আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছবিটি Pixabay নিয়ে নেওয়া এবং Canva দিয়ে এডিট করা
অফিস থেকে বের হয়ে ম্রিয়মান সরাসরি চলে যায় হোটেল নূরজাহান রেজেন্সি। তৃপা ম্রিয়মানের জন্য অপেক্ষায় ছিল। গিয়ে দেখে বসে রয়েছে হোটেলের ক্যাফেতে
আপনার জন্যই বসে রয়েছি। বেশ দেরি করে ফেললেন। দেখুন তো সন্ধ্যা ৭ টা বেজে গিয়েছে।
হ্যা বেশ কয়েকদিন পরে অফিস গিয়েছি চাপে ছিলাম একটু এর আর কী। তো কেমন আছেন জিজ্ঞেস করে ম্রিয়মান
বেশ ভালো।
সারাদিন কীভাবে কাটালেন।
ঐ সারাদিন শুয়ে বসে। একটু ক্লান্ত ছিলাম এইজন্য কোথাও যেতে ইচ্ছা হয়নি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই কফি চলে আসে। আপনার আর কিছু লাগবে জিজ্ঞেস করে তৃপা।
না না এটাই ঠিক আছে। আর কিছুই দরকার নেই। শুক্রবার কী করবেন। ফ্রি আছেন জিজ্ঞেস করে ম্রিয়মান।
হ্যা আমি মোটামুটি ফ্রি আছি। আমার আর কাজ কী।
তাহলে আপনাকে আমার পছন্দের একটা জায়গাই নিয়ে যাব। ঢাকা শহর টা একটু ঘুরিয়ে দেখাব আপনাকে।
তৃপা হেসে বলে ঠিক আছে। বেশ কিছুটা সময় ওরা গল্প করে কাটিয়ে দেয়। ঘড়িতে সময় তখন সাড়ে আট টা। এবার আমাকে উঠতে হবে। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। বাসায় ফিরতে হবে। কাল আবার অফিস আছে। কিছুক্ষণ পরেই ম্রিয়মান চলে গেল।
পরের দুইদিন ম্রিয়মান খুব ব্যস্ত ছিল। এইজন্য খুব একটা যোগাযোগ করতে পারেনি তৃপার সঙ্গে। যদিও তৃপা কয়েকবার ফোন দিয়েছিল ম্রিয়মানকে। কিন্তু কথা হয়েছিল খুব সামান্যই।
ম্রিয়মান তখনও ঘুমিয়ে রয়েছে। আজ শুক্রবার অফিস নেই। একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠবে ও এমনটা ভেবেই রাতে ঘুমিয়েছিল। বিকেলের দিকে তৃপাকে নিয়ে বের হবে ঘুরতে। ওর পছন্দের কিছু জায়গা ঘুরিয়ে দেখাবে তৃপা কে। এমনটাই ভেবে রেখেছিল ও। সকাল ৮ টা বাজে তখন। ম্রিয়মানের ফোনে অচেনা একটা নাম্বার থেকে একটা কল আসে, প্রথমে পিক করেনি। কিন্তু বার বার কল করতে থাকে। অবশেষে কল রিসিভ করে ম্রিয়মান
হ্যালো আপনি কী ম্রিয়মান বলছেন
জ্বী হ্যা।
আমি হোটেল নূরজাহান রেজেন্সি থেকে বলছি। মিস তৃপা উনাকে আপনি চেনেন। জিজ্ঞেস করে ফোনের ওপাশের ব্যক্তি।
হ্যা চিনি। কেন কী হয়েছে।
উনি খুবই অসুস্থ। উনার শরীরের কন্ডিশন খুব একটা ভালো না। গতকাল রাতে উনাকে হসপিটালাইজড করা হয়েছে। উনার কোন আত্মীয়ের সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি। অবশেষে উনি আজ আপনার নাম্বার টা আমাদের দিয়েছেন। আপনি দ্রুত নিউমেরিক মেডিকেলে চলে আসুন।
পরবর্তীতে আর কিছু চিন্তা করেনি ম্রিয়মান। তখনই বেরিয়ে গেছে। হাসপাতালের রিসিপশনে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে উনারা বলে এখন দেখা করতে দেওয়া যাবে না। তবে হোটেল নূরজাহান রেজেন্সির একজন ওখানে ছিল তার থেকে তৃপার আপডেট চাই ম্রিয়মান
কেমন আছে এখন ও।
ডাক্তার বলেছে কন্ডিশন খুব একটা ভালো না। উনি কয়েকদিন ধরেই রুম থেকে খুব একটা বের হয় না। আমাদের বয়'রা গিয়ে খাবার দিয়ে আসত। সারাদিনই শুয়ে থাকত। গতকাল রাতে গিয়ে দেখে অচেতন হয়ে পড়ে আছে ফ্লোরের উপর। আমরা তখন এখানে নিয়ে আসি। উনার কোন আত্মীয়ের সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারিনি। আজ সকালে উনি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আপনার নাম্বার টা দেয়। বলে আপনার সাথে কথা বলতে।
সবকিছু শুনে ম্রিয়মান পুরোপুরি চুপ হয়ে যায়। ওর উপর যেন হাজার বছরের বিষাদ এসে জমেছে। এখান থেকে বের হওয়া সম্ভব না। নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলে ওর সাথে কখন দেখা করা যাবে।
এটা ডাক্তার বলতে পারবে। তৃপার কেবিনের বাইরে দাঁড়িয়ে ম্রিয়মান।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই গল্পের শেষটা ভীষণ কষ্টের বেশ বুঝতে পারছি। এরপর আসলে তৃণাকে না দেখা পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যাবে না।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্পটি লিখলেন ভাইয়া।এজন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit