণ লাগছিল।
- এটা হলো শের-এ বাংলা জায়গা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এটা ঢাকার মিরপুর-2 এ অবস্থিত। তখন বিকেল বেলা। ততক্ষণে বাংলাদেশ দল অলআউট হয়ে গিয়েছে। তখন চলছে ইনিংস বিরতি। ঐ সময়ে আমি বসে ছিলাম। তখন গ্যালারি এবং মাঠের সমন্বয়ে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করি। বেশ চমৎকার লাগছে মাঠের এই ভিউটা। আর টিভিতে যেইরকম লাগে মাঠ টা বাস্তবে তার থেকে কিন্তু বেশ সুন্দর আমাদের মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠ টা।
- ঢাকা শহরে অসংখ্য উচু উচু ভবন রয়েছে। এবং একটা ভবনের সঙ্গেই আরেকটা ভবন। অবস্থা টা এমন যে আপনি উপরে তাকালে আকাশ দেখতে পাবেন না। দেখবেন শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং। হয়তো মাঝ দিয়ে এক ফাঁকে এক টুকরো আকাশ দেখা যাবে। এই ফটোগ্রাফি টা আমি এইরকম একটা কনসেপ্ট মাথায় রেখেই ধারণ করেছি। আশাকরি এটা আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে। এই ফটোগ্রাফি টা আমি আমার বতর্মান শিক্ষা প্রতিষ্টান ব্রাক থেকে ধারণ করেছি।
- এটা হলো হাতিরঝিল এর ছবি। বেশ কিছুদিন আগে আমি হাতিরঝিল ঘুরতে গিয়েছিলাম। একপর্যায়ে গিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলে অসাধারণ লাগছিল ঐ সময়। আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল এবং চারিদিকের আলো যেন হালকা আসছিল এখানে। দেখতে এককথায় অসাধারণ লাগছিল। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি।
- এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন থেকে। এবং যে ট্রেন টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছেন এটা হলো বেনাপোল এক্সপ্রেস। এটা সরাসরি যশোর বেনাপোল হতে ঢাকা আসে। আমি বেশ কয়েকবার এই ট্রেনে যাতায়াত করেছি। সেদিনও আমি মাএ এই ট্রেন টা থেকে নেমেছি এবং বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশ চমৎকার লাগছিল। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি।
- এটা বেশ কিছুদিন আগের কথা। আমি তখন বাড়িতেই থাকতাম। আমার খুব কাছের একজন মানুষের সঙ্গে দেখা করতে আমি চুয়াডাঙ্গা তে গিয়েছিলাম। বলতে গেলে ঐটাই প্রথম আমার একা একা চুয়াডাঙ্গা যাওয়া। যখন গিয়েছিলাম তখন বৃষ্টি ছিল না। এবং শহর টা বেশ সুন্দর এবং পরিষ্কার বেশ লাগছিল আমার কাছে। তবে যখন আমি ফিরছিলাম তখন বেশ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সেই মূহুর্তেও আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম। একটা ট্রাজেডি আছে আমি চুয়াডাঙ্গা গেলেই বৃষ্টি হয় হা হা। দুইবার এমনটাই হয়েছে।
- গত মে মাসে আমি ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। জাদুঘরের মধ্যে ফোন দিয়ে ছবি তোলা নিষেধ। সেজন্য আমিও ফটোগ্রাফি করিনি। কিন্তু একসময় গিয়ে প্লেটোর এই কথাটা আমার নজরে আসে। এবং কথাটা আমার এককথায় অসাধারণ লেগেছিল। ফলাফল আমি পাশে থাকা ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে ফটোগ্রাফি টা করি। প্লেটোর এই মতবাদ টা আমার কাছে দারুণ লেগেছে এককথায়।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও খেলাধুলা প্রিয় একজন লোক কিন্তু কখনোই স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। ইনশাল্লাহ একদিন হবে। সেই দৃশ্যের ফটোগ্রাফি কংক্রিটের শহর খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। খুবই সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্, বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ সরাসরি দেখেছেন!! আপনার জন্য স্টেডিয়াম থেকে কিছু ফটোগ্রাফিও দেখতে পেলাম আমরা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি ইতোপুর্বে আপনার পোস্টগুলো দেখেছি ভাইজান। বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য আপনি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন। বেশ একটু বেশি প্রাইস লেগেছিল টিকিট পাওয়ার জন্য তারপরে আপনি সেখানে টিকিট কেটে উপস্থিত হতে পেরেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন খেলা বিষয়ে। আজকে অফিস অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন গ্যালারি থেকে। ফটোগ্রাফিগুলো আমার অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ।বিশেষ করে খেলা দেখার মুহূর্তে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গত মঙ্গলবার দিন আপনি বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে কার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন এটা আপনার আগের পোস্ট থেকেই দেখেছিলাম। হাতির ঝিলের ফটোগ্রাফিটি খুব সুন্দর হয়েছে। বিল্ডিং গুলো সত্যিই এত কাছাকাছি যে উপরের দিকে তাকালে সামান্য পরিমাণে আকাশ দেখা যাবে মনে হয়। যাইহোক সব মিলিয়ে আপনার উপস্থাপনাটা বেশ সুন্দর ছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit